সব বয়সের মানুষের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য সঠিক পুষ্টি প্রয়োজন। সঠিক খাবার খেলে অনেক রোগ প্রতিরোধ হয়। কিন্তু আধুনিক জীবনযাত্রার কারণে অনেকের খাদ্যাভ্যাস ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যা মানুষের স্বাস্থ্যের উপর খারাপ প্রভাব ফেলছে। আসুন জানি, ২০, ৩০ এবং ৪০ বছর বয়সে সুস্থ থাকার জন্য কী কী পুষ্টি দরকার এবং কোন বয়সে আপনার খাওয়া উচিত।
প্রসঙ্গত, আমাদের দেশে সাধারণত ৪০ বছরের পর থেকেই অনেকের শরীরে নানা সমস্যা দেখা যায়। ভুঁড়ি বাড়ে, ওজন বাড়তে থাকে। ফলে মানুষের কর্মক্ষমতা কমে যায়। চিকিৎসকরা বলছেন, বেশ কিছু নির্দিষ্ট খাবার খেলে সহজেই ওজন কমাতে পারবেন। সেজন্য খুব বেশি কসরতেরও প্রয়োজন পড়বে না। ৪০ বছরের পরে কী কী খাবার থেকে নিজেকে দূরে রাখবেন কীভাবে তা এইন প্রতিবেদনে জানাব। তার আগে জেনে নেওয়া দরকার, ২০ ও ৩০ বছরের মধ্যে যাদের বয়স তাঁরা কী খেলে সুস্থ থাকবেন।
২০ বছর বয়সে
২০ অর্থাৎ যুবক বা যুবতী। এই সময় মানুষের উপর চাকরি, বিয়ে, পরিবার, প্রেম সহ নানা বিষয়ে চাপ থাকে। তাই সুস্বাস্থ্যের প্রয়োজন। ব্রাউন ইউনার্ভিসিটি একটি সমীক্ষায় দেখিয়েছে এই বয়সের ছেলে-মেয়েরা যা খান তার প্রায় ২৫ শতাংশ হল ফাস্ট ফুড। ফলে তাদের মোটা হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই বাইরের খাবা র থেকে দূরে থাকা ভালো। তবে কাঁচা সব্জি, গাজর, শশা, মরশুমি ফল ইত্যাদি খাওয়া দরকার। টিফিন টাইমে বাড়ির খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো। এই বয়সের ছেলে-মেয়েদের খিদে বেশি পায়। তা বলে একবারে বেশি খাবার খাবেন না। ৩ সাড়ে ৩ ঘণ্টা অন্তর খান। অল্প অল্প করে।
আরও পড়ুন : 'বাবা হেফাজতে, মা'কে হারিয়েছি; কোনও প্রশ্নের উত্তর দেব না'
৩০ বছর বয়সে
৩০ বছর বয়স যখন হয় তখন বেশির ভাগ মানুষই চাকরি, পারিবারিক দায়িত্বে এতটাই জড়িয়ে পড়ে যে তাঁরা স্বাস্থ্যের দিকে মনোযোগ দিতে পারেন না। তাই এই বয়সে খাওয়া দাওয়া ঠিক মতো না করলে বাড়তে পারে দুর্বলতা।
এই বয়সে গাজর ,পালং শাক, ব্রোকলি, লেবু, সাবু খাওয়া দরকার। তবে পেস্ট্রি , সোডা, বিয়ার, বেশি মাংস এই খাবারগুলো এড়িয়ে চলুন।
৪০ বছর বয়সে
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ৪০ বছর বয়স থেকে শরীরের প্রতি সব থেকে বেশি মনোযোগ দেওয়া দরকার। তবেই আপনি পরবর্তী বছরগুলো সুস্থ থাকতে পারবেন। এই বয়স থেকেই সাধারণত কমবেশি সবাই মোটা হতে শুরু করেন। বাড়ে ওজন। যার জেরে শরীরে বিভিন্ন রোগের বাসা বাঁধে।
আরও পড়ুন : একটা পিৎজা কেড়ে নেয় জীবনের ৮ মিনিট, কোন খাবার কতটা আয়ু কমায়? জানুন
এই বয়সের মানুষের শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব দেখা যায়। সেজন্য ব্রোকলি, লেবু, পেঁপে, শাক-সব্জি ইত্যাদি বেশি করে খেতে হবে। প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার যেমন– মাছ, মাংস, ডিম ও দুধ খেতে হবে নিয়মিত। খাবার খেতে হবে সময়মতো।
৪০-এর পর অতিরিক্ত চর্বিজাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না। এছাড়াও ক্যাফিন এড়ানো উচিত। অত্যধিক ক্যাফেইন অম্বল এবং অ্যাসিডিটির কারণ হতে পারে। ভাজা খাবার, প্যাকেটজাত খাবার, তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। অতিরিক্ত লবন, চিনি থেকে সাবধান। খান তবে পরিমিত।