১৯ জুলাই আনোয়ার আলিকে (Anwar Ali) অনুশীলনে আসতে বলেছিল মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট (Mohun Bagan upper Giant)। তবে শুক্রবার সকালে মোহনবাগান রিজার্ভ দলের অনুশীলনে আসেননি ভারতীয় দলের তারকা স্টপার। আর সেই কারণে বড় জরিমানার মুখে পড়তে চলেছেন আনোয়ার। তাঁকে আগে থেকেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, তিনি শুক্রবার থেকে দলের সঙ্গে যোগ না দিলে প্রতিদিন ১ লক্ষ টাকা করে জরিমানা করা হবে। তিনি না আসায়, সেই জরিমানা এবার লাগু হবে কিনা তা এখনও জানানো হয়নি।
তবে আনোয়ার যে আর মোহনবাগান দলে খেলতে চাইছেন না তা কিছুটা হলেও স্পষ্ট হল তিনি না আসায়। শোনা গিয়েছিল নিজের ভবিষ্যত ঠিক কী তা জানতে চেয়ে ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের কাছে চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছেন। মোহনবাগান সূত্রের খবর, আনোয়ার যদি সবুজ-মেরুন জার্সি গায়ে চাপিয়ে খেলতে না চান তবে কী কারণে তিনি খেলতে চাইছেন না সেটা জানতে চাইবে মোহনবাগান। কোনও সদুত্তর না পেলে এনওসিও দেবে না ক্লাব। যদি তিনি অন্য কোনও ক্লাবে সই করতে চান তা হলে, ১০ লক্ষ টাকা দিয়ে অন্য ক্লাবে সই করতে হবে। এমনটাই জানা গিয়েছে মোহনবাগান সূত্রে।
গত মরসুমে দিল্লি এফসি থেকে লোন ডিলে মোহনবাগানে সই করেছিলেন আনোয়ার। সেই চুক্তি ছিল ২০২৭ পর্যন্ত। তবে ২০২৪-২৫ মরসুমের আগে দিল্লি এফসি-র পক্ষ থেকে এই ডিল নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে সামনে আনা হয় ফিফার নিয়ম। তবে সেই নিয়ম এখনও ভারতীয় ফুটবলের ক্ষেত্রে কার্যকর হয়নি বলে জানিয়ে দেয় মোহনবাগান। সেই কারণেই আনোয়ার তাদের দলের ফুটবলার বলেই দাবি করতে থাকে সবুজ-মেরুন ক্লাব। যদিও এর মধ্যেই ইস্টবেঙ্গলও প্রস্তাব দিয়ে বসে আনোয়ারকে। আসলে হিজাজি মাহেরের সঙ্গে আরও এক ডিফেন্ডারকে দরকার লাল-হলুদের। আনোয়ারের মতো ডিফেন্ডার ভারতে বিরল। আর তাই অন্য কোনও বিদেশি ফুটবলার নিয়ে সেই কোটা নষ্ট করতে নারাজ লাল-হলুদ টিম ম্যানেজমেন্ট। তাই তারা আনোয়ারকেই প্রস্তাব দিয়ে বসেন। এতে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়।
এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি আনোয়ারের ব্যাপারে। শেষ পর্যন্ত ভারতীয় দলের এই ডিফেন্ডার যদি মোহনবাগানে না দেন হলে কী হবে? সে ব্যাপারে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। ফলে প্রতিভাবান এই ফুটবলারের ভবিষ্যত আবারও প্রশ্নের মুখে পড়ে গেল বলাই যায়।