ভারতীয় মাটিতে সেভাবে মার্শাল আর্ট প্রতিষ্ঠিত না হলেও, এখন ধীরে-ধীরে সেটি প্রতিষ্ঠা পাচ্ছে ভারতে। এবার প্রতিষ্ঠা পেল মার্শাল আর্টের অন্য একটি ধরন। যেটির নাম, হাপকিডো। ভারতীয় স্কুল গেমস ফেডারেশন এবার এই খেলাকে স্বীকৃতি দিলো। এই খেলায় এবার অংশগ্রহণ করতে পারবেন স্কুল পড়ুয়ারা। ক্যারেটের মতো অন্যতম হাপকিডো।
হাপকিডো একটি হাইব্রিড গেম এবং স্কুল গেমসে অন্তর্ভুক্ত তিনটি মার্শাল আর্ট ফর্ম তাইকওয়ন্ডো, কারাতে এবং জুডোর একত্রিত। বাংলা ও ভারতে এখন এই খেলা দিনে দিনে হয়ে উঠছে প্রচলিত।
হানশি প্রেমজিৎ সেন হ্যাপকিডো ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার বর্তমান সভাপতি,এটি ২০১১ সাল থেকে একটি সংস্থা যা ভারতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এবার সেটা স্বীকৃতি দিলো স্কুল গেমস ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া।
হাপকিডো ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া ওয়ার্ল্ড হ্যাপকিডো কনফেডারেশন দ্বারা সংসৃষ্ট যা হলো তাফিসার দ্বারা স্বীকৃত, যেটি আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (আইওসি) দ্বারা স্বীকৃত। হ্যাপকিডো ১৯৫০ সালে গ্র্যান্ড মাস্টার চই ইওং সুল দ্বারা বিকাশ করা হয়েছিল।
হানশি প্রেমজিৎ সেন বোলেন যে আমি অনুভব করি এটি হাপকিডোর একটি বড় অর্জন যে এটির স্কুল গেমস ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার অন্তর্ভুক্ত। হানশি প্রেমজিৎ সেন মার্শাল আর্টের বিশ্বকাপে স্বর্ণপদক জয়ী এবং খুব দক্ষ প্রশাসক ছিলেন। হানশি প্রেমজিৎ সেন ক্যারাটেকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেলেন।
হাপকিডো ভারতের আগে বিভিন্ন দেশে প্রতিষ্ঠিত ছিলো। আরব আমিরশাহী, ইরান, কোরিয়া, স্পেন ও অস্ট্রেলিয়া সহ এই দেশগুলিতে বেশ প্রচলিত ছিলো এই খেলা। অবশেষে এবার ভারতেও ধীরে-ধীরে প্রতিষ্ঠা পাচ্ছে হাপকিডো।