ইন্দোনেশিয়ার পর এবার আর্জেন্টিনা (Argentina)। ফুটবল ম্যাচ চলাকালীন হিংসার ঘটনা ঘটল মেসির (Lionel Messi) দেশে। ইন্দোনেশিয়ায় গভীর রাতে একটি ম্যাচে দুর্ঘটনা ঘটে। পদদলিত হন প্রচুর মানুষ। এর ফলে শতাধিক মানুষ মারা যান।
এবার আর্জেন্টিনার লিগের একটি ম্যাচে ধাক্কাধাক্কি। পদপৃষ্ঠ হয়ে একজন মারা যান। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে অনুষ্ঠিত হওয়া ম্যাচে ভক্তরা জোর করে মাঠের মধ্যে ঢোকার চেষ্টা করতে থাকেন। এই সময় অশান্ত জনতাকে শান্ত করতে পুলিশ রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়তে থাকেন।
আরও পড়ুন: অসুস্থ হয়েও মাঠে রিচা, তবু পাকিস্তানের কাছে হার হরমনপ্রীতদের
এ সময় পদপৃষ্ঠ হয়ে একজনের মৃত্যু হয়। আর্জেন্টিনা ফুটবল লিগের এই ম্যাচটি বুয়েনস আইরেসে বোকা জুনিয়র্স এবং জিমনেসিয়া ওয়াই এসগ্রিমার মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়। একজন কর্মকর্তা সংবাদ সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, 'এই সময় স্টেডিয়ামের বাইরে সাধারণ সমর্থকরা পদদলিত হন।'
আরও পড়ুন: দলে থাকছেন দোহার্টি? আজ ইস্টবেঙ্গলের সম্ভাব্য দল
একজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে সরকার
বুয়েনস আইরেস প্রদেশের মন্ত্রী সার্জিও বার্নিও একজনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছে। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন তিনি। ভক্তরা যখন স্টডিয়ামে ঢোকার আপ্রান চেষ্টা করছিলেন তখন পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। সেই সময়েই হৃদরোগে আক্রান্ত হন সেই ব্যক্তি।
ভিড় সামলাতে পুলিশ সেই চত্বরে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। এ কারণে ম্যাচটিও বন্ধ রাখতে হয়। কর্মকর্তা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, স্টেডিয়াম আগে থেকেই ঠাসাঠাসি হয়ে গিয়েছিল। তার মধ্যে ভিড় আরও বাড়তে থাকে হোম টিম জিমনেসিয়া ওয়াই এসগ্রিমার ভক্তরা জোর করে স্টেডিয়ামে প্রবেশের চেষ্টা কটায়। জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশকে রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হয়।
স্টেডিয়ামে এই ভক্তদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে
টিভি চ্যানেল 'টোডো নোটিসিয়াস'-এ বক্তব্য রাখতে গিয়ে নিরাপত্তামন্ত্রী সার্জিও বার্নি বলেন, 'দুর্ভাগ্যবশত একজনের মৃত্যু হয়েছে। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান।' লা প্লাতার জুয়ান কারমেলো জারিলো স্টেডিয়ামে শুধুমাত্র জিমনেসিয়া ভক্তদের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, কারণ বুয়েনস আইরেসে ঘন ঘন হিংসার ঘটনা ঘটে। সেই জন্যই অ্যাওয়ে দলের সমর্থকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছিল। ২০১৩ সালেই এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল।