
রঞ্জি ট্রফির সেমি ফাইনালে মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে বড় রানের লিড পেল বাংলা। আকাশ দীপের পাঁচ উইকেটের দৌলতে ২৬৮ রানে এগিয়ে মনোজ তিওয়ারিরা। মধ্যপ্রদেশকে ফলো অন করানোর সুযোগ থাকলেও তা করাল না বাংলা। বাংলার ৪৩৮ রানের জবাবে মধ্যপ্রদেশের ইনিংস শেষ হয় মাত্র ১৭০ রানে।
অর্ধ শতরান করা সারংশ জৈন ৬৫ রানের মাথায় আউট করেন আকাশ দীপ। ১৬৯ বলে ৬৫ রান করে বাংলার স্পিনারের বলে বোল্ড হন জৈন। শুভম শর্মা ৯৯ বলে ৪৪ রান করে অপরাজিত থাকলেও আর কেউই তেমন রান করতে পারেনি মধ্যপ্রদেশ। তিন ব্যাটার আউট হয়েছেন ০ রানেই। ৭ রান করে আউট হয়েছেন ভেঙ্কটেশ আইয়ার। আকাশ দীপের বলে রান না করেই আউট হয়েছেন আরও এক তারকা রজত পাতিদার।
কেন ফলো অন করাল না বাংলা?
প্রথম ইনিংসে লিড পেয়ে যাওয়ায় তিন পয়েন্ট এমনিতেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে বাংলার। আর দুই দিনের খেলা বাকি রয়েছে। ফলে বাকি সময়ের যতটা সম্ভব নষ্ট করা যায় ততটাই লাভ বাংলার। ব্যাট করে মধ্য প্রদেশের সামনে আরও বড় লক্ষ্য রাখতে চায় বাংলা। যাতে তা মধ্যপ্রদেশ ব্যাটারদের ধরা ছোঁয়ার বাইরে চলে যায়। কারণ ম্যাচ ড্র হলেও প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থাকায় সুবাদে ফাইনালে চলে যাবেন মনোজরা। আর সেই জন্যই আরও বেশি সময় ব্যাট করতে চাইছে বাংলা।
৩৫০-৪০০ রানের লক্ষ্য দিয়ে চতুর্থ ইনিংসে মধ্যপ্রদেশকে ব্যাট করতে ডাকতে পারে বাংলা। লাঞ্চের আগেই ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে মধ্যপ্রদেশ। এরপরেই সারাংশ জৈন ও শুভম শর্মা ঝড়ো ইনিংস খেলতে থাকেন। ৫৮ রানের জুটি গড়ে তোলেন দুই ব্যাটার। আকাশ দীপ আসতেই সারাংশর উইকেট হারায় মধ্যপ্রদেশ। পরের বলেই কুমার কার্তিকেয়র উইকেট তুলে নেন আকাশ দীপ। রান না করেই আউট হন আবেশ খান।
গৌরব যাদবকে দারুণ থ্রো-এ রান আউট করেন অনুষ্টুপ মজুমদার। তাঁর থ্রো ধরে উইকেট ভেঙে দেন উইকেটকিপার অভিষেক পোড়েল। ১৯ ওভার বল করে ৩০ রান দিয়ে ২ উইকেট তুলে নেন শাহবাজ আহমেদ। ২০ ওভার বল করে ৩৯ রান দিয়ে এক উইকেট নেন মুকেশ কুমার। তবে বাংলার বোলিং-এর নায়ক অবশ্যই ১৮ ওভারে ৪২ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট তুলে নেওয়া আকাশ দীপ।