Paralympics: ভাবিনা প্যাটেল (Bhavina Patel)-এর ইতিহাস! টেবিল টেনিসে জিতে নিলেন রুপো। তিনি চিনের প্রতিদ্বন্দ্বীর কাছে হেরে গিয়েছেন।
খুশির বাতাস
দেশে খুশির বাতাস। টোকিও প্যারালিম্পিক্স (Tokyo Paralympics) থেকে এল পদক। ভাবিনা প্যাটেল (Bhavina Patel) ইতিহাসের খাতায় নিজের নাম তুলে নিলেন। প্য়ারালিম্পিক্সে টেবিল টেনিসে প্রথম ভারতীয় পদকজয়ী তিনি।
শুভেচ্ছার বন্যা
তাঁর (Bhavina Patel) পদক জয়ের পরই আসতে শুরু করেছে শুভেচ্ছা-বার্তা। গুজরাতের বাড়িতে শুরু হয়েছে উৎসব। অনন্য নজির গড়লেন তিনি।
রাষ্ট্রপতির শুভেচ্ছা
ভাবিনা প্য়াটেলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোভিন্দ (Ramnath Kovind)। তিনি টুইট করেছেন। সেখানে লিখেছেন, আপনার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা এবং দক্ষতা দেশকে গৌরব এনে দিয়েছে। এই অসাধারণ কৃতিত্বের জন্য অনেক শুভেচ্ছা।
প্রধানমন্ত্রীর টুইট
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টুইট করে তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ভাবিনা প্যাটেল ইতিহাস রচনা করলেন। ঐতিহাসিক রুপো জিতেছেন তিনি। তাঁকে শুভেচ্ছা জানাই। তাঁর জীবনযাত্রা সবার জন্য অনুপ্রেরণার। তাঁর এই কৃতিত্ব আরও অনেক তরুণ-তরুণীকে খেলাধুলায় আসতে প্রেরণা জোগাবে।
চিনের কাছে হার
রবিবার তিনি (Bhavina Patel) চিনের খেলোয়াড় ঝাউ ইয়ুংয়ের কাছে হেরে যান। চিনের এই খেলোয়াড় বিশ্বের এক নম্বর তারকা। ফলে ভাবিনার লড়াই ছিল আরও কঠিন। ঝাউ তাঁকে ১১-৭, ১১-৫ এবং ১১-৬-এ মাত দিয়েছেন।
শনিবার সেমিফাইনাম খেলেছেন ভাবিনা (Bhavina Patel)। হারিয়েছিলেন চিনেরই খেলোয়াড়কে। তিনি ঝাং মিয়াওকে ৭-১১, ১১-৭, ১১-৪, ৯-১১ এবং ১১-৮-এ হারিয়ে দেন।
ভারতের প্রথম পদক
তাঁর হাত ধরেই টোকিও প্যারালিম্পিক্স থেকে ভারত নিজের প্রথম পদক জিতে নিল। প্রথম রাউন্ডে তিনি চিনের খেলোয়াড়কে ভাল টকিকর দিয়েছিলেন। তবে দু'বারের সোনাজয়ী একবার ছন্দে আসতেই ভাবিনা কড়া চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন। আর তারপর তিনি আর কোনও সুযোগ দেননি। সোনা জিতে নিয়েছেন।
ভাবিনার কীর্তি
শুক্রবার তিনি পৌঁছে গিয়েছিলেন টেবিল টেনিসের সেমিফাইনালে। আর তখনই গড়ে ফেলেছিলেন ইতিহাস। তিনি প্রথম ভারতীয় টেবিল টেনিস খেলোয়াড় যিনি প্যারালিম্পিক্সের সেমিফাইনালে পৌঁছেছিলেন। তিনি কোয়ার্টার ফাইনালে সার্বিয়ার বোরিস্লাভা রাঙ্কোভিচকে ১১-৫, ১১-৬ এবং ১১-৭-এ হারিয়ে দেন।
১৩ বছর আগে...
তিনি গুজরাতের মেহসাণার বাসিন্দা। ১৩ বছর আগে আহমেদাবাদের বস্ত্রাপুর এলাকার নেত্রহীন সঙ্ঘ থেকে খেলা শুরু করেন। তিনি দিব্যাঙ্গদের তরফে আইটিআই ছাত্রী ছিলেন। পরে তিনি দৃষ্টিহীন খেলোয়াড়দের টেবিল টেনিস খেলো দেখেন। আরতারপর সিদ্ধান্ত নেন তিনিও শুর করবেন।