আর কয়েক ঘণ্টা পরই কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী। জন্মাষ্টমীতে শ্রীকৃষ্ণের আরাধনা করেন ভক্তরা। তাঁর পুজো করলে জীবনে মেলে সুখ ও সমৃদ্ধি। জ্যোতিষশাস্ত্রে ১২টি রাশির কথা বলা হয়েছে। প্রতিটি রাশির রয়েছে আলাদা আলাদা অধিপতি। কোনও ব্যক্তির ভবিষ্যৎ এবং প্রকৃতি নির্ভর করে তাঁর রাশির উপরে। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, ১২ রাশির মধ্যে ৪ রাশিতে সবসময় থাকে শ্রীকৃষ্ণের বিশেষ আশীর্বাদ রয়েছে। শ্রীকৃষ্ণ বিষ্ণুর অষ্টম অবতার। ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে রোহিণী নক্ষত্রে জন্মগ্রহণ করেছিলেন শ্রী কৃষ্ণ। এ বছর ৬ এবং ৭ সেপ্টেম্বর শ্রীকৃষ্ণ জন্মাষ্টমী উদযাপিত হবে। কোন কোন রাশির জাতক-জাতিকারা পান শ্রীকৃষ্ণের কৃপা-
বৃষ- জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, বৃষ রাশির জাতক-জাতিকাদের খুব পছন্দ করেন শ্রীকৃষ্ণ। শ্রী কৃষ্ণের কৃপায় এই রাশির জাতক-জাতিকারা সব কাজে সাফল্য লাভ করেন। এই রাশির জাতক-জাতিকাদের উচিত শ্রীকৃষ্ণকে স্মরণ করা। শ্রীকৃষ্ণের দয়ায় তাঁরা সমৃদ্ধি ও আর্থিকলাভ করেন। বৃষ রাশির জাতক-জাতিকারা উন্নতি লাভ করবেন।
কর্কট- জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, কর্কট রাশির জাতক-জাতিকাদের প্রতি শ্রীকৃষ্ণ সদয় হন। এই রাশির জাতক-জাতিকারা প্রতিটি কাজে সাফল্য পান। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, শ্রীকৃষ্ণের আশীর্বাদপ্রাপ্ত লোকেরা মৃত্যুর পরে মোক্ষলাভ করেন। কর্কট রাশির জাতক-জাতিকারা পরিশ্রম করে কাজ করলে সফল হন। তাঁরা কখনও ব্যর্থ হন না।
সিংহ- এই রাশির জাতক-জাতিকাদের উপর রয়েছে শ্রীকৃষ্ণের বিশেষ আশীর্বাদ। এই রাশির জাতক-জাতিকারা পরিশ্রমী প্রকৃতির। এই রাশির জাতক-জাতিকারা পরিশ্রমের ফল পান। এই রাশির জাতক-জাতিকাদের উচিত শ্রীকৃষ্ণের পুজো করা। তাঁরা যে কোনও কাজ মনোযোগ দিয়ে করেন। সেই কাজে তাঁরা সাফল্যলাভ করেন। কেরিয়ারে উন্নতি করেন। তাই সিংহ রাশির জাতক-জাতিকাদের উন্নতি করতে গেলে কখনও পরিশ্রম ছাড়া উচিত নয়।
তুলা- এই রাশির জাতক-জাতিকাদের উপর শ্রীকৃষ্ণের বিশেষ আশীর্বাদ থাকে। শ্রী কৃষ্ণের কৃপায় তুমি জীবনের সকল সুখ লাভ করেন তাঁরা। তাঁরা জীবনে সম্মান অর্জিত করেন। তুলা রাশির জাতক-জাতিকাদের সর্বদা শ্রীকৃষ্ণের নামে ধ্য়ান করা উচিত। সব দিক থেকে তাঁরা সাফল্য পান। নিষ্ঠা নিয়ে পরিশ্রম করলে তাঁরা সফল হন।