মঙ্গলবার এই রাজ্যে নতুন আবগারি নীতি অনুমোদন করেছে সরকার। এই আবগারি নীতি কার্যকর হওয়ার পর এই রাজ্যে মদের ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে অনেকটাই পরিবর্তন আসবে।
নতুন আবগারি নীতি এপ্রিল ২০২২ থেকে প্রযোজ্য হবে। নতুন আবগারি নীতির কারণে বিদেশি মদ অনেকটাই সস্তায় পাওয়া যাবে। সেই সঙ্গে ঘরে মদ মজুত রাখার সীমাও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
মধ্যপ্রদেশ সরকারের ২০২২-২৩ সালের আবগারি নীতিতে, বিলিতি মদের খুচরা বিক্রির ক্ষেত্রে দাম ২০ শতাংশ কমিয়েছে। সেই সঙ্গে ঘরে মদ রাখার সীমাও বাড়তে চলেছে। এখন মানুষ বর্তমান অনুমতির চেয়ে ৪ গুণ বেশি মদ বাড়িতে মজুত রাখতে পারবে।
মধ্যপ্রদেশে মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের নেতৃত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে নীতির অনুমোদনের পরে, আগামী ১ এপ্রিল থেকে মধ্যপ্রদেশের মানুষ বাড়িতে ৪ বাক্স বিয়ার এবং ২৪ বোতল মদ রাখতে পারবেন।
নতুন আবগারি নীতিতে, রাজ্যে তৈরি বিদেশী মদের উপর শুল্ক ১০%-১৩% কমানো হয়েছে। এছাড়াও নতুন নীতিতে একই দোকানে বিলিতি এবং দেশী মদ— উভয়ই পাওয়া যাবে।
বর্তমানে রাজ্যে দেশি মদের ২,৫৪৪টি এবং ইংরেজি মদের ১,০৬১টি দোকান রয়েছে। নতুন নীতিতে একটি বড় পরিবর্তন করা হয়েছে যে এখন দেশি ও ইংরেজি মদের জন্য আলাদা কোনো দোকান থাকবে না। সমস্ত মদের দোকানে উভয় প্রকার একসাথে বিক্রি করা যেতে পারে।
নতুন নীতিতে, বিয়ারের জন্য একটি নীতি আনা হয়েছে, যার অধীনে ভোপাল, ইন্দোরে মাইক্রো-ব্রুয়ারি তৈরি করা হবে। মাইক্রো-ব্রুয়ারিগুলি হল ছোট একক যেখানে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ১০০০ লিটার মদ উৎপাদন করার ক্ষমতা রয়েছে। হোটেলগুলিতে মাইক্রো-ব্রুয়ারি প্ল্যান্ট স্থাপন করা যেতে পারে। তারা কম অ্যালকোহল যুক্ত তাজা বিয়ার পাবেন।
মধ্যপ্রদেশের নতুন আবগারি নীতিতে আঙুরের পাশাপাশি বেরি থেকেও মদ তৈরির অনুমোদন দিয়েছে সরকার। পাশাপাশি চাষিদের আঙ্গুর থেকে তৈরি মদও শুল্কমুক্ত করা হয়েছে।