অভিযোগ ফেডারেশনের কাছে জমা দিল মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট (Mohun Bagan Super Giant)। শনিবার ইয়ুথ লিগের ডার্বিতে ইমামি ইস্টবেঙ্গলের (Emami East Bengal) মুখোমুখি হয়েছিল সবুজ-মেরুন। সেই ম্যাচে মোহনবাগান ঘরের মাঠে ০-৪ গোলে হারের পরেই অভিযোগ জানানো হয় সবুজ-মেরুন কর্তাদের পক্ষ থেকে। রবিবার বিকেলে আনুষ্ঠানিক ভাবে ফেডারেশনের কাছে অভিযোগ করল মোহনবাগান।
কী রয়েছে অভিযোগে?
মোহনবাগান ক্লাবের পক্ষ থেকে অভিযোগে বলা হয়েছে, এক ফুটবলারকে খেলাতে জাল কাগজপত্র ব্যবহার করেছে ইস্টবেঙ্গল। তবে শুধু একজন নয়, আরও কয়েকজন ফুটবলারের বয়স ১৭-র বেশি। তারাও অনুর্দ্ধ-১৭ এই টুর্নামেন্টে খেলছে। ফলে সামগ্রিক ভাবে গোটা ব্যাপারটা পর্যালোচনা করা হোক এবং সমস্ত ফুটবলারদের বয়সের ব্যাপারটা তদন্ত করে দেখুক ফেডারেশন। পাশাপাশি এও জানানো হয়েছে, এমন কাজে ভয়রতীয় ফুটবলের ক্ষতি হচ্ছে। মোহনবাগান ফেডারেশনের উপর আস্থা রাখছে। কর্তাদের আশা খুব দ্রুত এই গুরুতর অভিযোগের তদন্ত শুরু করবে ভারতীয় ফুটবলের নিয়মক সংস্থা। যদিও কার বিরুদ্ধে অভিযোগ তা খোলসা করেননি মোহনবাগান কর্তারা।
কী শাস্তি হতে পারে ইস্টবেঙ্গলের?
লাল-হলুদের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ সামনে এনেছে মোহনবাগান। প্রথমমত, আধার জাল করার অভিযোগ সামনে এলে ফৌজদারি মামলা হতে পারে। সেক্ষেত্রে কাদের বিরুদ্ধে কারা মামলা করবেন সেটা আইনজ্ঞরা ঠিক করবেন। বয়স ভাঁড়ানোর অভিযোগ প্রমাণ হলে সাসপেন্ড হতে পারে গোটা ইস্টবেঙ্গল টিম। এর আগে বিভিন্ন সময় ফুটবলারদের পেমেন্ট নিয়ে নানা ঝামেলায় জড়িয়েছে ময়দানের বড় ক্লাবগুলি। তবে এভাবে বয়স ভাঁড়ানো বা আঁধার জালিয়াতির মতো অভিযোগ সামনে আসেনি। এই অভিযোগ প্রমাণিত হলে শাস্তি যেমন পেতে হবে ঠিক তেমনই বাংলার ফুটবল আরও একবার বিরাট লজ্জার মুখে পড়বে।
কী ঘটেছিল শনিবারের ম্যাচে?
মোহনবাগানকে তাদের ঘরের মাঠে ৪-০ গোলে হারিয়ে দেয় ইমামি ইস্টবেঙ্গল। অনুর্দ্ধ -১৭ ইয়ুথ লিগের ডার্বিতে প্রথম ম্যাচে দারুণ জয় লাল-হলুদের। তবে এবার সেই ম্যাচ নিয়েই সমস্যায় পড়তে হতে পারে ইস্টবেঙ্গলকে। ম্যাচের ২ মিনিটেই পেনাল্টি থেকে দলকে এগিয়ে দেন গুরনেজ সিং।
এরপরে একবারও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি মোহনবাগান। প্রথমার্ধে আর গোল পায়নি ইস্টবেঙ্গল। তবে পাল্টা আক্রমণও করতে পারেনি মোহনবাগান। যদিও দ্বিতীয়ার্ধে লাল -হলুদ চেনা ছন্দে ফিরে আসে। ম্যাচ শুরু হতেই, একের পর এক গোল করতে থাকে ইস্টবেঙ্গল। ৪৮ মিনিটে দীপু ব্যবধান বাড়ান। এর ঠিক এক মিনিট পরেই আবার গোল অ্যালফ্রেডের। ৫১ মিনিটে দলের হয়ে চতুর্থ গোল করেন দেবজিৎ। ব্যাবধান বাড়ানোর সুযোগ পেলেও পরে তা আর কাজে লাগাতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল।