দেশি মদ সম্পর্কে ধারণা বদলে ফেলার সময় এসেছে। কারণ, দেশি মদ তৈরির উপকরণের মান এবং পদ্ধতি এখন আগের তুলনায় অনেক উন্নত। দেশি মদ তৈরি করার জন্যেও এখন পরিস্রুত মানের উপকরণ ব্যবহার করা হয়।
দেশে তৈরি বিলিতি মদের উপকরণ আর দেশি মদের মূল উপাদানগুলির মান এখন প্রায় একই নেওয়া হচ্ছে। মোদ্দা কথায়, ইদানীং দেশি মদের মানোন্নয়ন ঘটেছে। আর এই দিকটায় নজর দিয়ে পুজোর আগেই হয়তো মদের ব্র্যান্ডিংয়ে পরিবর্তন আনা হচ্ছে।
ব্র্যান্ডিংয়ে পরিবর্তন এনে দেশি মদের নাম বদলে যেতে চলেছে এ রাজ্যে। ‘Country Spirit’-এর পরিবর্তে দেশি মদের বোতলের গায়ে সাঁটানো লেবেলে এখন লেখা থাকবে ‘ইন্ডিয়ান মেড লিকার’ (IML)।
সূত্রের খবর, আবগারি রাজস্বের সিংহভাগই আসে বিলিতি মদের তুলনায় সস্তা বাংলা মদ থেকেই। তাই এবার ভোল বদলে, সামান্য দাম বাড়িয়ে বাজারে ফিরবে দেশি মদ বা ‘ইন্ডিয়ান মেড লিকার’। দেশি মদের দোকানের নামও একইসঙ্গে পাল্টে যাচ্ছে। সবমিলিয়ে পুজোর আগেই ঝাঁ-চকচকে ‘ব্র্যাশন্ডিং’ হচ্ছে দেশি মদের।
কতটা দাম বাড়তে পারে দেশি মদের? মদ তৈরির উপকরণ আর তার সরবরাহের ব্যয় বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গেই এর উৎপাদন মূল্য বৃদ্ধি পায়। গত তিন বছরে দেশি মদ তৈরির উপকরণ আর সরবরাহের ব্যয় বাড়লেও দাম (ইডিপি) সে ভাবে বাড়েনি।
ইডিপি বা Ex distillery price হল যে দামে প্রস্তুতকারী সংস্থা তাদের উৎপাদিত মদ ডিস্ট্রিবিউটরদের বিক্রি করে। গত ৩ বছরে ইডিপি সেভাবে বাড়েনি। তাই সেই ঘাটতি পূরণে দেশি মদের দাম গড়ে ৭-১০ শতাংশ বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের শেষের দিকে এক ধাক্কায় প্রায় ১০-১৫ শতাংশ কমেছে বিলিতি মদের দাম। একই সঙ্গে কিছুটা বাড়ে দেশি মদের দর। দাম কমায় বিলিতি মদের বিক্রি যেমন বেড়েছে, তেমনই কমেছে দেশি মদের চাহিদাও।
বিলিতি মদ সস্তা হয়ে যাওয়ার ফলে মাসে প্রায় ২৫ শতাংশ পড়ে গিয়েছে ‘কান্ট্রি লিকার’-এর বক্রি। মনে করা হচ্ছে, দাম সামান্য বাড়লেও নতুন ব্র্যান্ডিংয়ে ‘কান্ট্রি লিকার’ বা যা এখন নাম বদলে ‘ইন্ডিয়ান মেড লিকার’-এর বিক্রি বাড়াতে সাহায্য করবে।