আইএফএ-কে বছরের শুরুতেই সূচী ঠিক করে ফেলতে হবে। তা হলেই কলকাতা লিগ নিয়ে প্রতি বছর যে জটিলতা তৈরি হচ্ছে তা মিটে যেতে পারে। শুধু শুধু ক্লাব কর্তাদের দোষ দিয়ে লাভ নেই। কলকাতা লিগ প্রসঙ্গে বর্তমান সচিব দেবাশিস দত্তের পাশেই দাঁড়ালেন মোহনবাগানের প্রাক্তন সচিব সৃঞ্জয় বসু। কলকাতা লিগে দুই বড় দলের খেলা নিয়ে তৈরি হওয়া ধোঁয়াশা এখনও কাটেনি। ৭ সেপ্টেম্বর কলকাতায় এএফসি কাপের ম্যাচ রয়েছে এটিকে মোহনবাগানের। সঙ্গে রয়েছে ডুরান্ড কাপ। এর মধ্যে কলকাতা লিগ। ফলে দল নামান মুশকিল এটিকে মোহনবাগানের পক্ষে।
বৃহস্পতিবার কলকাতা স্কুল ফুটবল লিগের অনুষ্ঠানে এসে সৃঞ্জয় বলেন, ''মোহনবাগান বা ইস্টবেঙ্গল কখনোই হারার জন্য খেলতে নামে না। সমর্থক হিসেবে আমি সবসময় চাইব সেরা দল মাঠে নামুক। তাই যেমন তেমন দল কলকাতা লিগে নামিয়ে দেওয়ার পক্ষে আমি নই। ইস্টবেঙ্গলের অন্য সমস্যা রয়েছে। সেই বিষয় আমি কিছু বলব না। তবে আইএফএ-ও কলকাতা লিগ চালু করতে দেরি করেছে। তাদের কিছু সমস্যা ছিল। এর সঙ্গেই এটাও মাথায় রাখতে হবে, আইএফএ নিজেদের সমস্যার জন্য লিগ পেছাতে পারে তবে ক্লাবের সমস্যাটাও আইএফএ-কে বুঝতে হবে।''
রবিবার এটিকে মোহনবাগান কর্তা দেবাশিস দত্তের সঙ্গে কথা বলেছেন আইএফএ সহ সচিব স্বরূপ বিশ্বাস। তবে চারদিন কেটে গেলেও তারা আইএফএ-তে রিপোর্ট জমা দেননি। অন্যদিকে কিছুটা সময় চেয়েছে ইস্টবেঙ্গলও। সময় খুব বেশি নেই। এই অবস্থায় নতুন করে সময় দেওয়া সম্ভব কি না তা নিয়ে কিছু বলতে চাননি সচিব অনির্বাণ দত্ত। আইএফএ সচিব যদিও তাঁর সহকর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনি বলেন, ''সময় পাচ্ছেন না কেউই। আসলে পরপর ম্যাচ চলছে। দারুণ ব্যস্ততা। এর মধ্যেই আমরা প্রিমিয়ার এ নিয়ে ক্লাব গুলোর সঙ্গে ফের বসবে আইএফএ। কথা বলে সমস্যার সমাধান করতে হবে।''
আইএসএল-এর ক্লাবগুলি ডুরান্ডের মত টুর্নামেন্টে ডেভলপমেন্ট টিম মাঠে নামায়। ইস্টবেঙ্গল বা মোহনবাগানের কলকাতা লিগে তেমনটা করতে সমস্যা কোথায়? প্রশ্নের উত্তরে সৃঞ্জয় বলেন, '' দেখুন মোহনবাগান বা ইস্টবেঙ্গলের ব্যাপারটা একেবারেই আলাদা। কারণ, অন্য কোনও দলের ক্ষেত্রে টিম হারলে শুধু টিমের মালিকের কষ্ট হয়। কিন্তু এই দুই দল হেরে গেলে লক্ষ কোটি সমর্থক আহত হয়। তাই এই ধরনের দল গড়ে খেলার মানে নেই।''
তবে একটা উপায়ের কথা বলেছেন সৃঞ্জয়। তিনি বলেন, ''ডেভলপমেন্ট দল নয়, অনূর্ধ্ব-১৯ দল গড়ে কলকাতা লিগে খেলতে পারে দুই বড় দল। তবে আইএফএ তা মেনে নেবে তো?'' সব মিলিয়ে এখনও মোহনবাগান বা ইস্টবেঙ্গলের লিগে খেলা নিয়ে জটিলতা কাটেনি।