কুন্নুর-
কুন্নুর হল তামিলনাড়ুর চিরহরিৎ পাহাড়ি স্থান। নীলগিরি জেলায় অবস্থিত এই সবুজ এবং সুন্দর স্থানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সকলকে আকর্ষণ করে। সবুজে মোড়া এই স্থানে থাকলে সমস্ত মানসিক ক্লান্তি ও চাপ ভ্যানিশ হয়ে যায়।
বন্য ফুল এবং পাখির বৈচিত্রের জন্যও এই জায়গাটি বেশ বিখ্যাত। প্রাকৃতিক দৃশ্য ছাড়াও এখানে ট্রেকিং উপভোগ করতে পারবেন। তাই পুজোর ছুটিতে যেতেই পারেন এই জায়গায়। তবে অক্টোবর মাসে কুন্নুরে একটু ঠান্ডা পড়ে। তাই এই সময়ে সঙ্গে শীতের কাপড় নিয়ে যেতে ভুলবেন না।
অমৃতসর-
অমৃতসরকে পঞ্জাবের সবচেয়ে সুন্দর এবং পবিত্র শহর বলে মনে করা হয়। পবিত্র কারণ শিখদের সবচেয়ে বড় এবং বিখ্যাত গুরুদ্বার গোল্ডেন টেম্পল এই শহরেই অবস্থিত। তাজমহলের পর সবচেয়ে বেশি পর্যটকরা এই গুরুদ্বারটি দেখতেই ভিড় জমান।
তবে শুধু স্বর্ণমন্দিরই নয় অমৃতসরের জালিয়ানওয়ালাবাগ এবং ওয়াঘা বর্ডারও পর্যটকদের কাছে দারুণ জনপ্রিয়। অক্টোবর মাসে বেড়ানোর পক্ষে অমৃতসরের চেয়ে ভালো জায়গা বুঝি খুঁজে পাবেন না। আর হ্যাঁ, সেখানে গেলে অবশ্যই সেখানকার স্ট্রিট ফুডের স্বাদ নেবেন। সকাল সন্ধে যখন ইচ্ছে শহর ঘুরতে পারবেন।
নৈনিতাল –
স্বপরিবারে যান কিংবা প্রিয় মানুষের সঙ্গে অথবা বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে নৈনিতাল যেতে পারেন। অপূর্ব সুন্দর একটি স্থান। অক্টোবর মাসে নৈনিতালের আবহাওয়া দারুণ মনোরম থাকে।
নৈনিতালের আনাচকানাচে খুঁজে পাবেন ছোটো বড় হ্রদ। তাই বুঝি নৈনিতালের আরেক নাম ভারতের লেক ডিস্ট্রিক্ট। প্রতিটি হ্রদের সৌন্দর্যও যেন একে অপরেরসঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামতে পারে। নৈনিতালে সবচেয়ে বেশি ভিড় হয় গ্রীষ্মকালে। সেই তুলনায় অক্টোবরে খানিকটা ফাঁকাই থাকে।
আগ্রা-
হাতে দুই তিনদিন ছুটি থাকলে ঘুরে আসতে পারেন উত্তরপ্রদেশের আগ্রা থেকে। তাজমহল দর্শন তো হবেই ঘুরে দেখতে পারে যমুনা নদী, আগ্রা ফোর্ট সহ একাধিক দর্শনীয় স্থান। কয়েক ঘণ্টার দূরত্বে অবস্থিত দিল্লি থেকেও ঘুরে আতে পারেন এই ট্যুরে।
গরমে এই স্থানগুলি ঘুরে দেখা কষ্টসাধ্য। কিন্তু অক্টোবর মাসে এখানকার আবহাওয়া অত্যন্ত মনোরম। আগ্রায় অবশ্য সবচেয়ে বেশি ভিড় হয় শীতকালে। তাই এইবেলা ঘুরে আসতে পারলে লাভই হবে।
জিম করবেট জাতীয় উদ্যান-
নৈনিতালে হ্রদ দেখা হয়ে গেলে জঙ্গল সাফারিটাও সেরে ফেলতে পারেন। আর অক্টোবর মাসে বিশ্ব বিখ্যাত জিম করবেট জাতীয় উদ্যান ভ্রমণের রোমাঞ্চই আলাদা। অক্টোবর মাসে জঙ্গলে না গরম না ঠান্ডার একটা পরিবেশ।
আর এই সময়ই সিংহদের দর্শন মেলে সবচেয়ে বেশি। ছোটোদের তো এই জায়গা ভালো লাগবেই বড়রাও রোমাঞ্চিত হবেন।নৈনিতাল থেকে জিম করবেট জাতীয় উদ্যান যেতে মোটামুটি আড়াই ঘণ্টা মতো লাগে।