১২ ফেব্রুয়ারি থেকে পশ্চিমবঙ্গে ফের খুলতে চলেছে স্কুল। আপাতত নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পঠন-পাঠন শুরু হতে চলেছে। ৪ ফেব্রুয়ারি বিকাশ ভবন থেকে এই মর্মে একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
করোনার থেকে বাঁচতে স্কুলে কী কী নিয়ম মেনে চলতে হবে, সেই বিষয়ে ওই বিজ্ঞপ্তিতে সবিস্তারে জানানো হয়েছে। ওই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত নির্দেশ অনুযায়ী পদক্ষেপ করার জন্য প্রতিটি জেলার জেলাশাসককে আবেদন করা হয়েছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক স্কুল খোলার পর কোন কোন নিয়ম মেনে চলতে হবে...
শুধুমাত্র নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে আসবে। স্কুলের সময় পঠনপাঠন হবে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের। স্কুল কর্তৃপক্ষ একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস নিতে পারে।
ছাত্রছাত্রীরা এবং স্কুলের সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীদের শারীরিক দূরত্ব এবং সরকারি কোভিড বিধি মেনে চলতে হবে। প্রয়োজনে ক্লাসের পড়ুয়াদের দুই বা তার বেশি শ্রেণিকক্ষে বসিয়ে পড়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
প্রতিটি স্কুল ভাল করে স্যানিটাইজ করতে হবে। পড়ুয়া, শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী নির্বিশেষে সকলের মাস্ক পরা, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং অন্যান্য কোভিড সংক্রান্ত স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা বাধ্যতামূলক। কানের দুল, চুড়ি, আংটি, তাবিজ ইত্যাদি ধাতব জিনিস, গয়না স্কুলে না পরে আসাই ভাল।
স্কুলের গেটে ভিড় করা চলবে না। স্কুলের শ্রেণিকক্ষে কোভিড সংক্রান্ত স্বাস্থ্য বিধি টাঙিয়ে রাখতে হবে। ছাত্রছাত্রীদের টিফিনে আনা খাবার, জলের বোতল ভাগাভাগি করে খাওয়া চলবে না। ছাত্রছাত্রীরা নিজেরা নিজেদের জন্য আলাদা স্যানিটাইজার আনলে ভাল হয়।
স্কুলের সমস্ত ছাত্রছাত্রী একসঙ্গে প্রার্থণা করবে না। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের তত্ত্বাবধানে প্রতিটি ক্লাসে আলাদা আলাদা করে ছাত্রছাত্রীদের প্রার্থণার ব্যবস্থা করতে হবে। স্কুলের শ্রেণিকক্ষগুলি নিয়মিত স্যানিটাইজ করতে হবে।
জ্বর, সর্দি-কাশি হলে ছাত্রছাত্রী অন্তত সাতদিন স্কুলে না আসার নির্দেশ প্রতিষ্ঠানের নোটিশ বোর্ডে টাঙাতে হবে। স্কুলে পৃথক আইসোলেশন রুম থাকলে ভাল হয়। স্কুলের গেটে ছাত্রছাত্রীদের শরীরের তাপমাত্রা মাপার ব্যবস্থা থাকলে ভাল হয়।