পেয়ারা শীতকালে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ফল। পেয়ারা খেতে খুবই সুস্বাদু। এছাড়া টক মিষ্টি স্বাদের পেয়ারার রয়েছে অনেক ঔষধি গুণও। পেয়ারা খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। পেয়ারায় উপস্থিত গুণাবলী শুধু স্বাদ ও স্বাস্থ্যের জন্যই নয়, সৌন্দর্য বৃদ্ধিতেও কার্যকর। পেয়ারা খেলে ত্বকেরও অনেক উপকার হয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে পেয়ারা খাওয়া উচিত এবং এর কী কী উপকারিতা।
পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা
পেয়ারা খেলে হজম ও কফের সমস্যা দূর হয়। পেয়ারায় রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ফাইবার এবং ফলিক অ্যাসিড। এটি পটাসিয়াম, কপার এবং ম্যাঙ্গানিজের মতো খনিজ পদার্থে সমৃদ্ধ। পেয়ারা খেলে হজম ও কফের মতো সমস্যা দূর হয়।এছাড়াও পেয়ারায় রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-কার্সিনোজেনিক গুণ, যা ক্যান্সারের মতো মারাত্মক রোগের ঝুঁকিও দূর করে। পেয়ারায় উপস্থিত অ্যান্টি-এজিং বৈশিষ্ট্য ত্বকের বলিরেখা দূর করতে কার্যকরী। তাই ত্বক ঠিক রাখতে এবং মুখে বয়সের ছাপ আটকাতে পেয়ারা খেতে পারেন।
পেয়ারা পাতার উপকারিতা
শুধু পেয়ারাই নয়, এর পাতা ও ছালও খুব উপকারী। পেয়ারা ডায়াবেটিস ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণেও বিশেষভাবে সাহায্য করে। এটি খেলে অ্যাসিডিটি, পিরিয়ড, মুখের ঘা এবং জয়েন্টের ব্যথার সমস্যাও দূর হয়।
এভাবে খেলে বেশি উপকার
পেয়ারা পাতা অনেক রোগে উপকার দেয়। পেয়ারা পাতা সিদ্ধ করে কাড়া পান করা খুবই ভাল। তবে সেই কাড়া তৈরি করার নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। এই কাড়া তৈরি করতে পেয়ারার ৮-১০টি পাতা ৩-৪ কাপ জলে ফুটিয়ে নিন। জল অর্ধেক হওয়া পর্যন্ত ভাল করে ফোটান। পেয়ারার কাড়া চায়ের মতো দু'বার পান করলে আশ্চর্যজনক উপকার পাবেন। এতে মুখের ফোসকা ও মাড়ির ব্যথার সমস্যা দূর হয়। পেয়ারা পাতার জল খেলে মুখের বলিরেখাও চলে যায়। এই জল দিয়ে চুল ধুলে হেয়ার ফল বন্ধ হয় এবং দ্রুত চুলের বৃদ্ধি হয়। তাই যদি ঘন চুল চান তাহলে এই জল ব্যবহার করতে পারেন।
আরও পড়ুন - নতুন বছরে রাহুর শুভ প্রভাব, ৩ রশির ভাগ্যদয়-বিপুল অর্থযোগ