এবার থেকে Z ক্যাটেগরির (Z Category Security) নিরাপত্তা পাবেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রশাসনিক স্তরে পর্যালোচনার পর সৌরভের নিরাপত্তা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। সূত্রের খবর, শিগগিরই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দেওয়া হবে। আর তারপর থেকেই অনেকেই মনেই প্রশ্ন, কেন সৌরভকে জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে।
জানা গেছে, জেড ক্যাটাগরিতে উন্নীত হওয়ার জেরে সৌরভের বাড়িতে নিরাপত্তা রক্ষীর সংখ্যাও বাড়ানো হচ্ছে। সবসময় তাঁর সঙ্গে থাকবে একটি এসকর্ট কার। সৌরভ যেখানে যেথানে যাবেন সেখানেই ওই নিরাপত্তা আধিকারিকদের গাড়িটি যাবে। এছাড়াও আরও নিরাপত্তারক্ষী থাকবে বলেও খবর।
আরও পড়ুন : ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর নিয়ে UPDATE, সরকারি কর্মীরা খুশি; নতুন বেতন কত হতে পারে ?
কেন দেওয়া হল নিরাপত্তা ?
পুলিশ এই বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানায়নি। তবে কোনও ব্যক্তিকে জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দেওয়া হলেও কেন দেওয়া হল সেই তথ্য নিরাপত্তাজনিত কারণেই গোপন রাখা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, এক্ষেত্রেও সেই নীতি মেনে চলা হবে। পুলিশ সূত্রে এও খবর, কার কোন ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দেওয়া হবে এই বিষয়ে পর্যালোচনা করে নবান্নের প্রশাসনিক কর্তারা। তারপরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আর এই সিদ্ধান্ত পাঠানো হয় লালবাজারে। সেখান থেকে তা কার্যকর করা হয়। এক্ষেত্রেও সেটা হয়েছে। শোনা যাচ্ছে মঙ্গলবার অর্থাৎ ১৬ মে সৌরভের বেহালার বীরেন রায় রোডের বাড়িতে ঠাকুরপুকুর থানার স্পেশ্যাল ব্রাঞ্চের আধিকারিকরা গিয়ে পর্যবেক্ষণ করে এসেছেন।
জেড প্লাস নিরাপত্তা বলয়। এই নিরাপত্তা ব্যবস্থায় দশ বা তার বেশি এনএসজি কমান্ডো ও পুলিশকর্মী-সহ ৫৫ জন নিরাপত্তা রক্ষী মোতায়েন থাকে। সঙ্গে থাকে বুলেটপ্রুফ গাড়ি ও অন্যান্য সুবিধা। জেড নিরাপত্তা ব্যবস্থায় থাকে ৪ থেকে ৫ জন এনএসজি কম্যান্ডো ও পুলিশকর্মী-সহ ২২ জন নিরাপত্তারক্ষী। ওয়াই ক্যাটেগরিতে নিরাপত্তারক্ষীর সংখ্যা ১১। তাঁদের মধ্যে এনএসজি কম্যান্ডো ও পুলিশকর্মীর সংখ্যা ১ থেকে ২ জন। এক্স ক্যাটেগরিতে পাওয়া যায় দু’জন নিরাপত্তারক্ষী। তবে এই নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কোনও কমান্ডো থাকে না।
আরও পড়ুন : হাই ব্লাড প্রেশারের ফলে ঘনিয়ে আসছে মৃত্যু, কীভাবে বুঝবেন? জানুন
যাঁদের জেড ক্যাটাগরির নি্রাপত্তা থাকে তাঁদের সঙ্গে থাকে পাইলট কার এবং টেল কার মিলিয়ে মোট তিনটি গাড়ি৷ কম্যান্ডো-সহ থাকেন মোট ২০ থেকে ২২ জন নিরাপত্তারক্ষী। যাঁকে এই নিরাপত্তা দেওয়া হয়, তিনি যেথানে যেথানে যান সেখানে নিরাপত্তারক্ষীরা থাকেন।
প্রসঙ্গত, ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার প্রায় দেড় দশক বাদে গোটা দেশে সৌরভের জনপ্রিয়তায় ভাঁটা পড়েনি। খেলা ছাড়ার পর, ক্রিকেট প্রশাসনের দায়িত্বে ছিলেন সৌরভ। বিসিসিআই-এর সভাপতিও ছিলেন। তিন বছর বিসিসিআই-এর সভাপতি হিসেবে কাজ করার পর, বিসিসিআই-এর দায়িত্ব ছাড়তে হয় সৌরভকে। মহারাজের জনপ্রিয়তার কথা মাথায় রেখেই তাঁর নিরাপত্তা নিয়ে আরও বেশি সচেতন রাজ্য সরকার।