Advertisement

Bapuji Cake: মুদ্রাস্ফিতির চাপ, টিকে থাকার মরিয়া চেষ্টায় বাঙালির নস্টালজিয়া ‘বাপুজি’ কেক

স্বাধীনতা দিবস বা স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা— সব ক্ষেত্রেই ছোট থেকে বড়দের টিফিনের ভরসা বাপুজি কেক। বাংলায় বাপুজি কেকের পথ চলা শুরু হয় ১৯৭৩ সালে। না মোড়কের জৌলুস ছিল বা আছে, না স্বাদে কোনও রকম পরিবর্তন এসেছে এই ৪৮ বছরে। তবুও হাজারও নামী-দামি কেকের ভিড়ে এখনও বাঙালির মনে পা্কা জায়গা করে নিয়েছে বাপুজি কেক।

বাঙালির নস্টালজিয়া ‘বাপুজি’ কেক। ছবি: ভোলানাথ সাহা।
সুদীপ দে
  • কলকাতা,
  • 23 Dec 2021,
  • अपडेटेड 9:36 AM IST
  • স্বাধীনতা দিবস বা স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা— সব ক্ষেত্রেই ছোট থেকে বড়দের টিফিনের ভরসা বাপুজি কেক।
  • হাজারও নামী-দামি কেকের ভিড়ে এখনও বাঙালির মনে পা্কা জায়গা করে নিয়েছে বাপুজি কেক।
  • বাংলায় বাপুজি কেকের পথ চলা শুরু হয় ১৯৭৩ সালে।

সামনেই বড়দিন। সর্বত্র উৎসবের আমেজ। শীত পড়তেই ফিরেছে কেকের পসরা। মহামারীর ধাক্কা সামলে ফের জমে উঠেছে কেকের বাজার। তবে বড় বড় সংস্থার কেকের বাজারের হাল ফিরলেও ছোট ছোট বেকারিগুলি এখনও ধুঁকছে। টিম টিম করে টিকে আছে।

আরও পড়ুন: চার্জিংয়ের ঝামেলা নেই এই ইলেক্ট্রিক স্কুটারে; দাম ৪৫০৯৯ টাকা!

মুদ্রাস্ফিতির ধাক্কায় কেকের কাঁচামালের দাম এখন আকাশছোঁয়া! এরই মধ্যে কোনও রকমে টিকে রয়েছে বাঙালির নস্টালজিয়া, ছেলেবেলার স্মৃতি-মাখা স্কুলের টিফিনের বাপুজি কেক। শুধু স্কুলের টিফিনেই নয়, বিকেলের অল্প খিদে মেটাতে সস্তায় পুষ্টিকর কেক মানেই বাপুজি। আট বা নয়ের দশকে যাঁদের জন্ম, তাঁরা জানেন স্বাধীনতা দিবস বা স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা— সব ক্ষেত্রেই ছোট থেকে বড়দের টিফিনের ভরসা বাপুজি কেক।

বাংলায় বাপুজি কেকের পথ চলা শুরু হয় ১৯৭৩ সালে। ওই বছর আলোকেশ জানা প্রথম ‘নিউ হওড়া বেকারি প্রাইভেট লিমিটেড’ নামে নিজের সংস্থার রেজিস্ট্রেশন করেন, যেখানেই তৈরি হতে শুরু করে বাঙালির সাধের বাপুজি কেক।

আরও পড়ুন: অনলাইন কার্ড পেমেন্টের নতুন নিয়ম জানেন? নইলে সমস্যায় পড়বেন

বাপুজি কেক মূলত মধ্যবিত্ত বাঙালির পকেটসই দামের বিশেষ ধরনের ফ্রুট কেক। কেকের পাশাপাশি বিভিন্ন বিস্কুট আর পাউরুটিও তৈরি করছে এই সংস্থা। চরম মুদ্রাস্ফিতির জামানায় এখনও বাপুজি কেক পাওয়া যায় ৬-৭ টাকায়। দীর্ঘ ৪৮ বছরে দাম কতটুকু বেড়েছে এই কেকের, তা এর থেকেই আন্দাজ করা যায়।

আরও পড়ুন: দেশের কত টাকার নোট ছাপতে কত খরচ জানেন? জেনে নিন

এই সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা অলোকেশ জানার দুই ছেলে অমিতাভ জানা এবং অনিমেষ জানা এখন বাপুজি কেকের ব্যবসা এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। করোনার জন্য রাজ্যে স্কুল সে ভাবে চালু না হওয়ায় বিক্রি প্রায় ৪০ শতাংশ কমে গিয়েছে বাপুজি টিফিন কেকের। তার উপর ১৮ শতাংশ জিএসটির বোঝায় কাবু বাংলার এই ঐতিহ্যের বেকারি সংস্থা। 

Advertisement

বড়দিনের জন্য বিশেষ ধরনের ফ্রুট কেক এনেছে বাপুজি। তবে টিফিন কেকের দাম বাড়ায়নি সংস্থা। না মোড়কের জৌলুস ছিল বা আছে, না স্বাদে কোনও রকম পরিবর্তন এসেছে এই ৪৮ বছরে। তবুও হাজারও নামী-দামি কেকের ভিড়ে এখনও বাঙালির মনে পা্কা জায়গা করে নিয়েছে বাপুজি কেক।
 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement