সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জয় করেন জাপানের মহিলা টেনিস তারকা নাওমি ওসাকা। তারপর তিনি একটি টুইট করেছিলেন। কিন্তু, রাতারাতি সেই টুইট ভাইরাল হয়ে যায়। কিন্তু, কী ছিল সেই টুইটে? জানলে আপনিও অবাক হবেন।
রাতারাতি 'সেনসেশন' হয়ে গেলেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের এক বল গার্ল! সৌজন্যে নাওমি ওসাকার ওই টুইট। কয়েকদিন আগেই মেলবোর্ন পার্কে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জেনিফার ব্রাডিকে হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জয় করেন। তিনি এই টুর্নামেন্টের একটা ছবি শেয়ার করেছিলেন। সেখানেই ওই বল গার্লকে প্রথম দেখতে পাওয়া যায়। সে ওসাকার জয়ে অত্যন্ত খুশি ছিল এবং ছিল একগাল হাসি।
২৩ বছর বয়সি ওসাকা সম্প্রতি হার্ট ইমোজি দিয়ে একটা টুইট করেছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, "হাই, অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের (AO) এই ছবিগুলোর ওপরে চোখ বোলাচ্ছিলাম। তখনই এই বল গার্ল আমার নজর কেড়ে নিল।"
এই প্রসঙ্গে আপনাদের জানিয়ে রাখি, ১৬ বছর বয়সি ওই বল গার্লের নাম মার্লে ভ্যান দার মেরওয়ে। প্রথমে ওসাকার টুইট তাঁর নজরে অবশ্য আসেনি। তিনি যখন স্কুলে ছিলেন, তখনই তাঁর মা মার্লেকে এই লিঙ্কটা পাঠিয়ে দেন।
এই টুইটটা দেখার পর খুশিতে উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠে মার্লে। স্থানীয় একটা সংবাদপত্রকে সে জানিয়েছে, "এটা আমার কাছে একটা বিশেষ মুহূর্ত। কোনও খেলোয়াড়ই এমন করে না।"
এমনকী চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হাতে নিয়ে ওসাকা যখন ছবি তুলছিলেন, তখনও তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন মার্লে। তারপর থেকেই ওই বল গার্ল রাতারাতি 'সেনসেশন' হয়ে যায়।
এই প্রসঙ্গে মার্লে বলল, "এটা একটা বিশেষ অনুভূতি। কারণ একজন গ্র্যান্ড স্লাম চ্যাম্পিয়নের সঙ্গে আপনি একই ঘরে থাকার সুযোগ পাচ্ছেন। তাঁর পাশে বসার সৌভাগ্য হচ্ছে। ফলে আপাতত খুবই ভালো লাগছে।"
তবে প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে বয়সের কারণেই মার্লে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে বল গার্ল হওয়ার সৌভাগ্য হয়ত অর্জন করতে পারবে না। কারণ, সে তখনও ১৫ পেরিয়ে ১৬-র চৌকাঠে পা রাখেনি।
তবে কোভিডের কারণে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন কিছুটা দেরিতে শুরু হয়। সেইসঙ্গে বদলে যায় মার্লের ভাগ্যও।