Warning Signs of Kidney Failure: কিডনি আমাদের শরীরের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। কিডনি আমাদের শরীরের অবাঞ্ছিত পদার্থগুলোকে ছেঁকে মূত্রের মাধ্যমে বের করে দেয়। আজ এমন ৪ লক্ষণ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক যেগুলি কিডনির গুরুতর সমস্যার আগাম ইঙ্গিত হতে পারে...
কিডনি রক্ত পরিশোধন এবং শরীর থেকে অতিরিক্ত তরল নির্মূল করে। কিন্তু যখন আপনার কিডনি ঠিকমতো কাজ করে না, তখন আপনার শরীরে নানা সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। এখানে এমন ৫ লক্ষণ সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়েছে যেগুলি আপনার দীর্ঘস্থায়ী কিডনির সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিকে নির্দেশ করে।
অল্পতেই ক্লান্তি ভাব:
যদি দেখা যায় তেমন পরিশ্রমের কাজ না করেও আপনার ক্লান্ত লাগছে বা মনোযোগ দিতে সমস্যা হচ্ছে, এবং এই সমস্যা প্রয়ই হচ্ছে, সে ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়া জরুরি। বিশেষজ্আঞদের মতে, কিডনির কার্যকারিতা মারাত্মকভাবে কমে যাওয়ার ফলে রক্তে টক্সিন এবং অমেধ্য জমা হতে পারে। এগুলি মানুষকে সহজেই ক্লান্ত এবং দুর্বল করে তুলতে পারে।
আরও পড়ুন: গরম জলে স্নান ডায়াবিটিকদের জন্য বিপজ্জনক, বাড়ে একাধিক সমস্যার ঝুঁকি
ত্বকের চুলকানি এবং শুষ্কতা:
বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি সুস্থ কিডনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে। এই অঙ্গ আপনার শরীর থেকে বর্জ্য এবং অতিরিক্ত অপ্রয়োজনীয় তরল অপসারণ করে, লাল রক্তকণিকা তৈরি করতে সাহায্য করে, হাড়কে শক্তিশালী রাখতে সাহায্য করে এবং আপনার রক্তে সঠিক পরিমাণে খনিজ পদার্থের ভারসাম্য বজায় রাখতে কাজ করে। শুষ্ক ত্বক এবং ত্বকে চুলকানি শরীরে খনিজের ঘাটতি এবং হাড়ের সমস্যার লক্ষণ হতে পারে যা প্রায়শই গুরুতর কিডনি সমস্যার ক্ষেত্রে ঘটে। যখন কিডনি আপনার রক্তে খনিজ এবং পুষ্টির সঠিক ভারসাম্য রাখতে পারে না, তখন এই সমস্ত সমস্যাগুলি শরীরে বাড়তে শুরু করে।
অতিরিক্ত ফেনাযুক্ত প্রস্রাব:
প্রস্রাবের সঙ্গে অত্যধিক ফেনা - বিশেষ করে যেগুলি চলে যাওয়ার আগে আপনাকে কয়েকবার ফ্ল্যাশ করতে হবে, সে ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়া জরুরি। প্রস্রাবে অত্যধিক ফেনা প্রোটিন নির্দেশ করে। এর অর্থ হল, আপনার কিডনি শরীরের অপ্রয়োজনীয় প্রটিন ছেঁকে বের করে দিতে পারছে না।
প্রস্রাবে রক্ত:
বিশেষজ্ঞদের মতে, কিডনির ফিল্টারগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হলে, রক্তকণিকাগুলি প্রস্রাবের সঙ্গে বেরিয়ে আসতে শুরু করে। কিডনিতে টিউমার, কিডনিতে পাথর বা সংক্রমণের কারণেও প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত বের হতে পারে।
কীভাবে কিডনি ফেইলিওরের ঝুঁকি এড়াবেন?
কিডনি ফেইলিওরের ঝুঁকি এড়াতে, আপনাকে অবশ্যই বছরে অন্তত একবার প্রস্রাব এবং রক্ত পরীক্ষা করাতে হবে। কিডনি ফেইলিওরের ঝুঁকি কমাতে ধূমপান বা অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকতে হবে। স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। এ ছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণ জল পান করতে হবে।