Advertisement

স্পেশাল

আগে-পিছে ধাক্কায় পৃথিবীতে আছড়ে পড়বে চাঁদ! এও কি সম্ভব?

Aajtak Bangla
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 08 Feb 2022,
  • Updated 8:36 PM IST
  • 1/9

২০২২ সালে লায়ন্সগেটে একটি ছবি মুক্তি পেয়েছে। যার নাম মুনফল (Moonfall)। ছবিতে দেখানো হয়েছে, রহস্যময় একটি শক্তি চাঁদকে ধাক্কা দিয়ে পৃথিবীর দিকে পাঠিয়ে দিচ্ছে। পৃথিবীকে চাঁদ আছড়ে পড়লে ভাবুন কী হতে পারে! যাই হোক আশঙ্কার কারণ নেই। এটা একটা কল্পবিজ্ঞানের ছবি। এখানে মুখ্য চরিত্র চাঁদকে বাঁচিয়ে নেয়। কিন্তু সত্যিই কি চাঁদকে কক্ষচ্যুত করা যেতে পারে? (ছবি- লায়ন্সগেট)
 

  • 2/9

চাঁদের চারপাশে রয়েছে গ্যাসের আবরণ। যাকে এক্সোস্পিয়ার (Exosphere) বলে। পৃথিবী সৃষ্টি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ৪৫০ কোটি বছর আগে তৈরি হয়েছিল। তার পর থেকে পৃথিবীর মহাকর্ষণ বলের কারণে চারপাশে চক্কর কাটছে। নাসার দাবি, পৃথিবী তৈরি হওয়ার সময় থিয়া নামে একটি প্রোটোপ্ল্যানেটের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। তখনই চাঁদ সৃষ্টি হয়। (ছবি- গেটি)
 

  • 3/9

আর একটি তথ্য বলছে, মহাকাশের জ্যোতিস্ক্রিয় বস্তুর সঙ্গে আঘাতে তৈরি হয়েছে পৃথিবী ও চাঁদ। ওই দুই বস্তুর মঙ্গল গ্রহের থেকে পাঁচগুণ বড় ছিল। চাঁদের ওজন প্রায় ৭.৩৫ কোটি মেট্রিক টন। অর্থাৎ পৃথিবীর আকারের এক চতুর্থাংশ। দূরত্ব ৩.৮৫ লক্ষ কিলোমিটার। চাঁদে বড় বড় গহ্বর রয়েছে। উল্কাপিণ্ড এসে পড়ায় এগুলির সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করা হয়। (ছবি- গেটি)
 

  • 4/9

ক্যালিফোর্নিয়ায় নাসার গবেষণগার সেন্টার নিয়ার আর্থ অবর্জাভেটরি স্টাডিজের (CNEOS) ম্যানেজার পল চোডসের কথায়, প্রচুর গ্রহাণুর সংঘর্ষ হচ্ছিল। প্রতিটি সংঘর্ষের পর চাঁদের দিকে এসে পড়েছে গ্রহাণু টুকরো। এতটাই গাড় হয়ে গিয়েছিল তেজস্ত্রিয় আবর্জনা যে সূর্যের আলো পর্যন্ত বাধা পেয়েছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে সেগুলি পরিষ্কার হয়ে যায়। (ছবি- নাসা)
 

  • 5/9

পৃথিবীর কাছাকাছি থাকা উল্কাপিণ্ড ও গ্রহাণুর উপরে নজর রাখেন নাসার গবেষকরা। মহাকাশে পৃথিবীর কাছাকাছি ২৮ হাজার বস্তু খুঁজে ফেলেছেন তাঁরা। এগুলি পৃথিবী থেকে ১৯.৪৫ কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে রয়েছে। (ছবি- গেটি)

  • 6/9

কিন্তু চাঁদ ও পৃথিবীর সংঘর্ষ কি হতে পারে? পলের কথায়, না এটা সম্ভব নয়। কারণ চাঁদের থেকে পৃথিবীর মহাকর্ষ বল অনেক বেশি। আর চাঁদ যদি সক্ষম হত তাহলে এতদিনে ধাক্কা লেগে যেত। ৪৬০ ফুট ব্যাসের কোনও গ্রহাণুর সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষ হলে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। (ছবি- গেটি)

  • 7/9

চাঁদকে ধাক্কা দেওয়া বা পৃথিবীর দিকে পাঠিয়ে দেওয়া প্রায় অসম্ভব। কোনও গ্রহাণু এসে আঘাত করলেই তা সম্ভব। তাও চাঁদকে ধাক্কা মারার মতো বড় হতে হবে ওই গ্রহাণুকে। আর চাঁদ ভেঙে গেলে পুরোটাই পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসবে এমনটা নয়। একটা অংশ আসতে পারে। তবে নিকট ভবিষ্যতে, হাজার বছরে এমন সম্ভাবনা নেই। (ছবি- গেটি)

  • 8/9

নাসা জানিয়েছে, গোটা সৌরমণ্ডলে এই মুহূর্তে চাঁদের আকারে গ্রহাণু নেই। সবচেয়ে বড় গ্রহাণুও চাঁদের থেকে ৭০ গুণ ছোট। মঙ্গল ও বৃহস্পতির কাছাকাছি রয়েছে এই গ্রহাণুগুলি। যার দূরত্ব পৃথিবী থেকে ১৪ কোটি কিলোমিটার। (ছবি- গেটি)

  • 9/9

প্রাকৃতিক বস্তু তো ধাক্কা দিতে পারে না। কিন্তু মানব প্রযুক্তি? ২০১৫ সালে উৎক্ষেপিত স্পেসএক্স ফ্যালকন ৯ রকেট বুস্টার ২০২২ সালের মার্চে চাঁদকে ধাক্কা মারতে চলেছে। রকেটের ওজন ৪৪০০ কিলোগ্রাম। ৯২৮৮ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টার গতিতে ৪ অথবা ৫ মার্চ চাঁদের ভূপৃষ্ঠে আছড়ে পড়বে এই রকেট বুস্টার। তার ফলে চন্দ্রপৃষ্ঠে ৬৫ ফুট গর্ত সৃষ্টি হতে পারে। (ছবি NASA/Goddard/Arizona State University) 

Advertisement
Advertisement