নববর্ষে বার পুজোর অনুষ্ঠানের মধ্যেই বিস্ফোরক মোহনবাগান (Mohun Bagan) সভাপতি স্বপন সাধন বসু। এক দিন পরেই লিগ শিল্ড জেতার লড়াইয়ে মুম্বই সিটি এফসি-র (Mumbai City FC) বিরুদ্ধে মুখোমুখি হবে মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট (Mohun Bagan Super Giant)। সেই ম্যাচের আগে ইস্টবেঙ্গলকে (East Bengal) খোঁচা দিলেন টুটু বসু (Tutu Bose)। মোহনবাগান ক্লাবের সভাপতি টুটু বসু মনে করেন, এবারের লিগ শিল্ড জিতবে সবুজ-মেরুনই। তবে পড়শি ক্লাবের অবস্থা নিয়ে টিপ্পনি কাটতে ছাড়লেন না তিনি।
কী বললেন টুটু?
মোহনবাগান সুপার জায়েন্টের অন্দরের খবর সেভাবে পান না সবুজ-মেরুন কর্তারা। তবে তা নিয়ে আক্ষেপ নেই টুটু বসুদের। বলেন, 'মোহনবাগান আর সেই আগের মোহনবাগান নেই। যে বলে দেব রাত ১২টার সময় আমি কৃশানুকে তুলেছি। তবে এ নিয়ে আক্ষেপ নেই।' পাশাপাশি তিনি এও বলেন, 'এটা যদি করতে না পারতাম তা হলে, আমাদের অবস্থা ইস্টবেঙ্গলের মতো হত। ওই পরিবারের সঙ্গে আমার অনেকদিনের সম্পর্ক। আরপি গোয়েঙ্কাও মোহনবাগান সদস্য ছিলেন। সঞ্জীব গোয়েঙ্কাও মোহনবাগান সদস্য। সিইএসসি কলকাতার কোম্পানি। ওরা পালিয়ে যাবে না।'
রবিবার আইপিএল-এর ম্যাচে কলকাতার বিরুদ্ধে সবুজ-মেরুন জার্সি পরে মাঠে নামছে লখনউ মোহনবাগানকে সম্মান জানাতে। সে কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন টুটু। তিনি বলেন, 'ওরা যে প্যাশনেট তাঁর সবচেয়ে বড় প্রমাণ হল, আজ লখনউ সবুজ-মেরুন জার্সি পরে মাঠে নামছে।'
হাবাস ফেরাতে মোহনবাগানই লিগ শিল্ড জিতবে বলে মনে করেন টুটু। তিনি বলেন, 'কালকের ম্যাচের আগে সবচেয়ে বড় স্বস্তি হল হাবাস মাঠে ফিরেছেন অসুস্থতা কাটিয়ে। উনি জানেন কোন প্লেয়ারকে কখন নামাতে হবে। কাদের কীভাবে খেলাতে হবে।' মরসুমের শুরুতে জুয়ান ফেরান্দোকে কোচ রাখা হলেও, মাঝপথেই তাঁকে ছাঁটাই করে মোহনবাগান। সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'বাধ্য হয়েই আনতে হয়েছিল ফেরান্দোকে।' তবে ঠিক কোন কারণে তাঁকে আনতে হয়েছিল, তা যদিও খোলসা করেননি তিনি।