Messi Goal Argentina Win Agains Panama In FIFA Friendly: বিশ্বকাপ জয়ের পর প্রথমবার ফের জাতীয় দলের জার্সি গায়ে মাঠে নামল লা আলবিসেলেস্তেরা। পানামার বিরুদ্ধে ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচে মেসির নেতৃত্বে তারকাখচিত প্রিয় জাতীয় দলের খেলা দেখতে বুয়েনস আয়ার্সে ভিড় জমিয়েছিলেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ফুটবলপ্রেমীরা। তাই যতই হোক ফিফা ফ্রেন্ডলি কিংবা প্রতিপক্ষ দুর্বল পানামা (Panama), গ্যালারিতে উপচে পড়েছিলেন নীল-সাদা জার্সিধারী সমর্থকরা। আর গ্যালারির মতো মাঠে খেলার শুরু থেকেই নিজেদের আধিপত্য বজায় রেখেছিলেন মেসি-দি মারিয়ারা। যদিও গোল আসেনি সহজে। শেষমেষ ত্রাতা হন সেই লিওনেল কিংবদন্তী মেসিই। ৮৮ মিনিটে গোল করে দলকে কাঙ্খিত এনে দেন তিনি। আর তারপর গ্যালারিতে বাঁধভাঙে উচ্ছ্বাস। শেষমেষ ২-০ গোলে ম্যাচ জেতে আর্জেন্টিনা।
আরও পড়ুনঃ হেরেও মেসিকে যখন জড়িয়ে ধরলেন লেওনডস্কি, মুগ্ধ বিশ্ব, PHOTOS
পাশাপাশি পেশাদার ক্যারিয়ারে ক্লাব ও আন্তর্জাতিক ফুটবল মিলিয়ে মেসি ৮০০ গোল ছুঁয়ে ফেললেন। সবচেয়ে বেশি ৮৩০ গোল করে চূড়ায় আছেন তার দীর্ঘ সময়ের প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো। কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলা সবাইকে সুযোগ দেওয়ার ঘোষণা আগেই দিয়েছিলেন কোচ লিওনেল স্কালোনি। ফাইনালের শুরুর একাদশ নিয়েই খেলতে নামে আর্জেন্টিনা। প্রথম মিনিট থেকেই আক্রমণে উঠতে থাকে তারা।
দ্বিতীয় মিনিটে সুযোগও পেয়ে যায় চ্যাম্পিয়নরা। কিন্তু বক্সে বল পেয়ে কাজে লাগাতে পারেননি ম্যাক আলিস্টিয়ার। পরের মিনিটে বল পায়ে দারুণ কারিকুরিতে প্রতিপক্ষের কয়েকজন খেলোয়াড়ের মধ্যে দিয়ে কোনাকুনি এগিয়ে শট নেন মেসি। তবে যথেষ্ট গতি না থাকায় নিয়ন্ত্রণে নিতে সমস্যা হয়নি গোলরক্ষকের। ১৫ মিনিটে মেসিকে বিপজ্জনক ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন পানামার ডিফেন্ডার কেভিন গালভান। প্রায় ২৭ গজ দূর থেকে নেওয়া পিএসজি তারকার দুর্দান্ত ফ্রি কিক দুর্ভাগ্যবশত পোস্টে লেগে ফিরে আসে। ৭০ শতাংশের বেশি সময় বল দখলে রাখলেও পানামা প্রায় ১০ জনে ডিফেন্স করে বারবার আক্রমণ প্রতিহত করে।
ফ্রেন্ডলি ম্যাচ হলেও টিমের মধ্যে কোনওরকম আত্মতুষ্টির জায়গা রাখতে নারাজ ছিলেন কোচ লিওনেল স্কালোনি। তাই ফার্স্ট ইলেভেনে নিজের সেরা অস্ত্রদেরই মাঠে নাময়েছিলেন তিনি। গোলে মার্তিনেজ এবং উপরে মেসি-দি মারিয়ার পাশাপাশি মাঠে রেখেছিলেন ওটামেন্ডি, দে পল, আলভারেজের মতো প্লেয়ারদের। শুরু থেকেই তাই ম্যাচের রাশ নিজেদের হাতে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়রা।
আরও পড়ুনঃ চ্যাম্পিয়ন হতেই বড় ঘোষণা সঞ্জীব গোয়েঙ্কার, পরের সিজন থেকে আর এটিকে নয় মোহনবাগান
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই একাধিক বদল আনেন আর্জেন্টিনার কোচ স্কালোনি। লাউতারো মার্টিনেজ, থিয়াগো আলমাডা, লিজান্দ্রো মার্টিনেজকে একসঙ্গেই নামিয়ে দেন। এর কিছুক্ষণ পর ফের দু’টো বদল সেরে নেন আর্জেন্টাইন কোচ। এনজো ফার্নান্ডেজ এবং দি মারিয়াকে তুলে নিয়ে নামান লিয়ান্দ্রো পেরেডেস এবং পাওলো দিবালাকে। মেসি-দিবালা-লাউতারোদের আটকাতে তখন নাজেহাল অবস্থা পানামার খেলোয়াড়দের। দ্বিতীয়ার্ধের খেলা যখন আধঘণ্টা পেরিয়ে গিয়েছে, ক্রমশ উৎকণ্ঠা বাড়ছে সমর্থকদের মধ্যে, ঠিক সেইসময়েই পানামার ডি বক্সের বাইরে গোলপোস্টের ২৫ মিটার দূরে ফ্রি-কিক পায় আর্জেন্টিনা। সেখান থেকে মেসির নেওয়া ফ্রি-কিক আবার সাইডবারে লেগে ফিরে আসতেই ফিরতি বলে গোল করেন আর্জেন্টিনার পরিবর্ত ফুটবলার থিয়াগো আলমাডা। পানামার লকগেট প্রথম ভেঙে দেন তিনিই। এরপর যেন আরও তেড়েফুঁড়ে ওঠে নীল-সাদা ব্রিগেড। মাঝে পানামা আক্রমণে উঠে গোলের চেষ্টা করলেও আর্জেন্টিনার ডিফেন্ডারদের কল্যাণে তা ফলপ্রসু হয়নি।
এরপর ৮৮ মিনিটে পানামা বক্সের বাইরে ফের ফ্রি-কিক পায় আর্জেন্টিনা। রডরিগো ডি পলকে অযথা ফাউল করে বসেন পানামার এক ফুটবলার। আবারও বল নিয়ে এগিয়ে যান লিওনেল মেসি। পরপর দু’বার তাঁর নেওয়া ফ্রি-কিক বারে লেগে ফিরে আসায় সমর্থকদের ইচ্ছাপূরণ হয়নি। এবার অবশ্য ভুল হয়নি। শেষমেষ ২-০ গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।