
Orange Benefits: শীতের মরশুমে অনেক ফল-সবজি পাওয়া যায়। ফল বা সবজি আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী, এ কথা বোধহয় নতুন করে বলে দেওয়ার দরকার নেই। মরশুমি ফলের মধ্যে কমলালেবুকে সবথেকে ভাল বলে মনে করা হয়।
খেতে তো ভাল লাগেই। এর পাশাপাশি অনেক গুণ রয়েছে। সে কথা আমার কমবেশি সকলেই জানি। তবে তার যে এত গুণ, তা বোধহয় জানা ছিল না। আসুন জেনে নিই, কমলালেবুর গুণের ব্য়াপারে। পরের বার খাওয়ার সময় মনে পড়ে যাবে!
ওজন কমাতে সাহায্য করে
কমলালেবুতে রয়েছে প্রচুর ফাইবার। যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি এটি হজমের কাজেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। এই ফাইবার পেটে বেশ কিছু সময়ের জন্য থাকে। ফলে পেট ভরা থাকে। ওভারইটিং ঠেকায়। ফলে শরীরে ক্যালোরির পরিমাণ কম থাকে। জুসের থেকে ফল বেশি উপকারী।
ইমিউনিটি আর ত্বকের জন্য খুব ভাল
শীতের সময় ত্বক, মুখ এবং হজমশক্তি খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। কমলালেবুতে থাকা ভিটামিন সি শরীর ভাল রাখতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি ইমিউনিটি বাড়ায়। ভিটামিন সি ত্বকের জন্যও ভাল। তা তরুণ দেখাতে কাজে লাগে।
ঠান্ডা থেকে বাঁচায়
শীতর সময় অনেকেরই ঠান্ডা লাগে। খুবই সাধারণ ব্য়াপার এটা। এর থেকে খুব সহজেই বাঁচা যায়। আর তা হল কমলালেবু খাওয়া। হার্ভার্ড হেলথ স্টাডিতে প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, সর্দি-কাশিতে ভিটামিন সি খুব ভাল কাজ দেয়। কমলালেবুতে প্রচুর ভিটামিন সি থাকে।
হার্টের জন্য ভাল
আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের এক স্টাডিতে বলা হয়েছে, টকজাতীয় ফল বিশেষ করে কমলালেবু, আঙুরের মতো ফল। স্ট্রোকের আশঙ্কা কমিয়ে দেয়। তার মধ্যে থাকে ফ্লোবোনয়েড। মনে করা হয় এটি হার্টের রোগ থেকে বাঁচায়। এটি রক্ত কোষের কার্যক্ষমতা আরও ভাল করে।
কিডনি স্টোনের সম্ভাবনা কমায়
প্রস্রাবে সাইট্রেটের পরিমাণ কম থাকলে তা কিডনি স্টোনের আশঙ্কা বাড়িয়ে তোলে। সাইট্রেট এক সাইট্রিক অ্য়াসিড। যা সাধারণত কমলালেবুর মতো ফলে থাকে। কিডনিতে ছোট স্টোন থাকলে রোজ একগ্লাস করে কমলালেবুর জুস খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এটা প্রস্রাবে সাইট্রেটের পরিমাণ বাড়ায়। যা স্টো হওয়ার সম্ভাবনা কমায়।