নববর্ষ মানেই কলাপাতায় ষোড়শ ব্যাঞ্জনের ভূরিভোজ। ভাতের সঙ্গে নানা বাঙালি রসনায় বর্ষবরণ। সেই দিন আর নেই। পয়লায় কলাপাতায় পাত পেড়ে আর খায় না বাঙালি। দাক্ষিণাত্যের রাজ্যগুলিতে এখনও কলপাতায় খাওয়ার চল আছে। বাংলার গ্রামাঞ্চলে কলাপাতায় এখনও খাবার বেড়ে দেওয়া হয়। কলাপাতায় খাবার খাওয়া নিছকই পরম্পরা বা ঐতিহ্যবাহী নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে স্বাস্থ্যও।
সুস্বাস্থ্য ও রোগ প্রতিরোধী- কলার পাতায় উদ্ভিজ্জ যৌগ পলিফেনল রয়েছে । এটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরকে বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করে। কলা পাতায় রাখা খাবার থেকে ওই যৌগ শুষে নেয়। বার্ধক্য, ক্যানসার এবং অন্যান্য রোগের সঙ্গেও লড়াই করতে সক্ষম করে মানব শরীরকে। ফলে খাবারের মাধ্যমে শরীরে ঢোকে অক্সিডেন্ট। সেই সঙ্গে কলাপাতায় রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল। যা খাবারে থাকা ব্যাকটেরিয়া দূর করে। এতে অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।
স্বাদ বাড়ায়- কলাপাতার উপরে থাকে মোমের মতো স্তর। এই স্তরটি খুব পাতলা হলেও এর স্বাদ একেবারেই আলাদা। যখন কলার পাতায় গরম খাবার পরিবেশন করা হয়, তখন এই মোম গলে যায়। তা খাবারের সঙ্গে মিশে যায়। যে কারণে খাবারের স্বাদ বেড়ে যায়।
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন- কলাপাতার উপরে মোমের আবরণ ধুলোবালি ও ময়লা ভিতরে ঢুকতে দেয় না। ফলে সামান্য জল দিয়ে পরিষ্কার করার পর ব্যবহার করা যেতে পারে। অন্যদিকে, প্লাস্টিকের প্লেটে খাবার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
পরিবেশবান্ধব - পরিবেশের জন্য উপকারি কলাপাতা। এখন বনভোজনেও প্লাস্টিকের থালা-গ্লাস ব্যবহার করা হয়। যা পরিবেশের ক্ষতি করে। অন্যদিকে কলাপাতা সহজেই মিশে যায় পরিবেশে।
রাসায়নিকমুক্ত: কলাপাতা খাওয়ার সবচেয়ে বড় সুবিধা হল, এটি শরীরে কোনও রাসায়নিক প্রবেশ করতে দেয় না। প্লাস্টিকের প্লেটে খাওয়ার সময় রাসায়নিক পেটে চলে যায়। যা ক্যানসারের মতো ভয়ঙ্কর রোগও ডেকে আনতে পারে। ফলে অবস্থায় কলাপাতায় খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যের দিক থেকে খুবই উপকারি।
আরও পড়ুন- সন্তান প্রচণ্ড বায়না করে! কীভাবে সামলাবেন? রইল ১০ টিপস