চলতি আইএসএল মরশুমে শেষ হয়ে গেল এসসি ইস্টবেঙ্গলের অভিযান। লিগের শেষ ম্যাচে ওড়িশার কাছে তারা ৬-৫ গোলে পর্যুদস্ত হল।
৯০ + ৫ মিনিটে আবারও একটা গোল করলেন আমাদি। এই নিয়ে চলতি ম্যাচে তিনি জোড়া গোল করলেন। শেষ গোলটি হেড দিয়ে করলেন আমাদি।
বক্সের মধ্যে থেকে রফিক একটা বাঁকানো ক্রস করেছিল। সার্থক প্রথমবারেই বলটা ধরে শট নেয়। কিন্তু সেটা ক্রসবারের ওপর দিয়ে উড়ে যায়।
ড্যানি ফক্সের থেকে একটা পাস পেয়েছিলেন অ্যারন হলোওয়ে। তিনি ঘুরে গিয়ে একটা শট নিয়েছিলেন। কিন্তু ওই শট ক্রসবারের ওপর দিয়ে বেরিয়ে গেল।
রফিকের থেকে একটা পাস পেয়েছিলেন পিলকিংটন। সেই বল নিয়েই তিনি বক্সের মধ্যে ঢুকলেন। জায়গা তৈরি করে শটও মারলেন। কিন্তু, সেটা অনেকটা বাইরে দিয়ে বেরিয়ে গেল।
জেজের গোলে কিছুটা হলেও সম্মান বাঁচালো ইস্টবেঙ্গল।
ব্রাইট এনবাখোরে বক্সের মধ্যে পিলকিংটনকে একটা ক্রস বাড়িয়েছিলেন। পিলকিংটন বলটা জেজের দিকে বাড়িয়ে দেন। তিনি হেড দিয়ে দলের ব্যবধান এক গোলে কমান।
চলতি ম্যাচে প্রথম গোল পেলেন মরিশিও।
ওড়িশার গোল তালিকায় আরও একটা যোগ করলেন দিয়েগো মরিশিও। বক্সের ঠিক বাইরে থেকে লো ফ্রি-কিকে তিনি ইস্টবেঙ্গলের জালে বল জড়িয়ে দিলেন।
চলতি ম্যাচে জোড়া গোল দিলেন জেরি
দিয়েগো মরিশিও বলটাকে একটু হালকা করে ভাসিয়ে দেন। সেই বলটি বক্সের মধ্যে জেরি মাওমিংথাঙ্গার কাছে যায়। তারপর অসাধারণ একটা ভলিতে তিনি দলের হয়ে গোলের ব্যবধান বাড়িয়ে দিলেন।
পলের গোলে এগিয়ে গেল ওড়িশা
ওড়িশার চতুর্থ গোলটি করলেন পল রামফ্যাংজ়াউভা। তাঁর নিচু দুরপাল্লার শটে বল জড়িয়ে গেল ইস্টবেঙ্গলের জালে।
সুরচন্দ্রের বদলে মাঠে নামবেন মহম্মদ রফিক।
আজকের ম্যাচে যেন গোলের বন্যা বইছে। ৬০ মিনিটে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে সমতা ফেরালেন অ্যারন আমাদি।
আমাদি প্রথমে নিজের জন্য একটু জায়গা করে নিলেন। তারপর জোরালো শটে বিপক্ষের জালে বল জড়িয়ে দিলেন।
বাঁ দিক থেকে দৌড়ে এলেন সেই ম্যানুয়েল আনু। তিনি ক্রস করে দিয়েগো মরিশিওকে বলটা বাড়িয়ে দিলেন। মরিশিও সেই বলেই হেড দিয়েছিলেন। কিন্তু, প্রথম পোস্টে বলটা লেগে মাঠের বাইরে বেরিয়ে গেল।
৩-২ গোলে এগিয়ে গেল ওড়িশা এফসি। ৫০ মিনিটে বক্সের ডান দিক থেকে ক্রস করেছিলেন ম্যানুয়েল আনু। সেখানে জেরি অরক্ষিত অবস্থায় ছিলেন। তিনি হেড দিয়ে ওড়িশাকে এগিয়ে দিলেন।
৪৯ মিনিটে ওড়িশার হয়ে সমতা ফেরালেন পল রামফ্যাংজ়াউভা।
বক্সের বাঁ দিক থেকে কর্নার কিক করেছিলেন ব্রাড ইনম্যান। সেই বলে মাথা ঠেকিয়ে ছিলেন জ্যাকব ত্রাত। কিন্তু, বল ক্রসবারের ওপর দিয়ে বেরিয়ে গেল।
প্রথম ৪৫ মিনিটের পর ২-১ গোলে এগিয়ে রয়েছে ইস্টবেঙ্গল। দ্বিতীয়ার্ধের জন্য প্রস্তুত থাকুন। ফিরে আসছি কিছুক্ষণের মধ্যেই।
বল নিয়ে একাই দৌড়তে শুরু করেছিলেন নাইজেরিয়ার এই ফুটবল তারকা। ওড়িশার দুজন রক্ষণের ফুটবলারকেও তিনি টপকে যান। অবশেষে তাঁর অন্তিম শটটি ধরে নেন রবি কুমার।
৩৬ মিনিটের রবি কুমারের আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে গেল ইস্টবেঙ্গল। বক্সের মধ্যে পাস পেয়েছিলেন জ্যাকুয়েস মাঘোমা। সেই বলে তিনি শটও মারেন। প্রথমে শটটা বাঁচিয়ে ফেলেছিলেন ওড়িশার গোলরক্ষক রবি কুমার। অ্যারন হলোওয়ে সেই ফিরতি বলে আরও একবার শট মারার চেষ্টা করেন। কিন্তু, সেই বলও প্রতিহত হয়। এরপর ম্যানুয়েল আনু বলটা ক্লিয়ার করার চেষ্টা করেন। কিন্তু, তিনি রবি কুমারের দিকেই বলটা মারেন। সেই বল রবি কুমারের গায়ে ধাক্কা লেগে সোজা নিজেদের জালেই জড়িয়ে গেল।
গৌরব বোরার থেকে বলটা কার্যত কেড়ে নিয়ে পিলকিংটন ওড়িশার গোলকিপার রবি কুমারের একেবারে মুখোমুখি পৌঁছে যান। তিনি শট মেরেছিলেন বটে। কিন্ত, ওড়িশার গোলরক্ষক সেই বল ধরে নেন।
৩৩ মিনিটে ওড়িশার হয়ে সমতা ফেরালেন জেরি। বাঁকানো একটা কর্নার কিক করেছিলেন ব্রাড ইনম্যান। সেটা ইস্টবেঙ্গলের ডিফেন্ডাররা ক্লিয়ার করতে পারলেন না। বল গেল জেরির কাছে। ওড়িশার এই উইঙ্কার বলটি নিয়ে ইস্টবেঙ্গলের জালে জড়িয়ে দিলেন।
প্রথম ৩০ মিনিটের পর ১-০ গোলে এগিয়ে রয়েছে ইস্টবেঙ্গল।
২৪ মিনিট - অবশেষে গোলের দরজা খুলে দিলেন পিলকিংটন। আঙ্গুসানার থেকে একটা পাস পেয়েছিলেন অ্যান্টনি পিলকিংটন। তিনি বক্সের মধ্যে প্রবেশ করেন। তারপর অসাধারণ একটা শটে তিনি বিপক্ষে জালে বলটা জড়িয়ে দিলেন।
ফের নজর কাড়লেন সুরচন্দ্র সিং। তাঁর বাঁকানো কর্নার ক্রসবারে গিয়ে লাগল। বল মাঠের বাইরে চলে গেল। যদিও রবি কুমার সেই বলের নাগালে চলে এসেছিলেন এবং আঙুল ঠেকিয়েছিলেন।
বক্সের মধ্যে অসাধারণ একটা ক্রস করেছিলেন সুরচন্দ্র সিং। কিন্তু, সেই বলের থেকে অনেকটাই দুরে ছিলেন অ্যারন হলোওয়ে। সেকারণে তিনি বলের নাগাল পেলেন না।
বক্সের বাইরে থেকে ফ্রি-কিক মেরেছিলেন সুরচন্দ্র সিং। কিন্তু জ্যাকব ত্রাত সেই বলটি ইস্টবেঙ্গল খেলোয়াড়দের কাছে যাওয়ার আগেই আটকে দিলেন।
বাঁদিক থেকে করা জর্জ ডি'সুজ়ার থ্রো-ইন থেকে বল পেয়েছিলেন দিয়াগো মরিশিও। সেই বলেই তিনি শট মারতে যান। তাঁর শট অনেকটা বাইরে দিয়ে বেরিয়ে গেল।
মাঠের বাঁদিক থেকে ফ্রি-কিক উঁচিয়ে ছিলেন নারায়ণ দাস। বল বিপক্ষের বক্সের মধ্যে গেলেও রবি কুমার তা সংগ্রহ করে নেন।
আজ এসসি ইস্টবেঙ্গল দলে নজন খেলোয়াড় বদল করা হয়েছে। একমাত্র সার্থক গলুই এবং অ্যারন আমাদি ছাড়া আর কেউই প্রথম একাদশে নেই।
০ মিনিট - শুরু হল খেলা। রেফারি বাজালেন বাঁশি। বল গড়াল মাঠে।
রেফারিদের খারাপ আচরণের কারণে বিগত চারটে ম্যাচ লিভারপুলের এই কিংবদন্তিকে নির্বাসিত করা হয়েছিল। তারমধ্যে রয়েছে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় কলকাতা ডার্বি। এটিকে মোহনবাগানের কাছে তাঁরা ৩-১ গোলে হেরে যায়। এমনকী, নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেডের কাছেও ২-১ গোলে হারতে হয়েছিল ইস্টবেঙ্গলকে। ১৯ ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট সংগ্রহ করে আপাতত তারা টেবিলের নবম স্থানে রয়েছে। তবে আজকের ম্যাচে তিনি আবারও ফিরে এসেছেন। শেষ ম্যাচে দলকে জেতাতে পারেন কি না, এখন সেটাই দেখার।