ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের পক্ষ থেকে জীবন কৃতি সম্মান পেতে চলেছেন প্রাক্তন ফুটবলার স্বপন সেনগুপ্ত। সত্তরের দশকে একাধিক তারকা ফুটবলারের মধ্যে নিজের জায়গা করে নিয়েছিলেন স্বপন সেনগুপ্ত। ১৯৬৮ সাল থেকে কলকাতা ক্লাব ফুটবলে খেললেও ইস্টবেঙ্গলে আসেন ১৯৭০ সালের শুরুর দিকে। চারবছর লাল-হলুদ জার্সিতে খেলছেন।১৯৭৩ সালে লাল-হলুদের অধিনায়কও হয়েছিলেন। ময়দানে একটা নাম সেই সময় খুব বিখ্যাত হয়ে যায়। 'চিংড়ি' নামে সকলেই ডাকতে থাকেন স্বপন সেনগুপ্তকে। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে চিংড়ি? নামটা খুব অদ্ভুত। তাই না? আসলে ইস্টবেঙ্গলে আসার আগেই স্বপন সেনগুপ্তের নাম হয়ে গিয়েছিল চিংড়ি। আজতক বাংলাকে নিজেই জানালেন সেই কথা।
ফোনে নিজের ময়দানি ডাননাম নিয়ে স্বপন সেনগুপ্ত বলেন, '' অদ্ভুত লাগে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে একজন ফুটবলার খেলছে যাকে সবাই চেনে চিংড়ি বলে। আসলে পাড়ায় পাড়ায় যখন খেলে বেড়াতাম তখন থেকেই আমার এই নাম হয়ে গিয়েছে। বাল্য বন্ধুদের দেওয়া নাম। আমি বল নিয়ে খুব ছটফট করতাম ছোটবেলায়। সেই জন্যই এই নাম দেয় আমার বন্ধুরা।''
আরও পড়ুন: আজ টিম গঠন শুরু ইস্টবেঙ্গলের, চুক্তি-জট কত দূর?
১৯৭০ সালে যখন ইস্টবেঙ্গলে প্রথমবার সই করেন স্বপন, তখন দলে একঝাঁক তারকা ফুটবলার। পিটার থঙ্গোরাজ, শান্ত মিত্র, শ্যাম থাপারা দাপিয়ে খেলছেন। তাদের মধ্যেও নিজের জায়গা করে নিয়েছিলেন স্বপন সেনগুপ্ত। নিজের খেলা সেরা ম্যাচের কথা বলতে গিয়ে কিছুক্ষণ ভাবলেন তিনি। তারপর বলেন, ''আমার জীবনে এত ভাল ম্যাচ রয়েছে এবং তাঁর সংখ্যা এতটাই বেশি যে কোনও বিশেষ একটি ম্যাচ বেছে নেওয়া কঠিন। ৭০ সালেই ইরানের পাস ক্লাবের বিরুদ্ধে খেলা বা লিগ, শিল্ড, ডুরাণ্ড, রোভার্স সহ ঘরোয়া টুর্নামেন্টে আমি যত গোল করিয়েছি তা যদি নিজে করতাম তাহলে স্কোরার তালিকায় অনেক ওপরে থাকতে পারতাম।”
আরও পড়ুন: উড়ন্ত জাদেজা, দু'টি ক্যাচ দেখলে স্তম্ভিত হতে হয়, VIRAL VIDEO
সেই সময় ইস্টবেঙ্গলের সাফল্যের রহস্য কী ছিল? এখনই বা সাফল্য আসছে না কেন? এই দুই প্রশ্নের উত্তরে স্বপন বলেন, ''ফুটবলে গোলকিপার, দুই স্টপার, সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার ও স্ট্রাইকারকে খুব ভাল খেলতে হয়। সেটা এই সময় ইস্টবেঙ্গল দলে ছিল। এখন আর তা দেখতে পাই না। গত ১০ বছর ক্লাবে সাফল্য নেই। কাউকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। সবাইকেই ভাবতে হবে।''