টাকি
বর্ষায় ঘুরে আসতে পারেন টাকি। নদীর উপর নৌকায় বসে বৃষ্টি উপভোগ করার জন্য় আদর্শ। কাছেই কিংফিশার আইল্যান্ড, ইছামতী নদীর ওপারে বাংলাদেশ। ইছামতীর তীরে টাকি বাঙালির ভ্রমণের পছন্দের জায়গা।
দিঘা
ব্রিটিশ আমল থেকে যে তিনটি জায়গা বাঙালির ঘোরার জন্য সবচেয়ে পছন্দের ছিল, তার মধ্যে একটি হল দিঘা। বর্ষায় সমুদ্রের দাপট দেখতে কিংবা বৃষ্টির মধ্যে ভিজে ভিজে সমুদ্র দর্শনের আলাদা মজা রয়েছে। নানা রকম সি ফুড আর মাছের সম্ভাব। কাছেই রয়েছে মন্দারমণি-তাজপুর-শঙ্করপুর। এগুলিও টোটে চেপে ঘুরে আসা যায়। উইকেন্ডের ২-৩ দিনের ছুটি কাটানোর একেবারে আদর্শ।
গেঁওখালি
খুব একটা পরিচিত নয় আম পর্যটকের কাছে। কিন্তু অফবিট এই লোকেশন ডুয়ার্সের সৌন্দর্যকে হার মানায়। এবার তাহলে ঘুরে আসুন গেঁওখালি। মহিষাদলের কাছে ছোট্ট এই গ্রাম অনবদ্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মোড়া। রূপনারায়ণ ও হুগলি নদীর সঙ্গমস্থল এখানকার আকর্ষণ। খরচ কম, ভিড়ভাট্টা, কোলাহলবিহীন দারুণ জায়গা।
ডুয়ার্স
ডুয়ার্স মানেই জঙ্গল। যদিও বর্ষার ৩ মাস ডুয়ার্সের জঙ্গল বন্ধ থাকে। তবে জঙ্গল ঘেঁষে রিসর্ট বা বাংলোয় বসে বৃষ্টি উপভোগ করাও কম আকর্ষণের নয়।খরচও সাধ্যের মধ্য়েই। ট্রেনে চেপে এনজেপি নেমে পড়লেই হল। যেখানে ইচ্ছে চলে যান। গরুমারা, লাটাগুড়ি, বক্সা, জয়ন্তী, জলদাপাড়া।
গাদিয়াড়া
দামোদর, রূপনারায়ণ এবং হুগলি নদীর সঙ্গমস্থলে অবস্থিত গাদিয়ারাও হতে পারে আপনার মনসুন উইকেন্ড ডেস্টিনেশন। দারুণ জায়গা। হাত পা ছড়িয়ে ২-৩ দিন নির্ভেজাল ছুটি কাটানোর অপূর্ব ঠিকানা।
পারমাদন
বনগাঁ শহররে খুব কাছে, বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষা পারমাদন উইকেন্ডে ঘোরার জন্য আদর্শ। ইছামতীর ধারে ৬৮ বর্গকিলোমিটার জায়গা নিয়ে তৈরি হয়েছে পারমাদন অভয়ারণ্য। বর্ষায় সেটা বন্ধ থাকলেও জঙ্গল ঘেঁষা কোনও রিসর্টে কয়েকটা দিন কাটিয়ে দিন দিব্য়ি।
গড়পঞ্চকোট
পাহাড়ে ঘেরা এই জায়গা ইতিহাসে মোড়া। কাছেই আছে পাঞ্চেত ড্যামও। সব মিলিয়ে ২-৩ দিনের জন্য আদর্শন মনসুন ডেস্টিনেশন। পুরুলিয়া জেলার গড়পঞ্চকোট এখন পর্যটকদের অন্যতম পছন্দের জায়গা। খরচ কম, সুন্দর ছুটি কাটানোর আদর্শ কেন্দ্র।
মাইথন
নদী বাঁধের ধারে সূর্যাস্ত আর গোধূলি লগ্নের সৌন্দর্য উপভোগের দারুণ ঠিকানা মাইথন। স্পিড বোটেরও বন্দোবস্ত আছে। ঘুরতে পারেন। তবে সবচেয়ে পছন্দের এর সৌন্দর্য। অপরূপ মাইথনের ধারে দু-তিন দিন কাটানোর দারুণ ঠিকানা।
ম্যাসানজোর
উইকেন্ড ভ্রমণের জন্য ম্যাসানজোর আদর্শ। বর্ষাকালে এর দামাল উত্তাল রূপ। বৃষ্টি মাথায় করে ঘুরতে চাইলে এমন জায়গাই তো চাওয়ার পাশে রয়েছে ঘন সবুজ। পছন্দের রিসর্ট বা বাংলো বুক করে পা ঝুলিয়ে বসে থাকুন। আর এটা ওটা খেতে শুরু করুন। পয়সা উশুল।
শান্তিনিকেতন
এমনিতেই বাঙালিদের অন্যতম পছন্দের জায়গা শান্তিনিকেতন। রবি ঠাকুরের আবেগ আর লালমাটির সৌন্দর্য মাখা শান্তিনিকেতন ঘোরার দারুণ সময় বর্ষা। গাছের পাতা চুঁইয়ে নেমে আসা বৃষ্টির জল আর কাব্যিক আমেজে সবাই যেন কবি হয়ে যান। বাঙালির কাছে দারুণ উইকএণ্ড ডেস্টিনেশন কলকাতার কাছেই।