ভোটে হিংসার অভিযোগ তুলে পুনর্নির্বাচন দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই সঙ্গে জানিয়ে দিলেন, মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছে বিজেপি। যে সব প্রিসাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসার পক্ষপাতিত্ব করেছেন তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর করতে হবে বলে দাবি করেছেন বিরোধী দলনেতা।
সব বুথে কি সিসিটিভি বা ভিডিওগ্রাফির ব্যবস্থা ছিল? সেই প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর কথায়,'মঙ্গলবার হাইকোর্টে আমাদের অভিযোগ জানাব। রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের উপর আস্থা রেখেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। আমরা বিজেপির তরফে প্রথম থেকে দাবি করেছি, সিসিটিভির নজরদারিতে নির্বাচন প্রক্রিয়া করতে হবে। ব্যালট বক্স গণনাকেন্দ্র পর্যন্ত ভিডিওগ্রাফি করতে হবে। হাইকোর্টে লিখিত দিয়ে কমিশন আশ্বস্ত করেছিল ৯৫ শতাংশ বুথে সিসিটিভি লাগিয়ে দিয়েছি। বাকি বুথে ভিডিওগ্রাফি হবে। যে সব বুথে বাইরের লোক ঢুকেছে, সেখানে নির্বাচন করতে হবে।'
এ দিন সকালেই কালীঘাট অভিযানের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। গণ অভ্যুত্থানের পক্ষে সওয়াল করেছেন। তিনি বলেন,'দুটো রাস্তা রয়েছে। জনগণের অভ্যুত্থান। চলো কালীঘাট। ইটগুলো খুলি। গুলি করুক। প্রথমে দশ-বিশ জন মরবে। আমি থাকতে রাজি। এতে বাংলার দশ কোটি মানুষ বেঁচে যাবে। দ্বিতীয়টি হল, ৩৫৬ অথবা ৩৫৫ করে নির্বাচন।' এ দিন আজতক-কে শুভেন্দু বলেন,'বাংলায় গণতন্ত্রের অপমৃত্যু হয়েছে। ১৫ জনের বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন হিংসায়। ৬১ হাজার বুথে চলেছে রিগিং। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগসাজশ করে ভোটকে প্রহসনে পরিণত করেছে রাজ্য় নির্বাচন কমিশন। বাংলায় গণতন্ত্রের পুনরুত্থানে বদ্ধপরিকর বিজেপি।'
এ দিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি লিখেছেন, হিংসায় মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের। গণতন্ত্র ফেরানোর জন্য কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ চেয়েছেন সুকান্ত। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দাবি করেছেন, বাংলার হিংসার পরিস্থিতি নিয়ে রিপোর্ট চেয়েছেন অমিত শাহ।
শুভেন্দুদের পাল্টা দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তাঁর কথায়,'হার নিশ্চিত বুঝতে পেরে গিয়েই এ সব বলছে। বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি করার আগে মণিপুর নিয়ে দিল্লির দাদাদের সঙ্গে কথা বলা উচিত শুভেন্দুর।'
আরও পড়ুন- কেউ ব্যালট বাক্স নিয়ে পালাচ্ছে, কেউ বোমা ছুঁড়ছে: পঞ্চায়েত নির্বাচনের ৫ ভিডিয়ো