টেস্ট সিরিজ়ে ইংল্যান্ডকে ৩-১ ব্যবধানে হারনোর পর গতকাল অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের কারণেই ডুবতে হল ভারতীয় ক্রিকেট দলকে। পাঁচ ম্যাচের টি-২০ সিরিজ়ের প্রথম ম্যাচেই ভরাডুবি হল ভারতের। কোহলি ব্রিগেডকে আট উইকেটে লজ্জাজনক পরাজয় স্বীকার করতে হল। এই ম্যাচে রোহিত শর্মাকে প্রথম একাদশে না রাখা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিরাট কোহলিকে নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। এমনকী নজফগড়ের নবাব বীরেন্দ্র সেহওয়াগের মাথার উপর দিয়ে বেরিয়ে গেছে ভারতীয় ক্রিকেট দলের রণনীতি।
প্রথম ম্যাচের আগের সন্ধ্যায় অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন বিরাট কোহলি। সেইসময় তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন যে প্রথম কয়েকটা ম্যাচে রোহিত শর্মা খেলবেন না। টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে ভারতীয় ক্রিকেট দল। ভারতের হয়ে ওপেন করতে নামেন শিখর ধাওয়ান এবং কেএল রাহুল। কিন্তু, এই পরিকল্পনা একেবারেই কাজে আসেনি।
ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারেই ১ রান করে কেএল রাহুল প্যাভিলিয়নে ফিরে যেতেই প্রথম ঝটকা খায় ভারতীয় ক্রিকেট দল। জোফ্রা আর্চারের বলে রাহুল ক্লিন বোল্ড হয়ে যান। দলের অপর ওপেনিং ব্যাটসম্যান ধাওয়ানও একেবারে ফ্লপ হয়ে যান। মাত্র ৪ রান করেন তিনি এবং পাঁচ ওভারের মধ্যে ভারতীয় ক্রিকেট দল দুই ওপেনার এবং অধিনায়ক সহ তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে। ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান খানিক দুঃখ প্রকাশ করেই একথা জানালেন যে যদি পরের ম্যাচে রোহিতকে না খেলানো হয়, তিনি তাঁর টেলিভিশন বন্ধই থাকবে।
ক্রিকবাজ়কে একটা বিশেষ সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে সেহওয়াগ বললেন, "বিরাট জানিয়েছেন যে প্রথম দুটো ম্যাচে রোহিত খেলবেন না। কিন্তু, ভারত যদি হেরেই যায়, তাহলে এমন রণনীতির লাভটা কী? আমি অধিনায়ক হলে নিজের সেরা দলটাই তো মাঠে নামাতাম। যদি রোহিত দলের সঙ্গে থাকেন, তাহলে তাঁকে প্রথম একাদশেও রাখা উচিত। আমি নিজে রোহিতের একজন মস্ত বড় ফ্যান।"
এই প্রসঙ্গে আপনাদের জানিয়ে রাখি, টসে হারার পর প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারের শেষে ভারতীয় ক্রিকেট দল মাত্র ১২৪ রান তুলতে পারে। শ্রেয়স আইয়ার (৬৭) ছাড়া অন্য কোনও ব্যাটসম্যান আর উইকেটে টিকতে পারেননি। এই লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে গিয়ে ইংল্যান্ড মাত্র ২ উইকেট হারিয়েই হাসিল করে নেয়।