Mother and Daughter Relationship: মানুষের জীবন কতই না রহস্যের! সম্পর্ক কত ঘাত-প্রতিঘাত নিয়ে এগিয়ে চলে। মা মেয়ের সম্পর্ক অটুট বিশ্বাসের। মা-কে নিজের বন্ধু হিসেবেই দেখে মেয়েরা। আর নিজের মনের গোপনে থাকা সব কথাই তার সঙ্গে ভাগ করে নেন।
আলাদা ছবিও থাকে
যদিও লন্ডনের একটা ঘটনা অনেককে নাড়িয়ে দিয়েছে। বলা যেতে পারে মা-মেয়ের সম্পর্কের একেবারে বিপরীত ছবি ফুটে উঠেছে সেখানে। ওই ঘটনায় এক মহিলা নিজের মায়ের বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের ব্যাপারে জানিয়েছে। খোলাখুলি সত্যি সেখানে তুলে ধরেছেন।
বড়ই বিচিত্র
আর তারপর বিশেষজ্ঞদের মত জানতে চেয়েছেন। ওই মহিলা লিখেছেন, আমি বেশ কয়েক বছর ধরে আমার মায়ের এক রহস্য লুকিয়ে রেখেছি। তাঁর মায়ের একাধিক সম্পর্ক ছিল এবং সবগুলোই বিবাহবহির্ভূত।
তিনি বলছেন, আমি সব জানতাম। কিন্তু লুকিয়ে রেখেছি, কাউকে কিছু জানাইনি। তিনি আগে আমাকে বলেছেন। অন্য পুরুষের সঙ্গে থাকতে বা সময় কাটাতে তাঁর কেমন লাগে, সে ব্যাপারে আমাকে সব সময় বলেছেন।
এক এক করে তুলে ধরেছেন
তিনি আরও লিখেছেন, মা সবসময় আমার বাবাকে অবহেলা করতেন। মা আমাকে বলতেন যে বাবার সঙ্গে ওঁর সম্পর্ক খুবই খারাপ। কতটা খারাপ হতে পারে বলতো। আর নিজে ক্ষোভ ও হতাশাগ্রস্থ থাকতেন। আমি যখন দশ বছর বয়স তখন মায়ের এক্সট্রা ম্যারেটাল আফেয়ার ব্যাপার জানতে পারি।
ওই মহিলার জানাচ্ছেন, মা আমাকে বাবার থেকে আলাদা করে দিয়েছে এখন আমার বয়স ৫০ বছর হয়ে গিয়েছে। পুরো পরিবারে মা আর তো বন্ধুদের মধ্যে বা বাকি অন্যদের কাছে তাঁর ছবি বেশ ঝকঝকে। তিনি বিনয়ী, নম্র স্বভাবের মহিলা। শুধু তাই না, আমার মেয়েও তাঁকে আদর্শ মনে করে।
নিজের গ্রাজুয়েশন সেরিমনিতে আমার মেয়ের মাকে নিয়ে যেতে চেয়েছিল। আর টিকিট ছিল না বলে মা যেতে পারেনি। এখন জীবনের এই পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছি যে নিজের মায়ের সঙ্গে সব সম্পর্ক ত্যাগ করতে চাই।
এখন আমি মায়ের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক রাখতে চাই না অনেক পিক তো হয়ে গেছে তাই আমি সব ছেড়ে চলে বেরিয়ে আসতে চাই। কেন সম্পর্ক ছিন্ন করতে চাই, সে ব্যাপারে লোকজনকে জানাতে হল।
তিনি লিখছেন, লোকজন তাঁকে আদর্শ মনে করেন কিন্তু তেমনটা না। আমি আমার মেয়ের সামনে তাঁর রহস্য কখনই খোলসা করব না। তাঁর ছবিও খারাপ করব না। তবে বুঝতে পারছি না কী করে তাঁকে জীবন থেকে সরাব।
বিশেষজ্ঞরা যা জানাচ্ছেন
বিশেষজ্ঞরা ওই মহিলাকে পরামর্শ দিয়েছেন, আপনার মা নিজেকে হালকা রাখার জন্য নিজের সব রহস্য আপনার সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন। আপনি অনেক কিছু সহ্য করেছেন। আপনি আপনার বাবার থেকেও আলাদা রয়েছেন।
তাঁরা জানাচ্ছেন, আপনি আপনার মা-কে বলুন বলতে পারেন যে ওঁর এই কাজ কারবার আপনাকে কতটা প্রভাবিত করেছে। আপনাকে বলা উচিত মেয়ের গ্রাজুয়েশন সেরিমনিতে আপনার যাওয়ার দরকার ছিল। আপনাকে সরাসরি খোলাখুলি কথা বলতেই হবে। আপনি এমন জায়গায় রয়েছেন যে মায়ের আফেয়ার্সের ব্যাপারে ভুলতে পারেননি।