আর মাত্র কয়েক ঘন্টার অপেক্ষা। তারপরেই আইএসএল (ISL Final) ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে মোহনবাগান ও বেঙ্গালুরু এফসি (ATK Mohun Bagan vs Bengaluru FC)। এই মরশুমে আইএসএল-এ দুইবার মুখোমুখি সাক্ষাতে একটি করে ম্যাচ জিতেছে দুই দলই। এখন যদিও লড়াইটা একেবারে ভিন্ন। লিগ নয়, ফাইনাল। দেখে নেওয়া যাক দুই দলের শক্তি আর দুর্বলতা কোথায় কোথায়?
মোহনবাগান দলের শক্তি
যে কোনও ক্ষেত্রে বৈচিত্র একটা বড় শক্তি যে কোনও দলের ক্ষেত্রে। এটিকে মোহনবাগান দলেও বৈচিত্র রয়েছে। আক্রমণে মনবীর সিং, লিস্টন কোলাসোরা (Liston Colaco) কিছুটা অফ ফর্মে থাকলেও বড় ম্যাচে জ্বলে উঠতে সময় লাগবে না। আক্রমণ তুলে আনার ক্ষেত্রে দুই প্রান্ত যেমন ব্যবহার করবে সবুজ-মেরুন ঠিক সেভাবেই হুগো বুমোসরা (Hugo Boumos) মাঝখান থেকেও একক দক্ষতায় গোল করার মতো জায়গায় পৌঁছে যেতে পারেন যে কোনও সময়। ডিফেন্স আগের থেকে অনেকটাই গোছানো। প্রীতম কোটালরা (Pritam Kotal) যথেষ্ট ভালো ফুটবল খেলছেন। বেশ সুরক্ষিত লাগছে মোহনবাগান ডিফেন্সকে। মিডফিল্ডে জনি কাউকোর অনুপস্থিতিতে যে ভাবে নিজেকে মেলে ধরেছেন হুগো তাতে গ্যালারিতে বসে থাকা জনি খুশিই হবেন। গোলরক্ষকের জায়গায় বিশাল কাইত ইতিমধ্যেই নিজেকে প্রমান করেছেন। টাইব্রেকারেও নিজের দক্ষতার ছাপ রেখেছেন মোহনবাগানের দুর্গের শেষ প্রহরী।
দুর্বলতা
বেঙ্গালুরু দলে রয়েছেন দারুণ কিছু সেটপিস বিশেষজ্ঞ। সেই তালিকায় রয়েছেন স্বয়ং সুনীল ছেত্রী (Sunil Chhetri)। তাই বক্সের আশে পাশে ফ্রিকিক দেওয়া যাবে না। সেখান থেকেই বিপদ তৈরী হতে পারে। দলে থাকছেন দিমিত্রি পেত্রাতোস। গোল করার ক্ষেত্রে মূলত তাঁর দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে সবুজ-মেরুনকে। স্ট্রাইকার না থাকায় ভালো খেলেও হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে দুই লেগ মিলিয়ে একটাও গোল করতে পারেনি মোহনবাগান। ফাইনালে সুযোগ নষ্টে করলে তার খেশারত দিতেই হবে।
বেঙ্গালুরু দলে রয়েছেন পাঁচ প্রাক্তন মোহনবাগানী। জুয়ানের (Juan Ferrando) কোচিং-এও খেলেছেন রয় কৃষ্ণ, প্রবীর দাসরা। ফলে তাঁরা জানেন মোহনবাগান কোচের ট্র্যাটেজি। তাতে সুবিধা হতে পারে সুনীলদের। যদিও আশিক ক্রুনীয়ান এতদিন ছিলেন বেঙ্গালুরু দলে। তিনি ফিরতে পারেন এই ম্যাচে। যদিও চোট সরিয়ে ফেরা আশিক কতটা ফিট রয়েছেন, তা দেখেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
পেছন থেকে এগিয়ে এসে ফাইনালে ওঠা দল সবসময়ই বিপদজ্জনক। আর সেই কাজটাই করে দেখিয়েছে বেঙ্গালুরু। ফলে তাদের হারানোর কিছু নেই। মোহনবাগানের সামনে কিন্তু বিরাট প্রত্যাশার চাপ। ফাইনালে স্নায়ুর চাপ থাকে। আর সেই চাপ যারা সামলাতে পারে তারাই জয় পায়। মোহনবাগান না বেঙ্গালুরু, কারা সেই চাপ থেকে নিজেদের মুক্ত করতে পারে সেটাই দেখার।