Nosebleeds: নাক থেকে রক্ত পড়া খুব চেনা ঘটনা। শিশু হোক বা প্রবীণ- অনেকেই এই সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন বা হন। তবে এই বিষয়টিকে একেবারেই অবহেলা নয়। বিশেষ করে শিশু বা কিশোরদের ক্ষেত্রে। কারণ তাঁদের স্থায়ী ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।
সে ব্যাপারেই জানাচ্ছিলেন মেডিকা হাসপাতালের বিশিষ্ট ইএনটি চিকিৎসক শৌভিক রায়চৌধুরি। বয়স ভেদে নাক থেকে রক্ত বের হওয়ার ধরন বদলে যায়। সেইসঙ্গে জটিলতাও পাল্টে যায়। অভিভাবকদের এ ব্যাপারে খেয়াল রাখা দরকার।
আরও পড়ুন: কলকাতা মেট্রোর টিকিট কাটুন ঘরে বসে, চালু QR Code পরিষেবা
কোন বয়সে হচ্ছে
নাকের ব্লিডিং কোন বয়সে হচ্ছে এবং কাদের হচ্ছে সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ নাক খুব ভাস্কুলার জায়গা এবং ব্লাড সাপ্লাই প্রচন্ড বেশি থাকে। এটা ঠিক, নাক থেকে রক্ত পড়া খুব কমন ব্য়াপার। বিভিন্ন বয়সে বিভিন্ন রকম কারণে তা হতে পারে।
আরও পড়ুন: তিনি ছেলে না মেয়ে, জানেই না দল, বিস্ফোরক অভিযোগ BJP প্রার্থীর
আরও পড়ুন: দলের বৈঠকে গরহাজির কেন? নুসরত-মিমিকে শোকজ
শিশুদের ক্ষেত্রে
তিনি জানান, শিশুদের ক্ষেত্রে এটা হতে পারে কারণ তারা নাকে হাত দেয়। খুবই কমন ইস্যু। আর এর ফলে নাকের মধ্যে সংক্রমণ হতে পারে। তারা নাকে হাত দিতে থাকে। রক্তপাতের পরিমাণ বেশি হয় না। সামান্য হয়। আবার মাঝে মধ্যে হতে পারে, মাঝে মধ্যে বন্ধ হয়ে যায়। মা-বাবা চিন্তিত হয়ে পড়েন। চিকিৎসকের কাছে আসেন। সেক্ষেত্রে দেখতে পাই, নাকে ছোট ক্ষত রয়েছে। শিশুর দিকে নজর রাখার কথা বলি। কিছু ড্রপ বা মলম দিয়ে তা খুব সহজেই তা সারিয়ে তোলা যায়। ক্ষত সারিয়ে তুললেই হবে। চিন্তার কিছু নেই।
আরও পড়ুন: কলা-ভুট্টা থেকে তৈরি হচ্ছে সুতো-কাপড়, রয়েছে বাঁশও, দেখুন
আরও পড়ুন: বাদামকাকুর সঙ্গে তুমুল নাচ স্যান্ডি সাহার, সেরে নিলেন 'মালাবদল'
ক্ষতি
এ ব্যাপারে অভিভাবকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে তিনি। জানান, তবে এটা ক্রমাগত হতে থাকলে ক্রনিক হয়ে যায়। ব্লিডিংয়ের পরিমাণ বাড়তে থাকে। স্থায়ী ক্ষতি দেখা দিতে পারে। নাকের আকার বদলে যেতে পারে। সারাতে অনেক দিন লাগবে। তবে প্রথম দিকে ধরা গেলে তা সহজেই সারিয়ে তোলা যেতে পারে।
কিশোর
কিশোরদের ক্ষেত্রে মানে ১০-১৪-১৫ বছরের ছেলেমেয়েদের খেত্রে নাক খোঁটার প্রবণতা কম। বারণ করলে শোনে। শিশুদের মতো নাকে হাত দেওয়া বা খোঁটার অভ্যাস থাকে না। তাদের সমস্যা দেখা দেয় নাকে টিউমারের মতো অ্যাঞ্জিওফ্রাইবোমা বা জুভেনাইল নেজাল অ্যাঞ্জিওফ্রাইবোমা থাকলে। বেশি পরিমাণ রক্ত বেরোয়। একদমই বাড়িতে বসে না থেকে। টিউমার তৈরি হচ্ছে কিনা দেখতে হবে।
আরও পড়ুন: সংস্কারের আশ্বাস, আত্রেয়ীর রাইখর মাছ ফের পাত পেড়ে?
পরিমাণ বেশি থাকলে সঙ্গে সঙ্গে সার্জারি করে বের করতে হয়। অ্যাঞ্জিওফ্রাইব্রোমা থেকে থাকলে চোখ, ব্রেন, হাড়ের ক্ষতি হতে পারে। সেগুলো চোখ, ব্রেন, হাড়ে ঢুকতে পারে। ব্লিডিংয়ের পরিমাণ বেশি থাকলে জীবনহানিও হতে হবে। একদম সময় নষ্ট নয়। জানাচ্ছেন তিনি।
তরুণদের হলে
তিনি বলেন, "আরও একটু বড় বয়সের ছেলেমেয়েদের ক্ষেত্রে দেখা যায় নাক আটকে যাচ্ছে। আসলে ছোট বেলায় চোট লেগেছিল বা পড়ে গিয়েছিল। বা বন্ধুদের সঙ্গে মারামারির ফলে চোট লেগেছিল। তখন বিশেষ বোঝা যায়নি।"
আরও পড়ুন: কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের চক্ষু চিকিৎসাকেন্দ্র ভাঙা পড়বে? প্রতিবাদ
আর তাই বড় বয়সে নাক আটকে আটকে যায়। নাক ঝাড়তে গিয়ে রক্ত বেরিয়ে যায়। শার্প একটা খাঁজ থাকে। এভাবেই চলছে। খাঁজ মধ্যে হয়ে রয়েছে। ঠান্ডা লাগলে ভাবছে নাক ঝাড়ছি। তবে আমরা দেখছি, তা নয়। এই যে আটকে যাচ্ছে, বার বার রক্ত হলে পারমানেন্ট সাইনাসের সমস্যা তৈরি হতে পারে।
তার থেকে বেশি বয়সীদের
একটু বড় বয়সে পলিপ বা ছোট টিউমার (অ্য়াঞ্জিউমা) হতে পারে। সাধারণত ব্লিড করে না। তবে কিছু কিছু আছে যেখান থেকে ক্ষেত্রে এটা বেশি হচ্ছে। খাঁজ বেশি নেই। সামান্য হচ্ছে। ওষুধ দিয়েই কাজ দেয়। ঘটনা হল, শিশুরা বুঝতে পারে না। বড় হলে বোঝা যায়। বয়স ভেদে সমস্যা আলাদা হয়। সেই হিসেবে চিকিৎসা।