আনোয়ার আলি (Anwar Ali) নিয়ে বিতর্কে সমাধান কি ২ আগস্ট হবে? তা নিয়ে নানা জল্পনা চলছে ভারতের ফুটবল মহলে। এর মধ্যেই এই বিতর্ক নিয়ে মুখ খুলেছেন মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট (Mohun Bagan Super Giant) কর্ণধার সঞ্জীব গোয়েঙ্কা (Sanjiv Goenka)। জেমি ম্যাকলরেন (Jemi Mclaren) ও হোসে মোলিনাকে (Jose Molina) সাংবাদিক সম্মেলন করার ফাঁকেও উঠে এল আনোয়ার প্রসঙ্গ। এই প্রসঙ্গে সবুজ-মেরুনের স্ট্র্যাটেজি কী হতে চলেছে সে ব্যাপারে মুখ না খুললেও, তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেছেন গোয়েঙ্কা।
আনোয়ার আলিকে নিয়ে মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গলের মধ্যে দড়ি টানাটানির মধ্যেই সঞ্জীব গোয়েঙ্কা বলেন, 'আমরা মোহনবাগান। শালীনতা বজায় রাখতে পছন্দ করি। আমরা কারোর প্ররোচনায় পা দিতে চাই না। গত বছর আনোয়ারের সঙ্গে আমাদের অভিজ্ঞতা ভাল। ও দারুণ টিম ম্যান। তাই এই বিষয়ে আমরা এখনই কিছু বলতে চাই না।' প্রসঙ্গত আনোয়ার নিজেই আইএফএফকে জানিয়েছেন তিনি আর মোহনবাগানে থাকতে চান না। এমন অনিচ্ছুক ঘোড়াকে তাঁরা কি আটকে রাখবেন? তাতে গোয়েঙ্কা বলেন, 'ও ইচ্ছুক বা অনিচ্ছুক, তার কোনও প্রমাণ আমরা পাইনি। তাই এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাই না। দেখা যাক কী হয়।'
বড় অঙ্কের টাকা চাইতে পারে মোহনবাগান
সূত্রের খবর, মুখে গোয়েঙ্কা যাই বলুন, আসলে আনোয়ার ইস্যু নিয়ে নরম মনোভাব দেখাতে নারাজ মোহনবাগান। মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট ১৫ কোটি টাকার উপর চাইতে পারে আনোয়ারের কাছ থেকে। ২০২৩ থেকে ২০২৭ পর্যন্ত চুক্তি রয়েছে। তার সঙ্গে প্রতি মরসুমে আড়াই কোটি টাকা করে মাইনে পান এই ডিফেন্ডার। পাশাপাশি ট্রান্সফার ফি বাবদ ২ কোটি টাকা দিতে হয়েছিল দিল্লি এফসি-কে। সেই কারণেই এত বড় অর্থ চাইছে সবুজ-মেরুন।
ট্রান্সফার ব্যান চাইছে মোহনবাগান
আনোয়ার আলির প্রসঙ্গে মিথ্যাচার করা হয়েছে বলে দাবি মোহনবাগানের। পাশাপাশি দিল্লি এফসির-ও ট্রান্সফার ব্যান চেয়েছে মোহনবাগান। পাশাপাশি এই জটিলতার জন্য যারা দায়ি তাদেরও ব্যান দাবি করেছে তারা। চিঠিতে ইস্টবেঙ্গলের নাম না বললেও, আনোয়ারকে সই করানোর চেষ্টা যে ইস্টবেঙ্গলই করেছিল তা সকলেরই জানা। তাই এক্ষেত্রে তির ইস্টবেঙ্গলের দিকেই। এর আগে কলকাতা লিগে আনোয়ারকে রেজিস্টার করাতে চাইলেও তাঁকে পায়নি মোহনবাগান। মূল দলের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেলেও এখনও আসেননি আনোয়ার। ফলে প্লেয়ার স্টেটাস কমিটির দিকেই তাকিয়ে থাকতে হবে।