অন্যান্য সমস্ত পুষ্টি উপাদানের মতো, কার্বোহাইড্রেট খাওয়াও আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয়। তবে এটি সীমিত পরিমাণে এবং সঠিক সময়ে খাওয়া উচিত। তা না হলে উপকারের চেয়ে শরীরের ক্ষতি হবে বেশি। সাধারণত, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন যে সকালের জলখাবারে কার্বোহাইড্রেট-ভিত্তিক খাবারগুলি এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ এমনটা করলে কর্টিসল এবং ডোপামিনের মতো রাসায়নিক নিঃসৃত হতে পারে, যা শরীরে অলসতা আনে। এক্ষেত্রে সকালের জলখাবার যতটা স্বাস্থ্যকর রাখবেন, তা শরীরের জন্য তত বেশি উপকারী হবে এবং সারাদিনের শক্তি বজায় রাখতে সাহায্য করবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক সকালে কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার খাওয়া কেন উচিত নয়।
সকালের জলখাবারে কার্বোহাইড্রেট খাবেন না কেন?
দৈনন্দিন রুটিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর শুরু হয় এবং ব্যস্ত সময়সূচীর কারণে আমাদের শরীরের প্রচুর শক্তির প্রয়োজন হয়। তাই সাধারণত পরামর্শ দেওয়া হয় যে সকালের জলখাবারে ভিটামিন এবং প্রোটিন-যুক্ত পুষ্টি ভিত্তিক খাবার খাওয়া উচিত। তাই জলখাবারে ফল এবং বাদামও অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। এতে কোন সন্দেহ নেই যে শরীরে কার্বোহাইড্রেটের প্রয়োজন রয়েছে, তবে সকালে এগুলি খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ এর ফলে অনেক ধরণের ক্ষতি হতে পারে, যেমন-
১. ওজন বাড়বে
সকালের জলখাবারে কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ করলে ইনসুলিনের সংবেদনশীলতা কমে যায়। যার কারণে পেট ও কোমরের চারপাশে চর্বি জমতে শুরু করে। তাই যদি ওজন নিয়ন্ত্রণের কথা ভাবেন, তাহলে ভেবেচিন্তে ব্রেকফাস্টে খাবার খান।
২. ক্ষুধা বাড়ায়
যদি সকালে কার্বোহাইড্রেট খান, তাহলে ঘ্রেলিনের প্রতিক্রিয়া বৃদ্ধি পেতে পারে। এটি একটি ক্ষুধার হরমোন যা মানব দেহের পাকস্থলী থেকে নিঃসৃত হয় এবং তারপরে মস্তিষ্ককে খাবার খাওয়ার সংকেত দেয়। অর্থাৎ বারেবারে ক্ষুধা বোধ হবে এবং কম সময়ের ব্যবধানে বারেবারে খাওয়ায় ওজন বৃদ্ধি পাবে।
৩. মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব
কার্বোহাইড্রেটযুক্ত ব্রেকফাস্ট মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরেও খারাপ প্রভাব ফেলে। কারণ এতে লেপটিনের সংবেদনশীলতা হ্রাস পায়। যার ফলে অনেক কাজেই তৃপ্তি অনুভব হয় না। সেই সঙ্গে সমস্ত ইন্দ্রিয়ও প্রভাবিত হতে শুরু করে।
আরও পড়ুন - 'দু'জনেই দুর্নীতিবাজ', মমতা-কেজরিওয়ালকে একযোগে নিশানা শুভেন্দুর