বাতিল হয়ে গেল রেসলিং ফেডারেশনের (WFI) সভা। রেসলার ও ফেডারেশনের মধ্যে চলতে থাকা বিবাদ মেটাতে উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায় রেসলিং অ্যাসোসিয়েশনের সভা ডাকা হয়েছিল। মনে করা হয়েছিল এই সভায় ফেডারেশনের সভাপতি ব্রিজ ভূষণ সিং কোনও সিদ্ধান্তের কথা জনাতে পারেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের ক্রীড়া মন্ত্রকের নির্দেশে এই সভা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যায়, ক্রীড়া মন্ত্রক শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে WFI সহকারী সচিব বিনোদ তোমরকে সাসপেন্ড করেছে। পাশাপাশি কুস্তিগীরদের অভিযোগের তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত WFI-এর সমস্ত কাজ বন্ধ থাকবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের এই নিষেধাজ্ঞার কারণে সভা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে একটি মনিটরিং কমিটি গঠনের সিদ্ধান্তও নিয়েছেন ক্রীড়ামন্ত্রী। এই কমিটি ৪ সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত শেষ করবে।
আরও পড়ুন: অভিযোগের তদন্তে কমিটি গঠন, WFI-র দায়িত্ব থেকে সরানো হল ব্রিজভূষণকে
অযোধ্যা ব্রজভূষণের রাজনৈতিক কেরিয়ারে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্থানীয় আন্দোলনে যোগ দিয়ে রাজনীতিতে হাতে খড়ি হয় ব্রিজ ভূষণ শরণ সিং-এর। এরপর থেকে আজ পর্যন্ত তাঁকে কেউ হারাতে পারেনি। বাবরি মসজিদের কাঠামো ধ্বংসের ঘটনায় ব্রিজ ভূষণের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল। তবে সিবিআই-এর বিশেষ আদালত তাঁকে খালাস করে দিয়েছে। এই ঘটনা তাঁর রাজনৈতিক জীবন একেবারে বদলে দেয়।
আরও পড়ুন: আরও বিপদে ব্রিজভূষণ, যন্তর মন্তরে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ বয়কট করা অ্যাথলিটরা
ব্রিজ ভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে মহিলা কুস্তি খেলোয়াড়দের দ্বারা যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে। ভারতের রেসলিং ফেডারেশনের সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগের জন্য তাঁর ওপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে, কিন্তু তিনি পদত্যাগ করতে রাজি হননি। এমন অভিযোগ পেয়ে কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রক গোন্ডায় র্যাঙ্কিং টুর্নামেন্ট বাতিল করার নির্দেশ দেয়। সমস্ত কার্যকলাপ বন্ধ করতে বলে। টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারীদের কাছ থেকে নেওয়া এন্ট্রি ফিও ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রণালয়।
অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনও তদন্ত কমিটি গঠন করেছে
দিল্লির যন্তর মন্তরে এই ইস্যুতে কুস্তিগীররা লাগাতার প্রতিবাদ করে চলেছেন। এরপর তাঁর সঙ্গে দেখা করেন ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। স্বয়ং ক্রীড়ামন্ত্রী তাঁদের ডিনারে ডেকে এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। তাদের দাবি শুনে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। ভারতীয় অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনও অভিযোগগুলিকে গুরুত্ব সহকারে দেখছে এবং একটি সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
রাজ ঠাকরের অযোধ্যা সফরের বিরোধিতা করা হয়
সম্প্রতি মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা (MNS) প্রধান রাজ ঠাকরের অযোধ্যায় আসার কথা থাকলেও প্রতিবাদ করেন ব্রিজ ভূষণ শরণ সিং। তিনি শর্ত দিয়েছিলেন, রাজ ঠাকরেকে যদি অযোধ্যায় আসতে হয় তবে প্রথমে তাঁকে উত্তর ভারতীয়দের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। রাজ ঠাকরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী মনোভাবের কারণে ব্রিজ ভূষণ শরণ সিং শিরোনামে ছিলেন।