Advertisement

India vs Pakistan: মিঁয়াদাদের ব্যাঙের মতো নাচ মনে আছে? ভারত VS পাক ম্যাচের ৫ রক্ত গরম করা মুহূর্ত

কালেভদ্রে এই ম্যাচ নিয়ে চূড়ান্ত উত্তেজনা থাকে সবসময়। এর আগেও যখনই ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি হয়েছে, উত্তেজনা চরমে উঠেছে। কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ। কিন্তু এমন কিছু ম্যাচ রয়েছে যেখানে দুই দলের ক্রিকেটাররা খেলোয়াড়রা নিজেদের ধৈর্য হারিয়েছেন। দেখে নেওয়া যাক এমন পাঁচটি ঘটনা যখন এই ম্যাচের উত্তেজনা চরমে পৌঁছে গিয়েছিল।

ভারত ও পাকিস্তান ম্যাচ ভারত ও পাকিস্তান ম্যাচ
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 26 Aug 2022,
  • अपडेटेड 1:42 PM IST
  • ২৮ আগস্ট মুখোমুখি হবে ভারত-পাকিস্তান
  • প্রথম ম্যাচে খেলতে নামবে তারা

এশিয়া কাপের (Asia Cup) শুরুতেই মুখোমুখি হতে চলেছে ভারত ও পাকিস্তান (India vs Pakistan)। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান হওয়ায় গোটা দেশবাসীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ চড়ছে। ২৮ আগস্ট এই ম্যাচের অপেক্ষায় রয়েছে বিশ্বের সমস্ত দেশ। দুই দেশের জনগন তো বটেই, এই লড়াইয়ের সাক্ষী থাকতে চান বিভিন্ন দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরাও।

এমনিতেই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কারণে দুই দেশের মধ্যে সিরিজ আয়োজন হয় না। তাই আন্তর্জাতিক আসরেই শুধু মুখোমুখি হয় ভারত ও পাকিস্তান। কালেভদ্রে এই ম্যাচ নিয়ে চূড়ান্ত উত্তেজনা থাকে সবসময়। এর আগেও যখনই ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি হয়েছে, উত্তেজনা চরমে উঠেছে। কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ। কিন্তু এমন কিছু ম্যাচ রয়েছে যেখানে দুই দলের ক্রিকেটাররা খেলোয়াড়রা নিজেদের ধৈর্য হারিয়েছেন। দেখে নেওয়া যাক এমন পাঁচটি ঘটনা যখন এই ম্যাচের উত্তেজনা চরমে পৌঁছে গিয়েছিল।

বিষেণ সিং বেদির ম্যাচ ছেড়ে আসা

আরও পড়ুন

৩ নভেম্বর ১০৭১ সালে পাকিস্তানের শাহিওয়ালে জাফর আলি স্টেডিয়ামে ভারত-পাক ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় এবং নির্ণায়ক ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়। পাকিস্তান আগে ব্যাট করে ৪০ ওভারে ২০৫ রান করে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৩৭ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ১৮৩ রান করে ভাল জায়গায় ছিল ভারতীয় দল (Team India)। পাকিস্তানের অধিনায়ক মুস্তাক মহম্মদ, ৩৮ তম ওভারে সরফরাজ নওয়াজকে (Sarfraz Nawaz) বল করতে ডাকেন। ওই ওভারে নওয়াজ, অংশুমান গায়কোয়াড়কে (Anshuman Gaekwad) লাগাতার চারটি বাউন্সার দেন মাথার উপর দিয়ে। যার নাগাল পাননি ভারতীয় ব্যাটসম্যান। কিন্তু আম্পায়ার একটিও নো বা ওয়াইড দেননি। ম্যাচ জেতার জন্য পাকিস্তানি চালকে বুঝতে পেরে ব্যাটসম্যানদের ড্রেসিংরুমে ডেকে নেন ভারতের তৎকালীন অধিনায়ক বিষেণ সিং বেদী(Bishan Singh Bedi)। পাকিস্তানকে ম্যাচ ছেড়ে দেয় ভারত। এরপরই দু'দলের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটে।

পর্যাপ্ত আলো ছাড়াই ম্যাচ
১৯৯১ সালে ভারত, পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যে উইলস কাপের আয়োজন করা হয়েছিল। পর্যাপ্ত আলো না থাকা সত্ত্বেও খেলা চলতে থাকে। শেষ ম্যাচে পাকিস্তান প্রথম ব্যাটিং করে ৫০ ওভারে ২৫৭ রান তোলে। লক্ষ্যের পিছু ধাওয়া করে ভারত ভাল শুরু করে। কিন্তু মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায় কিছুটা বিপর্যয়ের মুখে পড়ে ভারতীয় ইনিংস। পরে সচিন তেন্ডুলকর (Sachin Tendulkar) ও মনোজ প্রভাকর ভারতের হাল ধরেন। কিন্তু আলো এতটাই কম হয়ে আসে যে, ব্যাটসম্যানরা বল দেখতে পাচ্ছিলেন না। এই সময় শারজায় ফ্লাড লাইড ছিল না। খারাপ আলো সত্ত্বেও জোর করে খেলা চালিয়ে যান আম্পায়াররা। ভারত শেষে চার রানে ম্যাচ হেরে যায়।

Advertisement
জাভেদ মিয়াঁদাদ ও কিরণ মোরে

মিয়াঁদাদ ও কিরণ মোরের ঝামেলা
১৯৯২ বিশ্বকাপে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সিডনিতে খেলা ম্যাচে জাভেদ মিঁয়াদাদের (Javed Miandad) কীর্তি আজও চর্চায় রয়েছে। এই লড়াইয়ে ভারত প্রথম ব্য়াট করে পাকিস্তানকে ২১৭ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল। জবাবে পাকিস্তান একসময় কোন উইকেট না হারিয়ে ৮৫ রান করে ফেলে। এই সময় সচিন তেন্ডুলকরের একটি বলে উইকেট কিপার কিরণ মোরে (Kiran More) ক্যাচের আপিল করেন। তাতে খেপে যান মিঁয়াদাদ। এখান থেকেই শুরু হয় সমস্যা। এরপরের বলে রান নেওয়ার চেষ্টা করলে ফের স্টাম্প ভেঙে দেন কিরণ মোরে। আর তাতেই ব্য়াঙের মতো লাফাতে দেখা যায় মিঁয়াদাদকে। এরপরই ফোকাস হারিয়ে ফেলে পাকিস্তান। ভারত এই ম্যাচ ৪৩ রানে জিতে নেয়। 

ভেঙ্কটেশ প্রসাদ ও আমির সোহেল

ভেঙ্কটেশ প্রসাদ ও আমির সোহেলের দ্বৈরথ
বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ব্যাঙ্গালুরুতে ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি হয়। হাইভোল্টেজ ম্যাচে ২৮০ রানের লক্ষ্যমাত্রা দেয় ভারত। ওয়াকার ইউনিসকে বেধড়ক মারেন অজয় জাদেজা। এরপর ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান দারুণ শুরু করে। আমির সোহেল (Aamer Sohail) ভাল ব্যাট করছিলেন। ১৫ তম ওভারে ভেঙ্কটেশ প্রসাদকে (Venkatesh Prasad) চার মেরে ব্য়াট দেখিয়ে গালিগালাজ করেন সোহেল। প্রসাদকে ওই জায়গায় ফিল্ডার রাখতে বলেন তিনি। নইলে আবার ৪ মারবেন বলে হুমকি দেন। কোনও উত্তর না দিয়ে পরের বলেই তাঁর স্টাম্প নড়িয়ে দেন প্রসাদ।  এরপরই প্রসাদ উত্তেজিত হয়ে সোহেলকে একই ভঙ্গিতে প্যাভিলিয়নের রাস্তা দেখান। পাকিস্তানও ম্য়াচ হেরে যায়।

 

গম্ভীর এবং আফ্রিদির ঝগড়া

২০১৭ সালে কানপুরে ওয়ানডে ম্যাচে গৌতম গম্ভীর (Gautam Gambhir) এবং শাহিদ আফ্রিদির (Shahid Afridi) নিজেদের মধ্যে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন। গম্ভীর, আফ্রিদির একটি বলে চার মারার পর পরের বলে রান নেওয়ার চেষ্টা করেন। রান নিতে দৌড়নোর সময়, দুই জনের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়। তাঁকে আফ্রিদি আটকানোর চেষ্টা করছেন বলে গম্ভীর অভিযোগ করেন। আম্পায়ার ইয়ান গোল্ড কোনওভাবে দুই ক্রিকেটারকেই শান্ত করেন। পরে ম্যাচ রেফারি রোশন মহানামা আফ্রিদির ম্যাচ ফি'র ৯৫ শতাংশ এবং গম্ভীরের ৬৫ শতাংশ জরিমানা করেন। 

Read more!
Advertisement
Advertisement