সম্প্রতি মুদ্রাস্ফীতির হার কিছুটা কমেছে। কমেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দামও। বিগত কয়েক মাসে দুধের দাম বেশ কিছুটা বেড়েছে। তবে বাড়ির বাচ্চা থেকে বুড়ো— সকলকে স্বস্তি দিয়ে গত সপ্তাহ দুয়েকে কমেছে ডিমের দাম।
আকাশছোঁয়া পেট্রোল-ডিজেলের দামের বোঝায় দেশজুড়েই বেড়েছে পণ্য পরিবহণের খরচ। ফলে স্বাভাবিকভাবেই গত বছরের তুলনায় এ বছর শাক-সবজি থেকে যাবতীয় নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রির দাম বেড়েছে।
মুদ্রাস্ফীতির প্রভাবে মে মাসের মাঝামাঝি বেড়ে গিয়েছিল ডিমের দামও। তবে এখন দাম নিয়ন্ত্রণে। আপনার এলাকায় কত টাকায় কিনছেন একজোড়া বা এক ট্রে ডিম? এখন কত যাচ্ছে ডিমের দাম? জেনে নিন...
মে মাসের মাঝামাঝি সময় এক ট্রে (৩০টি ডিম) মুরগির ডিমের দাম বেড়ে ১৭০-১৭৫ টাকা হয়ে গিয়েছিল। খুচরো ডিমের দামও বেড়ে ১২ টাকা জোড়া হয়ে গিয়েছিল! সেই দাম এখন কিছুটা কমেছে।
ওয়েস্ট বেঙ্গল পোল্ট্রি ফেডারেশন (WBPF) ব্রয়লার প্রস্তাবিত হার অনুযায়ী, বর্তমানে ডিমের দাম প্রায় ৫-৭ শতাংশ কমেছে। একেকটা ডিমের দাম এখন ৬ টাকা থেকে কমে ৫ টাকা ৪২ পয়সা হয়েছে।
যদিও খুচরো বাজারে ডিম সাড়ে ৫ টাকা পিস হিসাবেই কিনতে হবে। অর্থাৎ, এক জোড়া ডিম এখন ১২ টাকার পরিবর্তে ১১ টাকা। ফলে ক্রেতাদের পকেটে সে ভাবে প্রভাব পড়ছে না। গত সপ্তাহেও ৫ টাকা ২৫ পয়সা পিস হিসাবে বিক্রি হয়েছে মুরগির ডিম।
এ সপ্তাহে দাম সামান্য বেড়েছে ডিমের দাম। যদিও খুচরো বাজারে এখনও ডিমের দাম ১১ টাকা জোড়া। ওয়েস্ট বেঙ্গল পোল্ট্রি ফেডারেশন (WBPF) ব্রয়লার প্রস্তাবিত হার অনুযায়ী, জোড়ায় ৩৪ পয়সা বেড়েছে ডিমের দাম। খুচরো ডিমের পাশাপাশি এক ট্রে (৩০টি ডিম) মুরগির ডিমের দাম এখন ১৬০-১৬৫ টাকা।
ওয়েস্ট বেঙ্গল পোল্ট্রি ফেডারেশন (WEST BENGAL POULTRY FEDERATION)-এর সাধারণ সম্পাদক মদন মোহন মাইতি জানিয়েছিলেন যে, তৈল বীজ আর জ্বালানির দাম কমলে (অর্থাৎ, মুরগি প্রতিপালনের খরচ কমলে) ডিম আর মাংসের দাও কমবে।