Raisins Side Effects: শরীরের জন্য কিশমিশ খুবই উপকারী। এটি স্বাদে মিষ্টি। এর মধ্য়ে বেশ কিছু গুণ রয়েছে। বিশেষ করে শীতকালে কিশমিশ খাওয়া খুবই উপকারী। এই সময়ে কিশমিশ খেলে ফায়দা দ্বিগুণ হয়ে যায়।
যাঁদের এনার্জি কম, তাঁদের জন্য এটা খুবই ভাল। এটা শরীরকে এনার্জি দেয়। তার পাশাপাশি হাঁড় মজবুত করে। এর মধ্যে ফাইবার, প্রোটিন, আয়রন, পটাশিয়াম, কপার রয়েছে। সারা রাত জলে ভিজিয়ে সকালে সেটা খেলে খুবই উপকারী।
পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, আপনি একদিনে কতটা কিশমিশ খাচ্ছেন, তা দেখা খুবই দরকারি। বিশেষ করে তাঁরা, যাঁরা নিজেদের ক্যালোরি কমাতে চাইছেন। একদিনে আপনি ৪০ থেকে ৫০ গ্রাম কিশমিশ খেতে পারেন। বেশি করে কিশমিশ খেলে কিছু সমস্য়া দেখা দিতে পারে। আসুন জেনে নিই সেগুলো।
হজম শক্তির ওপর প্রভাব পড়তে পারে
কিসমিশে প্রচুর ফাইবার থাকে। এটা হজমের জন্য খুবই ভাল। তবে বেশি করে কিশমিশ খেলে আপনার হজম শক্তির ওপর প্রভাব পড়তে পারে। আর এটা অন্য পুষ্টিকর পদার্থ গ্রহণ করতে পারবে না।
ডায়েটারি ফাইবার আমাদের শরীরে থাকা অত্যাধিক তরল পদার্থকে শুষে নিতে পারে। আর এর ফলে ডায়েরিয়ার মতো সমস্য়া দেখা ঠিক করা যেতে পারে। আবার জল ছাড়া বেশি করে কিশমিশ খেলে আপনার ডিহাইড্রেশন, বদহজম এবং পেটের অন্যান্য সমস্য়া দেখা দিতে পারে।
স্কিন অ্য়ালার্জি
কিশমিশ খেলে কিছু মানুষের ত্বক বা স্কিনে অ্যালার্জি দেখা দেয়। আপনি যদি প্রথম বারের জন্য কিশমিশ খান এবং আপনার স্কিনে র্য়াশ বেরোয় বা চুলকানি শুরু হয়, তা হলে এটা না খাওয়াই ভাল।
ওজন বেড়ে যায়
এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি থাকে। আপনি যদি নিজের ওজন কমাতে চান, তা হলে কিশমিশ খাওয়ার ব্য়াপারে একটু সতর্ক থাকতে হবে।
বেড়ে যায় ব্লাড সুগার লেভেল
কিশমিশে সুগার এবং ক্যালোরির মাত্রা প্রচুর পরিমাণ থাকে। আর তাই কম খেলে এটি আপনাকে লাভ দিতে পারে। আর বেশি খেলে আপনার ব্লাড সুগার লেভেল বেড়ে যেতে পারে। ফলে এই কথাটা মাথায় রাখা দরকার।