সোমবার ভোরে কলকাতায় পা রেখেছেন ইস্টবেঙ্গলের হেড কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। দুপুরেই চলে গিয়েছিলেন নৈহাটি। কলকাতা লিগে দলের ম্যাচ দেখতে। বিএসএস-এর বিরুদ্ধে ম্যাচে এগিয়ে থেকেও ড্র করতে হয় লাল-হলুদকে। তবে দলের কিছু ফুটবলারের খেলা বেশ ভালো লেগেছে হেড কোচের।
কাদের খেলা ভালো লাগল কুয়াদ্রাতের?
সহকারী ডিমাস ডেলগার্ডোকে পাশে বসিয়ে কার্লেস খেলা দেখছিলেন। ১৩ মিনিটে তুহিন দাস লাল কার্ড দেখে বেরিয়ে যাওয়ার পর ১০ জনের ইস্টবেঙ্গল যে লড়াই চালালো তাতে বেশ খুশি বলেই মনে হল ইস্টবেঙ্গলের স্প্যানিশ কোচকে। যদিও খেলার শেষ বাঁশি বাজা অবধি ছিলেন না তিনি। ৮৯ মিনিটে দীপ সাহার দুরন্ত ফ্রি কিকে দল এগিয়ে যাওয়ার পরেই মাঠ ছাড়েন কুয়াদ্রাত। যাওয়ার আগে দীপের ফ্রিকিকের প্রশংসা শোনা গেল তাঁর গলায়। বললেন, ‘সত্যি অসাধারণ গোল, দারুণ ফ্রিকিক নিয়েছে।‘ শুধু তাই নয়, হেড কোচের নোটবুকে উঠে এল আরও কিছু নাম। সহকারীর সঙ্গে আলোচনা সেরে নিলেন সৌভিক চক্রবর্তীর ব্যাপারেও।
৮৯ মিনিটে পেনাল্টি বক্সের সামনে ফ্রিকিক পায় লাল-হলুদ। ডানদিক থেকে গ্রাউন্ডার থেকে গোল তুলে নেন দীপ। ঝাঁপিয়েও বল ধরতে পারেননি বিএসএস গোলরক্ষক মৃন্ময় তাঁতি। গোটা ম্যাচ দারুণ খেললেও তার দাম পেলেন না বিএসএস গোলকিপার। তবে ম্যাচের শেষ মুহূর্তে একা গোলরক্ষককে সামনে পেয়ে সমতা ফেরান পরিবর্ত হিসেবে নামা সৌরভ। আর এর জেরেই ১ পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় ইস্টবেঙ্গলকে।
তবে তুহিনের লাল কার্ড দেখা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। গোলমুখী আক্রমণ ছিল। পেছন থেকে ট্রিপ করেন তুহিন। আইএসএল-এ খেলা এই ফুটবলার কী করে এমন ভুল করলেন তা হয়ত তিনিই ভালো বলতে পারবেন। যদিও ইস্টবেঙ্গল শিবির এই লালকার্ড নিয়ে অভিযোগ করেছে। তাদের দাবি এটা কোনওভাবেই লাল কার্ড ছিল না। ম্যাচ শেষে বিনো জর্জ বলেন, ‘আমি বলছি না লাল কার্ডের জন্যই আমরা ম্যাচ হেরেছি, তবে এটা কোনও ভাবেই লাল কার্ড ছিল না।‘