কথায় বলে 'মাছে ভাতে বাঙালি'। খাদ্য রসিক বাঙালিদের মাছের প্রতি প্রেম অজানা নয় কারও। এবার পদ্মাপাড়ের স্বাদ, খোদ কলকাতায়। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস (International Mother Language Day) উপলক্ষ্যে চলছে এক খাদ্য উৎসব, আয়োজনে 'মাছ,মছলি এন্ড মোর'। 'বাংলার রসনা' -বাংলাদেশের এক খাদ্য উৎসবের (Food Festival) শুভ সূচনা করলেন বিশিষ্ট সঙ্গেীতশিল্পী লোপামুদ্রা মিত্র (Lopamudra Mitra) এবং সিধু (Sidhu)। ভোজনপ্রিয়রা একই ছাদের তলায় পেলেন পেটপুজোর সঙ্গে বাংলা গানের স্বাদ।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি 'বাংলার রসনা' - অপার বাংলার এই খাদ্য উৎসবের শুভ সূচনা করেছেন লোপামুদ্রা মিত্র, সিধু। এছাড়াও হাজির ছিলেন শ্যামসুন্দর কোম্পানি জুয়েলার্সের কর্ণধার রূপক সাহা। উৎসবের মেনুতে নিরামিষ,আমিষ পদ মিলিয়ে থাকছে কাঁচকি মাছের বড়া, শোল মাছ পোড়া, কই মাছের হরগৌরি,মুরগির জালি কাবাব, বুরহানি, কাঁচকলার কোপ্তা, ছানার ডালনার মতো রকমারি সুস্বাদু খাওয়ার। যার মধ্যে অনেকগুলিই সহজে বানানো হয় না আজকাল বাড়িতে।
বাংলা গান এবং তার সঙ্গে হালকা পেটপুজো দিয়ে শুরু হয়েছে এবারের একুশের উদযাপন। 'মাছ,মছলি এন্ড মোর'-এর কর্ণধার কৌশিক চৌধুরী জানিয়েছেন, "বাংলাদেশের কিছু বিশেষ নিরামিষ,আমিষ পদ নিয়েই এই আয়োজন। মূলত মাছের হরেক রকম পদ নিয়ে কাজ করবো বলেই এমন একটা নামকরণ করেছি। কথায় আছে মাছে ভাতে বাঙালি।পরে আরো কিছু ব্যাবস্থা বাড়ানো হবে সময়ের সাথে,সাথে। যারা মাছ খেতে ভালোবাসেন তাদের জন্য আমরা সবসময়ই প্রস্তুত।"
এই উৎসবে যোগ দিতে পেরে বেশ খুশি লোপামুদ্রা এবং সিধুও। ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে চলছে এই খাদ্য উৎসব। চলবে আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। দক্ষিণ কলকাতার এই রেস্তোরাঁয় গিয়ে একবার চেখে দেখবেন নাকি বাংলাদেশের বিশেষ পদগুলি?