দূরাভাষে বিপ্লব এনেছিল হোয়াটসঅ্যাপ। লিখিত বার্তা পাঠানোকে সরল করে দিয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপ শুধু আর ব্যক্তিগত বার্তালাপেই সীমাবদ্ধ নেই। তার বিস্তার ঘটেছে পেশাদার জগতেও। করোনা পরিস্থিতি ওয়ার্ক ফ্রম হোমে থাকা কর্মীদের তালমিল রাখার মাধ্যম হয়েছে এই অ্যাপ।
হোয়াটসঅ্যাপের বার্তা সকলেই ব্যাক আপ বা সংরক্ষণ করে রাখেন। এখনও পর্যন্ত ব্যাকআপ করতে এক পয়সাও লাগে না। ভবিষ্যতে কি কড়ি খসাতে হবে?
কী কারণে এমন আশঙ্কা? অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের চ্যাট সংরক্ষিত থাকে গুগল ড্রাইভে। আর এখানেই বিপত্তি! হোয়াটসঅ্যাপের ফিচার্স নিয়ে কাজ করা WABetainfo-র রিপোর্ট সত্যি হলে সমস্যায় পড়বেন হোয়াটসঅ্যাপ ব্য়বহারকারীরা।
ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, গুগল ড্রাইভে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যাকআপের সীমা ঠিক করে দেওয়া হতে পারে। Google Drive backup changing-র কথাও উল্লেখ রয়েছে।
গতবছরও একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, ব্যাকআপের জন্য আলাদা করে বিকল্প রাখার ব্যবস্থা করতে চলেছে হোয়াটসঅ্যাপ।
আইফোন ব্যবহারকারীদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ব্যাকআপ হয় icloud-এ। ৫ জিবি ডেটা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। তার বেশি হলে জায়গা কিনতে লাগে।
গুগল ড্রাইভে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের ব্যাকআপে বাঁধাধরা কিছু নেই। এখনও পর্যন্ত ১৫জিবি পর্যন্ত স্পেস ফ্রি-তে মেলে গুগল ড্রাইভে। কিন্তু হোয়াটসঅ্যাপের ক্ষেত্রে তা আনলিমিটেড।
ফলে আগামী দিনে গুগল অ্যাপলকে অনুসরণ করলে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যাকআপের জন্য টাকা দিতে হতে পারে ব্যবহারকারীদের। হোয়াটসঅ্যাপ বা গুগলের তরফে কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়নি।
বলে রাখি, জি মেলের জন্য ১৫ জিবি পর্যন্ত স্পেস দিয়েছে গুগল। তার বেশি লাগলে কিনতে হয়। গুগল ড্রাইভে ব্যাকআপ বাড়াতে কিনতে হয় গুগল ওয়ান। ১৩০ টাকা মাসিক চাঁদায় ১০ জিবি জায়গা পান ব্যবহারকারীরা।