মহমেডানের (Mohammedan Sporting) সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার পথে বাঙ্কারহিল (Bunkerhill)। সম্ভবত ইনভেস্টর হারাতে চলেছে মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাব। বাঙ্কারহিল এতদিন এই ক্লাবের ইনভেস্টর হিসেবে কাজ করছিল। কিন্তু এবার তাল কাটল, কলকাতা ময়দানে ফের ক্লাব ও ইনভেস্টরের মধ্যে সংঘাতের জেরে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল বাঙ্কারহিল। bangla.aajtak.in-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানালেন ইনভেস্টর কর্তা দীপক কুমার সিং (Deepak Kumar Singh)।
প্রসঙ্গত, গত মরশুমে ফুটবলে বড় কোনও টুর্নামেন্ট জিততে পারেনি মহমেডান। ডুরান্ড কাপের (Durand Cup) পর আই লিগেও (I League) চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি তারা। বাঙ্কারহিল কর্তারা ক্লাবের সঙ্গে যোগ দেওয়ার পরই জানিয়ে দিয়েছিলেন, দুই বছরের মধ্যে আই লিগ জিতে অন্য দুই বড় ক্লাবের মতো মহমেডানও দেশের সর্বোচ্চ লিগ, আইএসএল-এ (ISL) খেলবে। যদিও সেই স্বপ্ন বাস্তবয়িত হওয়ার আগেই, মহমেডানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিল বাঙ্কারহিল। ফুটবলে সাফল্য না আসলেও, মহিলাদের ক্রিকেট লিগে জয় পেয়েছে মহমেডান। সেইসঙ্গে সিএবি ক্রিকেট লিগের মূলপর্বেও ওঠে তারা। কিন্তু এরপরেও ইনভেস্টরের সঙ্গে দূরত্ব কেন?
আরও পড়ুন: কোনও ফুটবলারকেই সই করাতে পারছে না ইস্টবেঙ্গল, কেন?
বাঙ্কারহিল কর্তা দীপক কুমার সিং জানাচ্ছেন যে, তারা ক্লাবের উন্নতির জন্যই বরাবর কাজ করতে চেয়েছেন। কিন্তু ক্লাব কর্তাদের চিন্তাভাবনার সঙ্গে অনেকক্ষেত্রেই একমত হতে পারেননি তারা। ফলে দূরত্ব বাড়ছিল ক্রমশই। যদিও ক্লাব এবং ইনভেস্টরের মধ্যে এটিই চুক্তির শেষ বছর। কিন্তু সম্ভবত তার আগেই ক্লাব ছাড়তে পারেন তারা, এমনই ইঙ্গিত দিলেন দীপক কুমার সিং। সামনেই ইদ, আর এখন পবিত্র রমজান মাস চলছে। তাই এখনই সরকারি ঘোষণা করার পথে হাঁটতে নারাজ ইনভেস্টররা। রমজান মাসের পর ইদ। উৎসবের আবহ কাটলেই সাংবাদিক সম্মেলন করে সরকারিভাবে জানানো হতে পারে এই সিদ্ধান্ত।
আরও পড়ুন: লোবেরাকেই পছন্দ, নববর্ষেও সই না হওয়ায় ক্ষুব্ধ ইস্টবেঙ্গল ক্লাব
এর আগেও বেশ কয়েকবার মহমেডানের সঙ্গে বাঙ্কারহিলের বিচ্ছেদের খবর শোনা গিয়েছিল। যদিও আলোচনার টেবিলে বসে সমস্ত সমস্যা মিটিয়ে নেন দুই পক্ষের কর্তারা। ফলে সমস্যা খুব বেশিদূর এগোয়নি। এ ক্ষেত্রেও কী ঠিক সেই রকমই কিছু হবে? কলকাতা ময়দানে ইনভেস্টরের সিঙ্গেল ক্লাব কর্তাদের ঝামেলার খবর নতুন নয়, ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে কখনও কোয়েস তো কখনও শ্রী সিমেন্ট ঝামেলা হয়েছে বহুবার। প্রত্যেক ক্ষেত্রেই বিনিয়োগকারীদের দাবি ছিল, পুরোনো ধ্যানধারণা নিয়ে ক্লাব চালাতে চাইছেন কর্তারা। আর এ ক্ষেত্রেও অভিযোগ প্রায় একই।