ওজন বৃদ্ধির নেপথ্যে রয়েছে বেশি খাওয়া, তৈলাক্ত খাবার খাওয়া, জাঙ্ক ফুড খাওয়া, কম ঘুমের মতো বেশকিছু কারণ। ভারতীয়দের মধ্যে অনেকেরই যতক্ষণ না ওভার ওয়েট হয়ে যান ততক্ষণ তাঁরা অসুস্থতা বুঝতে পারেন না। যতক্ষণ না ভুড়ি বাড়ছে, কিংবা ওঠা বসা করতে কষ্ট হচ্ছে বা শ্বাস কষ্ট হচ্ছে ততক্ষণ অনেকেই মানতে চান না যে তাঁদের ওজন বাড়ছে। তবে একটা বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে, ওজন কখনোই নিজে থেকে কমে না। ওজন কমানোর জন্য প্রয়োজন ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটি, সঠিক খাবার এবং পর্যাপ্ত ঘুম।
এই প্রতিবেদনে আপনাদের তেমনই এক মায়ের গল্প বলা হবে যিনি নিজের ৩০ কেজি ওজন কমিয়েছেন। তিনি নিজের ছেলের দেখভালের পাশাপাশি নিজেকেও ফ্যাট টু ফিট করেছেন। Aajtak.in-কে নিজের এই ওজন কমানোর খুঁটিনাটি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন - বিছানায় বসেই ৮৮ কেজি ওজন কমালেন মহিলা, শরীর থেকে ঝোলে ভারী চামড়া
নাম - জ্যোতি থরওয়ে
বয়স - ৩০
পেশা - গৃহবধূ
শহর - এভরডিন, ইউনাইটেড কিংডম
উচ্চতা - ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি
সবচেয়ে বেশি ওজন - ৯০ কেজি
বর্তমান ওজন - ৬০ কেজি
ওজন কমানো হয়েছে - ৩০ কেজি
সবচেয়ে বেশি বিএমআই - ৩৪.৩৫
জ্যোতি জানাচ্ছেন, ২০১৮ সালে প্রেগনেন্সির পর তাঁর ওজন বাড়তে শুরু করে। সেটি বাড়তে বাড়তে ৯০ কেজিতে পৌঁছে যায়। ২০২১ সাল পর্যন্ত তাঁর ওজন ওইরকমই ছিল। এমনকি তিনি নিজেও কখনও ওজন কমানোর বিষয়ে ভাবেননি। তবে একবার আত্মীয় ও বন্ধুবান্ধবেরা তাঁর ওজন নিয়ে খুব মজা করেন। তারপরেই তিনি ওজন কমানোর সিদ্ধান্ত নেন। ইতিমধ্যেই ২০২১ সালে স্বামীর সঙ্গে ইউকে-তে যান জ্যোতি। সেখানে তিনি দেখেন যে সেদেশের মানুষ খুবই ফিট। তাঁরা অনেক ধরনের অ্যাক্টিভিটিও করেন। তখন সেগুলি করা তাঁর কাছে চ্যালেঞ্জ হয়ে ওঠে। কারণ তিনি সেগুল করতে চাইলেও, ওজনের কারণে করতে পারতেন না। এরপর তিনি ডায়েটে নজর দেন। যার জেরে ধীরে ধীরে তাঁর ওপজন কমতে থাকে, এবং ৭-৮ মাসের মধ্যে তাঁর ওজন ৩০ কেজি কমে যায়।
আরও পড়ুন - হানিমুনে গিয়ে লজ্জায় পড়েন, ফিরেই ৩৮ কেজি ওজন ঝরালেন স্বামী, এখন কেমন?
মূলত দিনে ৩ বার খাবার খেতেন তিনি। সকাল, দুপুর ও রাত্রি। এই তিন বেলার খাবারের মোট ক্যালরি হত প্রায় ১৭০০। রাতের খাবার তিনি সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে সেরে ফেলতেন। তারপর কিছুটা হাঁটতেন। এছাড়ও প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ও সন্ধ্যায় এক গ্রাস গরম জলে লেবু ও আদা মিশিয়ে খাওয়াও ছিল তাঁর রুটিন। চলুন দেখে নেওয়া যাক সারাদিনে কী কী খেতেন তিনি।
আরও পড়ুন - মাসে বিনিয়োগ মাত্র হাজার টাকা, কপাল ভাল থাকলে পেতে পারেন ২ কোটিরও বেশি
ব্রেকফাস্ট ( প্রায় ৪০০ ক্যালরি)
বাদাম ও কাজু
প্রোটিন শেক
লাঞ্চ (প্রায় ৮০০ ক্যালরি)
২টি রুটি বা ১টি বাজরা ভাকরি
২ কাপ ডাল বা ১ কাপ সবজি
সবুজ স্যালাড
১ গ্লাস ঘোল
ডিনার (প্রায় ৫০০ ক্যালরি)
স্যালাড ও সোয়া চাপ বা স্যালাডের সঙ্গে প্রোটিন শেক।
এছাড়া সপ্তাহে একদিন তিনি নিজের পছন্দের সমস্ত খাবার খেতেন। তবে কোনওদিনই তিনি জিমে এক্সাসাইজ করেননি বলে জানাচ্ছেন জ্যোতি। কিন্তু রোজ ৬ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে ৭ কিলোমিটার হাঁটতেন তিনি। তাতে প্রায় ৭০০ ব্যালরি বার্ন হত। এরপর ঘরে সামান্য ব্যায়াম করতেন। একটা সময় ৭ থেকে বাড়িয়ে রোজ ১০ কিলোমিটার হাঁটতে শুরু করেন। এভাবেই নিজের ওজন কমিয়ে ফেলেন জ্যোতি।
আরও পড়ুন - চার্জ চলাকালীন মোবাইল বিস্ফোরণ, কুলপিতে গৃহবধূর মৃত্যু