২০২২ সালের এশিয়া কাপে (Asia Cup 2022) চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করতে চলেছে টিম ইন্ডিয়া (Team India)। ২৮ আগস্ট দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হতে চলা ম্যাচটির দিকে সারা বিশ্বের চোখ থাকবে। এই হাইভোল্টেজ ম্যাচে টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়কত্ব থাকবে রোহিত শর্মার (Rohit Sharma) হাতে। একই সঙ্গে পাকিস্তানি দলের হাল ধরবেন বাবর আজম (Babar Azam)।
ক্রিকেটের ইতিহাসে ভারত-পাকিস্তানের (India vs Pakistan) মধ্যে অনেক আকর্ষণীয় ম্যাচ হয়েছে। যেখানে খেলোয়াড়রা বল ও ব্যাট হাতে দারুণ পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন। এই পর্বে জেনে নিন সীমিত ওভারের ক্রিকেটে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতীয় বোলারদের সেরা-৫ বোলিং পারফরম্যান্স-
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (১৬/৫): প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly) ব্যাটিংয়ের জন্য বিখ্যাত। তবে কিছু ক্ষেত্রে তাঁর মিডিয়াম পেস বোলিংও ভেল্কি দেখিয়েছে। ১৯৯৭ সালে টরন্টোতে অনুষ্ঠিত সাহারা কাপের তৃতীয় ম্যাচে, সৌরভ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ১০ ওভারে মাত্র ১৬ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন। সৌরভের এই বোলিংয়ের কারণে ১৮৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে পাকিস্তান দল মাত্র ১৪৮ রানে গুটিয়ে যায়।
আরশাদ আইয়ুব (২১/৫): আরশাদই একমাত্র ভারতীয় বোলার যিনি এশিয়া কাপে ৫ উইকেট নিয়েছেন। ১৯৮৮ সালের এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে এই কীর্তি করেছিলেন স্পিনার আরশাদ আইয়ুব। সেই ম্যাচে আইয়ুব ২১ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন, যার কারণে ভারত ৪ উইকেটে জিতেছিল। আইয়ুব ছাড়া কোনো ভারতীয় বোলারই কোনো ম্যাচে ৫ উইকেট পাননি।
ভেঙ্কটেশ প্রসাদ (২৭/৫): অধিনায়ক মহম্মদ আজহারউদ্দিনের কাছে ভেঙ্কটেশ প্রসাদ অন্যতম সেরা বিকল্প ছিলেন। ১৯৯৯ বিশ্বকাপের ম্যাচে ভেঙ্কটেশ প্রসাদের গতি ও সুইং বোলিংয়ের সামনে কার্যত দাঁড়াতেই পারেনি পাকিস্তান দল। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ভারত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২২৭ রান করে। পাকিস্তান যখন লক্ষ্য তাড়া করতে আসে, প্রসাদ ৯.৩ ওভারে মাত্র ২৭ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন। ফলস্বরূপ, ভারত সেই ম্যাচটি ৪৭ রানে জিতে নেয়।
সচিন তেন্ডুলকর (৫০/৫): ২০০৫ সালে কোচিতে একদিনের ম্যাচে মাস্টার ব্লাস্টার তাঁর বোলিং দক্ষতা দেখিয়েছিলেন। সেই ম্যাচে ওপেনার বীরেন্দ্র শেহবাগ (১০৮ রান) এবং রাহুল দ্রাবিড়ের (১০৪) সেঞ্চুরির সুবাদে ভারত, পাকিস্তানের সামনে ২৮২ রানের লক্ষ্য রেখেছিল। জবাবে, সচিন তেন্ডুলকরের লেগ স্পিন পাকিস্তানের মিডল অর্ডারকে ধ্বংস করে দিয়েছিল, যার কারণে ভারতীয় দল সেই ম্যাচটি ৮৭ রানে জিতে নেয়। ম্যাচের ১০ ওভারে সচিন ৫০ রানে ৫ উইকেট নেন। এই সময়ে তিনি ইনজামাম-উল হক, মহম্মদ হাফিজ, আবদুল রাজ্জাক, শহীদ আফ্রিদি এবং মহম্মদ সামিকে আউট করেন।
ইরফান পাঠান (১৬/৩): ২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালে, ফাস্ট বোলার ইরফান পাঠান দারুণ বল করেন। সেই ম্যাচে পাঠান দারুণ বল করেন। ১৬ রানে তিন পাকিস্তান ব্যাটসম্যানকে প্যাভিলিয়নে পাঠান। এর মধ্যেই তিনি শহীদ আফ্রিদি, শোয়েব মালিক এবং ইয়াসির আরাফাতের মতো ব্যাটসম্যানদের আউট করেন। এই দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের জন্য ইরফান পাঠান ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হন।
রবিবার প্রথম ম্যাচ খেলবে ভারত। এক বছর আগে টি২০ বিশ্বকাপে ভারতকে ১০ উইকেটে হারিয়েছিল পাকিস্তান। এবার তার বদলা নিতে চাইবে টিম ইন্ডিয়া।