সোনার দাম বুধবার আবারও বেড়ে গিয়েছিল। মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক, ফেডারেল রিজার্ভ কর্তৃক মূল সুদের হার হ্রাসের কারণে বিনিয়োগকারীরা আবারও সোনার দিকে ঝুঁকছেন। ২৯শে অক্টোবর, ফেড ০.২৫ শতাংশ হার কমানোর ঘোষণা করে। সুদের হার কমে গেলে, বন্ডগুলি কম আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে, যার ফলে বিনিয়োগকারীরা সোনার মতো নিরাপদ সম্পদে তাদের বিনিয়োগ বাড়াতে শুরু করে।
ভারতে সোনার দাম উল্লেখযোগ্য ওঠানামার সম্মুখীন হচ্ছে। ক্রমাগত পতনের পর, বুধবার সোনার দাম আবারও বেড়েছিল। ৩০ অক্টোবর ২৪ হাজার, ২২ হাজার এবং ১৮ হাজার সোনার দাম বৃদ্ধি পায়। মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের বৈঠকের পটভূমিকে সোনার দাম বৃদ্ধির পিছনে একটি প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে।
তবে আজ, ৩০শ অক্টোবর, সোনার দাম ফের কমেছে। আপনি যদি সোনা কেনার পরিকল্পনা করেন, তাহলে আজই দ্বিধা ছাড়াই আপনার স্বর্ণকারের কাছে যান। ২৪ ক্যারেটের খাঁটি সোনার দাম ১০গ্রামের দাম কলকাতায় প্রায় ১,৯১০ কমেছে।
আজ কলকাতায় সোনার দাম প্রতি গ্রাম ২৪ ক্যারেট সোনার জন্য ১২,০৪৯ টাকা , প্রতি গ্রাম ২২ ক্যারেট সোনার জন্য ১১,০৪৫ টাকা এবং প্রতি গ্রাম ১৮ ক্যারেট সোনার জন্য দাম ৯,০৩৭ টাকা ।
সোনার মতো, রুপোর দামও আজ কমেছে। কলকাতায় আজ প্রতি গ্রাম রুপোর দাম ১৫১ টাকা এবং প্রতি কেজি ১,৫১,০০০ টাকা। কেজিতে ১০০০ টাকা কমেছে রুপোর দাম।
উল্লেখ্য, প্রতি ১০ গ্রামে সোনার দাম রেকর্ড সর্বোচ্চ ১,৩২,২৯৪ টাকা থেকে প্রায় ১৩,০০০ টাকা কমেছে।
দীর্ঘমেয়াদে, সোনার দাম বাড়তে থাকবে কারণ এটি বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি নিরাপদ বিনিয়োগ বিকল্প হিসেবে রয়ে গেছে। বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে সাম্প্রতিক পতন সত্ত্বেও, সোনার দীর্ঘমেয়াদী মৌলিক বিষয়গুলি শক্তিশালী রয়েছে। বাজারের অস্থিরতার সময় সম্পদ সংরক্ষণ এবং মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে হেজ হিসেবে কাজ করার ক্ষমতা সোনাকে তাদের বিনিয়োগে স্থিতিশীলতা খুঁজছেন এমনদের কাছে আকর্ষণীয় করে তোলে।
উল্লেখ্য, সোনা কতটা খাঁটি তা নির্ভর করে ক্যারেটের উপর। সবচেয়ে খাঁটি সোনা হিসাবে ২৪ ক্যারেটের হয়। মূলত ২৪ ক্যারেটের সোনায় অন্য কোন ধাতু মেশানো থাকে না। যার ফলে ২৪ ক্যারেট সোনার দাম বেশি থাকে। চলতি বছরের শুরু থেকেই দেশজুড়ে ২২ ও ২৪ ক্যারাট সোনার দাম সমানে বাড়ছে। এদিনও তা এক লক্ষ টাকার অনেক উপরে।
যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আসন্ন সময়ে সোনার দাম আরও বাড়তে পারে। চলতি বছর শেষেই অনেকটা বাড়তে পারে সোনার দাম। যদিও সবটাই অনুমান। তবে এদিনও একধাক্কায় কমেছে হলুদ ধাতুর দর।