ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে আজ থেকে শুরু হচ্ছে পাঁচ ম্যাচের টি-২০ সিরিজ়। প্রত্যেকটা ম্যাচই নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে হবে। এই একই স্টেডিয়ামে টেস্ট সিরিজ়ের শেষ দুটো ম্যাচ আয়োজন করা হয়েছিল। আমেদাবাদের এই নবনির্মিত স্টেডিয়ামের ঘূর্ণি উইকেটে তৃতীয় টেস্ট ম্যাচ মাত্র দু'দিনের মধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছিল।
'ধর তক্তা, মার পেরেক' বলতে যা বোঝায়, টি-২০ ক্রিকেট আসলে সেটাই। আসলে সমর্থকেরা মাঠে এসে চার-ছক্কার বন্যা দেখতে চান। সেকারণে প্রত্যেকের মুখে এখন একটাই প্রশ্ন যে এই উইকেট তৈরি করতে কিউরেটর্সরা কীভাবে কাজ করছেন। ইংল্যান্ডের সীমিত ওভারের অধিনায়ক ইয়ন মরগ্যান তো স্বীকার করেই নিয়েছেন যে টি-২০ সিরিজ়েও এই উইকেট থেকে স্পিনাররা যথেষ্ট সাহায্য পাবেন। কিন্তু, ততটা পাবেন না যতটা টেস্ট সিরিজ়ে পেয়েছিলেন।
ম্যাচের আগে ইয়ন মরগ্যান বললেন, "টি-২০ ক্রিকেটে আমরা যথেষ্ট ভালো ফর্মে রয়েছি। বিগত ২ বছরে আমরা যেভাবে জয় হাসিল করেছি, তাতে আমাদের আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বেড়ে গেছে। আমাদের দল যথেষ্ট শক্তিশালী। আমি জানি যে এখানে আমাদের পাটা উইকেটেই খেলতে হবে। সেকারণে আমাদের দলের ব্যাটসম্যানরাও একেবারে প্রস্তুত। কিন্তু, বোলারদেরও এই পরিবেশের সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিতে হবে। ভারতে আয়োজিত টি-২০ ক্রিকেট বিশ্বকাপে এই অভিজ্ঞতাটাই কাজে আসবে।"
উইকেট সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে মরগ্যান আরও বললেন, "চতুর্থ এবং পঞ্চম দিনে এই উইকেটে টি-২০ ক্রিকেটের জন্য একেবারেই আদর্শ হতে পারে না। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই উইকেট থেকে ব্যাটসম্যানরা ফায়দা তুলতে পারবেন। দিন-রাতের ম্যাচ হওয়ার কারণে, শিশির একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করবে। যে দল টসে জিতবে, তারা অবশ্যই প্রথমে ব্যাট করতে চাইবে। ভারতীয় ক্রিকেট দলে যুজবেন্দ্র চহ্বাল, ওয়াশিংটন সুন্দর, অক্সর প্যাটেল, রাহুল তেওটিয়ার মতো স্পিনার রয়েছে। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের হয়ে বল ঘোরাবেন মইন আলি এবং আদিল রশিদ।"
দুটো দলের মধ্যে আয়োজিত বিগত পাঁচটি টি-২০ ম্যাচে ভারতই খানিকটা এগিয়ে রয়েছে। ২০১৭ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাঁচটা টি-২০ ম্যাচের মধ্যে চারটেতেই জিতেছে ভারত। একটাই মাত্র ম্যাচ জিতেছিল ইংল্যান্ড। এখনও পর্যন্ত এই দুই দলের মধ্যে মোট ১৪টা ম্যাচ খেলা হয়েছে। তারমধ্যে দুটো দলই সাতটা করে ম্যাচ জিতেছে।