প্রথমে মিটিং-এর তারিখ নিয়ে সমস্যা। তারপর পরের মরশুমের কোচ নিয়ে বিতর্ক। সবমিলিয়ে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) ও লগ্নীকারী সংস্থা ইমামির (Emami) মধ্যে সমস্যা চলছেই। বিরোধ প্রকাশ্যে চলে এলেও অবশেষে বোর্ড মিটিং-এ বসতে চলেছেন ইমামি ও ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। বৃহস্পতিবার বোর্ড মিটিংয়ে বসতে চলেছেন ইস্টবেঙ্গল ম্যানেজমেন্ট। কোন কোন ব্যাপারে এই বোর্ড মিটিং-এ কথা হতে পারে? এই মিটিং দারুণ গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। তার কারণ, পরের মরশুমে কীভাবে দল গড়া হবে? কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেবেন কে? এই সমস্ত ব্যাপারে আলোচনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
কোন কোন বিষয় আলোচনা হতে পারে?
বিভিন্ন বিষয় এই সভায় আলোচনা হতে পারে। বাজেট বৃদ্ধি, কো স্পনসর এবং প্রাইম স্পনসর নিয়ে আলোচনা হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। প্লেয়ার নিয়োগ নিয়েও এজেন্টদের সঙ্গে কথাবার্তা চালাতে শুরু করে দিয়েছে ইমামি ইস্টবেঙ্গল ম্যানেজমেন্ট। পরের মরশুমের বাজেট, কোচ পরিবর্তন, দল গঠন, নতুন ফুটবল ডিরেক্টর নিয়োগের ব্যাপারেও আলোচনা হবে বলে জানা যাচ্ছে। এর আগে এই মিটিং নিয়েই বিতর্ক দানা বেধেছিল ইস্টবেঙ্গলে। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের পক্ষ থেকে পরের মরশুমের দল গঠন নিয়ে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল বিনিয়োগকারী সংস্থার কাছে। সেই প্রস্তাবে একাধিক ফুটবলারের তালিকা পাঠানো হয়েছিল তাদের কাছে। সেই তালিকার প্রাপ্তি প্রেস বিবৃতি দিয়ে স্বীকার করেছে ইমামি (Emami Group)।
কোচ নিয়ে বিতর্ক
লগ্নীকারী সংস্থার পছন্দ জোসেফ গাম্বাউ (Josep Gombau)। তাঁর সঙ্গে কথাবার্তাও অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে। তবে ক্লাবের প্রথম পছন্দ অ্যান্টনিও লোপেজ হাবাস (Antonio Lopez Habas)। যদিও হাবাসের সঙ্গে এখনও কথা হয়নি লগ্নিকারী সংস্থার। তবে আরও কিছু নাম জানিয়েছে ক্লাব। এই মরশুমে তিনি ওড়িশা এফসিকে কোচিং করিয়েছেন। যদিও এই মরশুমেই ওড়িশা এফসি (Odisha FC) ছেড়েছেন তিনি। ভারতে কোচিং করানোর অভিজ্ঞতা থাকায় জোসেপকেই দায়িত্ব দিতে চাইছেন ইমামি ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। তবে এই সিদ্ধান্ত পছন্দ নয় লাল-হলুদ ক্লাবের। তাঁরা জানিয়ে দিয়েছে, তাদের পছন্দ অ্যান্টনিও লোপেজ হাবাস, ম্যানুয়েল মার্কোস রোকা ও সের্জিও লোবেরা। ২৩ মার্চ ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে ইমামির বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। সেই বৈঠকের আলোচ্য বিষয়ের অন্যতম কোচ নিয়োগ। তাই পরের মরশুমের কোচ নিয়োগ নিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে এই মিটিং-এ। এই মরশুমেও নয় নম্বরেই শেষ করেছে ইস্টবেঙ্গল। অন্যদিকে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহনবাগান ফাইনালে বেঙ্গালুরু এফসিকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়ে গিয়েছে। মোহনবাগানের সামনে থেকে এটিকে নামও উঠে গিয়েছে। ফলে চাপ বাড়ছে লাল-হলুদ কর্তাদের ওপর।
প্রথম দফায় দুই বছর ওড়িশার দায়িত্ব সামলানোর সময়, অষ্টম ও ষষ্ঠ স্থানে শেষ করে ওড়িশা। এ বারও তারা ছয় নম্বর স্থানে শেষ করে প্লে-অফের যোগ্যতা অর্জন করে। শেষ দুই মরশুমের মতো এবারও প্লে অফের যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। তবে এবার কোচ কে হবেন তা নিয়ে শুরু হল চাপানউতোর।