ভূমিকম্প যে শুধুমাত্র পৃথিবীতেই হয় তা নয়, অন্য আরেক গ্রহেও Earthquake-এর ঘটনার খোঁজ পেলেন বিজ্ঞানীরা। এই প্রথমবার সৌরজগতের বাইরে টেকটনিক অ্যাক্টিভিটির দেখা পাওয়া গেল। ওই গ্রহের অন্তঃস্থ উষ্ণতম লাভার সরণের ফলে গতিশীল হয়ে পড়ে টেকটনিক প্লেটগুলি। ফলস্বরূপ সেই ধাক্কার জেরে ভূমিকম্পের সৃষ্টি হয়।
দ্য অ্যাস্ট্রোফিজিকাল লেটার জার্নালে এই স্টাডিটি প্রকাশিত হয়। পৃথিবী থেকে ৪৫ লক্ষ কিলোমিটার আলোকবর্ষ দূরে রয়েছে এই গ্রহটি। এই এক্সোপ্ল্যানেটির নাম-LHS 3844B। এর মধ্যে অনেক আগ্নেয়গিরিও সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। আর এই সকল অগ্ন্যুৎপাতের ফলে নড়েচড়ে উঠছে টেকটনিক প্লেটগুলি। যার জেরে প্রতিনিয়ত ভূমিকম্প হচ্ছে সেখানে।
এই গ্রহটি পৃথিবীর থেকে কিছুটা বড় এবং পাথরে পরিপূর্ণ। এর চারিপাশে ঘুরছে একটি লাল রঙের বামন গ্রহ। এর ঘূর্ণন গতিবেসগ এতটাই বেশি যে ১১ ঘন্টায় এক বছর হয় সেখানে। যেহেতু এখানের বায়ুমন্ডল বলে কিছু নেই তাই খুব সহজেই গ্রহের অভ্যন্তরে কী ঘটছে তা দেখা যায়।
কিন্তু পৃথিবীর মতো বায়ুমন্ডল বেষ্টিত হলে বোঝার উপায় থাকত না। এর মাধ্যাকর্ষণ শক্তিও পৃথিবীর থেকে অনেকটা বেশি।
দিনের বেলা এই গ্রহে তাপমাত্রা থাকে ৮০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাতে তাপমাত্রা নেমে যায় -২৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন আবহাওয়ার এমন মারাত্মক তারতম্যের ফলে টেকটনিক গতিবিধি হচ্ছে।
পৃথিবীতে যেমন এই ভূস্তরীয় ভূমিকম্পের ফলেই পাহাড়ের সৃষ্টি হয়েছে। বহু জায়গায় লাভা শক্ত হয়ে দ্বীপপুঞ্জ তৈরি হয়েছে। তবে এই গ্রহে যেহেতু বায়ুমন্ডল নেই তাই তাপমাত্রার এই বিরাট পরিবর্তন রয়েছে।
বিজ্ঞানী টোবিয়াস মেইয়ার এবং তাঁর দল এই গ্রহটিকে আরও বিশদে বিশ্লেষণ করে চলেছেন। কী কী ভূ তাত্ত্বিক পরিবর্তন ঘটছে সেগুলিকে পরীক্ষা করে দেখার কাজও করছেন। সেই কাজ করতে গিয়েই এই ঘটনা ধরা পড়ে তাঁদের চোখে।