গ্রিন টি (green tea) হল একটি কম প্রক্রিয়াজাত চা যেটিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট (anti antioxidant) রয়েছে। গুরুগ্রামের ম্যাক্স হাসপাতালের অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর,গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি, হেপাটোলজি এবং এন্ডোস্কোপি বিশেষজ্ঞ ডা. আয়ুশ ধিংরার মতে, গ্রিন টি ব্ল্যাক টি-র চেয়ে ভালো। কারণ এতে বেশি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। ওই চায়ে ইজিসিজি (এপিগালোকেচিন গ্যালেট) রয়েছে।
নয়া দিল্লির বিএলকে-ম্যাক্স হাসপাতালের ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনিস্ট এবং ডায়েট এক্সপার্ট মেঘা জাইনা গ্রিন টি-কে একটি সুপার ফুড বলেছেন। যা গত ৫ থেকে ৭ বছরে খাদ্য শিল্পে এসেছে। যাইহোক। তবে তিনি এটা মনে করেন না, যে গ্রিন টি পান করলে ওজন কমে।
তাঁর কথায়, যদি আমরা কম ক্যাফেইন গ্রহণের বিষয়ে কথা বলি তবেই এটি উপকারী৷ এতে কোনও ক্যাফেইন নেই। এটি একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পানীয়। কিন্তু গ্রিন টি খেলে অসুখ সেরে যাবে, একথার কোনও ভিত্তি নেই।
একটি সাম্প্রতিক সমীক্ষায় দেখা গেছে যে উচ্চ মাত্রার গ্রিন টি নির্যাস দীর্ঘমেয়াদী সেবনে লিভারের ক্ষতি হতে পারে। তবে এই চা ক্যান্সার, কার্ডিওভাসকুলার রোগ, স্থূলতা এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিসের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিতে পারে।
দ্য জার্নাল অফ ডায়েটারি সাপ্লিমেন্টস-এ প্রকাশিত গবেষণায় মিনেসোটা গ্রিন টি ট্রায়ালের তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে। যা স্তন ক্যান্সারের উপর সবুজ চায়ের প্রভাবের একটি বড় গবেষণা। দলটি তদন্ত করেছে যে, নির্দিষ্ট জিনগত বৈচিত্র্যযুক্ত ব্যক্তিরা গ্রিন টি-তে প্রধান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, EGCG নামক ক্যাটিচিন, প্রতিদিন ৮৪৩ মিলিগ্রাম খাওয়ার পর অন্যদের তুলনায় লিভারে চাপ পড়ে কিনা।
দিনে ২৪ কাপের বেশি গ্রিন টি বা ফ্যাট-কাটার এবং ফুড সাপ্লিমেন্টে উপস্থিত গ্রিন টি নির্যাস লিভারের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। গবেষণার সিনিয়র লেখক এবং সহকারী অধ্যাপক হামেদ সামভাত বলেছেন, উচ্চ মাত্রার গ্রিন টি নির্যাস নিরাপদে নেওয়া যেতে পারে।
ডা. ধিংরা পরিমিত পরিমাণে গ্রিন টি-র উপকারিতার কথা জানান। তবে এর উচ্চ মাত্রা লিভারের ক্ষতি করতে পারে বলে জানিয়েছেন। তাঁর দাবি, অতিরিক্ত পরিমাণে যেকোনও কিছু লিভারের ক্ষতি করতে পারে।
আরও পড়ুন- শীতে শরীর গরম রাখতে মুঠো মুঠো কিশমিশ খাচ্ছেন? মারাত্মক বিপদ ডেকে আনছেন কিন্ত