ইতালি (৩) ১ (বনুসি) - ১ (সাউ) (২) ইল্যান্ড
থ্রিল বলতে যেটাকে বলে। কোনও গোয়েন্দা গল্প বা কোনও রকমের ওয়েব সিরিজের তুলনায় কম নয়। বরং তাঁর থেকে বেশি থ্রিলিং-রোমাঞ্চকর-রুদ্ধশ্বাস। এই লড়াই দেখার মতো ছিল রবিবার রাতে। একে অপরের মুখোমুখি হয়েছিল ইংল্যান্ড ও ইতালি। অবশেষে বাজিমাৎ করলো ইতালি।
অবশেষে ইউরো কাপের ফাইনালে জয় পেল ইতালি। ফের একবার ইউরো সেরা হয়ে উঠলো ইতালি। তবে ৫৩ বছর পর। দীর্ঘ ৫৩ বছরের অপেক্ষার পর এই শিরোপা জিতলো ইতালি। রোমাঞ্চকর ফাইনালের সাক্ষী থাকলো গোটা বিশ্ব। শেষমেষ পেনাল্টি শুটআউটে ম্যাচ গিয়েছিল রবিবার। দারুণ ফুটবল দেখা গেল দুই দলের। নির্ধারিত সময় সহ এক্সট্রা টাইমে ১-১ ড্র হওয়ার পর পেনাল্টিতে ৩-২ গোলে জিতে নিল ইতালি দল। ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডকে পরাস্ত করল বেনুসি-চেলিনিরা। দারুণ ফুটবল খেললেন ইতালির গোলরক্ষকও। শেষ গোল আটকে অন্যতম হিরো হয়ে মাঠ ছাড়লেন তিনি। তবে গোলরক্ষক হিসাবে ভালো ভূমিকা পালন করেছিলেন ইংল্যান্ডের পিকফোর্ডও। তবে তিনি হয়ে গেলে ট্যাজিক হিরো।
পেনাল্টি শুটআউট! অবশেষে রুদ্ধশ্বাস লড়াই শেষ হলো, পেনাল্টিতে জয় ইতালির
ইংল্যান্ড- ২ ইতালি- ৩
ইংল্যান্ড
প্রথম পেনাল্টি- গোল (হ্যারি কেন) , দ্বিতীয় পেনাল্টি- গোল (মাগুরে) , তৃতীয় পেনাল্টি - মিস (রাশফোর্ড) , চতুর্থ পেনাল্টি- মিস (স্যাঞ্চো) , পঞ্চম পেনাল্টি- গোল (বুকাও সাকা)
ইতালি
প্রথম পেনাল্টি- গোল (ডমিনিকো) , দ্বিতীয় পেনাল্টি- মিস (বেলোটি) , তৃতীয় পেনাল্টি - গোল (বনুসি) , চতুর্থ পেনাল্টি- গোল (ফেডেরিকো) , পঞ্চম পেনাল্টি- মিস (জোর্জিনো)
শেষ এক্সট্রা টাইম ১২০ মিনিট! পেনাল্টিতে ইউরো ফাইনাল
অবশেষে নির্ধারিত সময় ও এক্সট্রা টাইমে ইউরো কাপের রোমাঞ্চকর ফাইনালের কোনওরকমের ফলাফল হলো না। এবার পেনাল্টিতে ইউরো কাপের ফাইনাল। বেশ কিছু সুযোগ তৈরি হলেও দুই দলই গোল করতে ব্যর্থ। ফলে এই ম্যাচ পেনাল্টিতেই হতে চলেছে সিদ্ধান্ত।
শেষ এক্সট্রা টাইমের প্রথম পর্ব, ফল ১-১
শেষ হলো ৯০ মিনিটের পর ১৫ মিনিট এক্সট্রা টাইমের প্রথম পর্বের খেলা। ১০৫ মিনিটেও ১-১ ব্যবধান ইউরো কাপের ফাইনালে। ১০২ মিনিটের মাথায় দারুণ একটি আক্রমণ করেছিল ইতালি। তবে কাজের কাজ কিছু হয়নি। দুরন্ত সেভ করেন ইংল্যান্ডের গোলরক্ষক।
৯০ + ৬ মিনিট শেষ! খেলার ফল ১-১, হতে চলেছে এক্সট্রা টাইম
খেলা গেল এবার এক্সট্রা টাইমে। নির্ধারিত সময়ে খেলার ফল হলো না। এখনও খেলা হতে চলেছে আরও ৩০ মিনিট। এবার স্নায়ু ও দমের খেলা হতে চলেছে এই ম্যাচে। প্রথমার্ধে যেমন ভালো ফুটবল খেললো ইংল্যান্ড ঠিক তেমনই দ্বিতীয়ার্ধে দারুণ ফুটবল খেললেন ইতালির ফুটবলাররা। শেষে বেশ কিছু আক্রমণ দুই দব করার চেষ্টা করলেও শেষ রক্ষা হয়নি।
৯০ মিনিট শেষে ৬ মিনিট ইঞ্জুরি টাইম
৯০ মিনিট শেষে স্কোরলাইন ১-১
৮৫ মিনিট!
পরিবর্তন করা হলো ইতালির তারকা খেলোয়াড় চিয়েসাকে। মাঠে এলেন ইতালির ফেডেরিকো। অন্যদিকে হলুদ কার্ড দেখলেন ৮৪ মিনিটের মাথায় ইতালির ইনসাইন। ওঠা নামার মধ্যে খেলা হলেও ১-১ ফলে চলছে ম্যাচ।
৭৩ মিনিট! সুযোগ হাতছাড়া ইতালির
ফের দ্বিতীয় গোল করতে পারতো ইতালি। ৭৩ মিনিটের মাথায় একে অপরের বিরুদ্ধে সুযোগ মিস করলেন ইতালির ফরওয়ার্ড। তারপর পর পর দুটি আক্রমণ করেন ইতালি ফুটবলাররা। দ্বিতীয়ার্ধে নিসন্দেহে ইংল্যান্ডকে পাল্টা চাপ দিল ইতালি। ইতিমধ্যেই দুটি পরিবর্তন করে ফেলেছে ইংল্যান্ডও। ট্রিপিয়ারের জায়গায় এসেছেন সাকা ৭১ মিনিটে। ৭৪ মিনিটে মাঠে এসেছে ইংল্যান্ডের হেন্ডারসন রাইসের জায়গায়।
গোল! ৬৭ মিনিটে ইতালি ১ - ১ ইংল্যান্ড
হলুদ কার্ড দেখার পরই আরও চনমনে ফুটবল খেলতে শুরু করেছিলেন বনুসি। এবার গোল করলেন ইতালির এই ফুটবলার। এক্রস বল এসেছিল প্রথম সুযোগ মিস হলেও, পরে গোলের মুখ থেকে বল জড়িয়ে সমতা ফেরালেন বনুসি।
৬২ মিনিট! দুরন্ত সেভ ইংল্যান্ড গোলরক্ষকের
ইতালি পর পর আক্রমণ করছিল। তারই মাঝে দুরন্ত গোল বাঁচালেন ইংল্যান্ডের গোলরক্ষক পিক ফোর্ড।
৫৫ মিনিট! হলুদ কার্ড দেখলেন ইতালির লিওনার্ড বনুসি
দারুণ মুহূর্মু আক্রমণে খেলছে দুই দল। ওঠা নামার মধ্যে এই ম্যাচ হয়ে উঠেছে দারুণ উত্তেজক। ইতিমধ্যেই দুটি খেলোয়াড় পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে ম্যাচে। বাড়েলার জায়গায় মাঠে এসেছেন ইতালির ক্রিস্টানতে ও ইমমোবাইলের জায়গায় এসেছেন ইতালির বেরার্ডি।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু
ভালো পাস খেলছে ইতালি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে মাত্র ৪৭ মিনিটের মাথায় ফের একবার সুযোগ এসেছিল ইংল্যান্ডের। তবে ইতালির গোলরক্ষক সেই সুযোগ ঝাঁপিয়ে রক্ষা করেন। দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরুতে পাসের ফুটবল খেলছে ইতালি। ৪৮ মিনিটের মাথায় হলুদ কার্ড দেখেন ইতালির নিকোলো বাড়েলা।
হাফ টাইম! প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে থাকলো ইংল্যান্ড
দারুণ ফুটবল দেখা গেল ইউরো কাপের ফাইনালে। একে অপরের বিরুদ্ধে দারুণ টেক্কা দিলো ইংল্যান্ড ও ইতালি। দুই দলই একে অপরকে জায়গা ছাড়লেন না। তবে প্রথমার্ধে গোল শোধ দিতে ব্যর্থ ইতালি। প্রথমার্ধে এগিয়ে থাকলো ইংল্যান্ড। হাফ টাইমে তিন মিনিট বেশি ইঞ্জুরি টাইম খেলা হয়। সেই পর্যন্ত ১-০ গোলে এগিয়ে থাকলো ইংল্যান্ড। বেশ কিছু ভালো শট ও ট্যাকেল করলেও গোল করতে প্রথমার্ধে ব্যর্থ ইতালি।
৩৫ মিনিট! মাথায় সহজ সুযোগ এসেছিল ইংল্যান্ডের, চলছে বৃষ্টিও
সহজ সুযোগ পেয়েছিলেন ইংল্যান্ড। খেলা দেখে বোঝা যাচ্ছিল ইংল্যান্ডের হ্যারি কেন, লুক সাউরা বেশ চাপে রেখেছিলেন ইতালির ফুটবল দলকে। একই সঙ্গে মাঠে চলছে বৃষ্টি। তবে ৩৫ মিনিটের মাথায় সহজ সুযোগ এসেছিল ইংল্যান্ডের। ফিনিশ করতে ব্যর্থ হলেন ইংল্যান্ড ফরওয়ার্ড।
২০ মিনিট! ইংল্যান্ড ১- ০ ইতালি
২০ মিনিট পর্যন্ত এক গোলে এগিয়ে ইংল্যান্ড। মাঝে সুযোগ সেভাবে তৈরি করতে পারেনি ইতালি। ইউরো কাপের ফাইনালে প্রথম থেকেই ইতালির ওপর চাপ বাড়িয়ে গেলে যাচ্ছে ইংল্যান্ড। ৮ মিনিটের মাথায় ফ্রি কিক পেলেও কাজে লাগাতে পারলো না ইতালি। তবে ২০ মিনিট পর্যন্ত আক্রমণ-প্রতিআক্রমণের খেলা চললো ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে।
গোল! ইংল্যান্ড ১ - ০ ইতালি (৩ মিনিটের মাথায়)
প্রথমেই পিছিয়ে গেল ইতালি দল। দুরন্ত গোল করলেন ইংল্যান্ডের লুক সাউ। প্রথমেই ইতালির ডি বক্সে ঢুকে গেল ইংল্যান্ড।
সমাপ্তি অনুষ্ঠানের পর হলো জাতীয় সঙ্গীত। শুরু হলো খেলা, কিক অফ। অবশেষে শেষ হলো অপেক্ষা। ইউরোপা ইউরো কাপের স্বাদ নিতে এবার মাঠে নেমে পড়লো দুই দল। কে জিতবে সেটাই এখন দেখার। এই ম্যাচ হতে চলেছে অন্যতম রোমাঞ্চকর।
ইংল্যান্ডের ওয়েম্বলিতে ঐতিহাসিক টুর্নামেন্টের মঞ্চে দারুণ ক্লোজিং সেরিমনি। ইউরো কাপের মতো টুর্নামেন্ট শুরু হলো দুরন্ত এক ক্লোজিং অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে। লেজার শো, আতশবাজি, সঙ্গে বিমানের মোহরা ও নাচ-গান সবের মধ্যে ইউরো কাপের মঞ্চ ফুটে ওঠেছিল দারুণ রঙে। সমাপ্তি অনুষ্ঠানের পর হলো কিক অফ।
এই কাপের জন্যই লড়াইয়ে নামতে চলেছে দুই দেশ। ইউরোর বিশ্বকাপের মতোই বড় টুর্নামেন্ট। এর উন্মাদনা বিশ্বকাপের তুলনায় কোনও গুণেই কম নয়। আর মাত্র এক কিছু মিনিট তারপরই কিক অফ হবে ইউরো ২০২০-২০২১য়ের ফাইনালের।
শুরু দর্শকদের উচ্ছ্বাস। ইতিমধ্যেই স্টেডিয়ামের বাইরে ভির জমাতে শুরু করে দিয়েছেন ইতালি ও ইংল্যান্ডের দর্শক ও ফ্যানেরা।
ইংল্যান্ডের প্রথম একাদশ-
পিকফোর্ড (গোল), হ্যারি কেন, স্টার্লিং, মাউন্ট, রাইস, ফিলিপ্স, সাউ, ট্রিপিয়ার, মাগুরে, স্টোনস, ওয়াকার।
ইতালির প্রথম একাদশ-
ডোনারুম্মা (গোল), ডি লরেন্জো, চেলিনি (অধিনায়ক), ভেরাট্টি, জরঘিনো, ইনসাইন, ইমারসন, চেসা, ইমমোবাইল, বারেলা, বনুসি।
সকালে কোপা আমেরিকা ফাইনাল। রাতে ইউরো কাপ ফাইনাল এই ম্যাচ নিয়ে দারুণ উত্তেজনায় ফুটবলের অনুরাগীরা।
আর কিছুক্ষণের অপেক্ষা ওয়েম্বলিতে মাঠে নামতে চলেছে ইউরো কাপের দুই সেরা দল। একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামবেন চেলিনি ও হ্যারি কেনরা। একদিকে যেমন হ্যারি কেনদের নিয়ে উচ্ছ্বসিত ইংল্যান্ড তেমনই ইতালি সমর্থকদের উত্তেজনাও কম নয়।