করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গে ভাইরাসের সংক্রমণ আগের বারের চেয়েও ভয়াবহ হতে চলেছে! গত বারের সর্বাধিক দৈনিক সংক্রমণের রেকর্ড ইতিমধ্যেই ভেঙে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে করোনা। এই পরিস্থিতিতে মহারাষ্ট্র-সহ দেশের একাধিক রাজ্যই ফের লকডাউনের কথাই ভাবছে।
বিগত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা করোনা অতিমারীর জেরে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যব্যবস্থার পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিও বিপর্যস্ত! কাজের বাজার মন্দা।
কিন্তু এই মন্দার বাজারে লোভনীয় চাকরির অফার পেয়েও তা ফেরাচ্ছেন অনেকেই! কিন্তু কেন মন্দার বাজারেও নতুন চাকরি, বেতন বৃদ্ধির সুযোগ পেয়েও তা ফেরাচ্ছেন এঁরা? আভাস মিলল সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষার রিপোর্টে।
স্টাফিং ফার্ম সিয়েল এইচআর সার্ভিসেস-এর একটি সাম্প্রতিক সমীক্ষা বলছে, বিগত এক বছরের অধিকাংশ সময়টাই অনেকে Work From Home-এ কাজ করেছেন। আর এই অভ্যাসই টাকার চেয়েও কাজের আপাত সাচ্ছন্দকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে অঅনেকের কাছে।
এই সমীক্ষা অনুযায়ী, পরিবর্তিত পরিস্থিতি Work From Home-এর সঙ্গে এখন অভ্যস্ত হয়ে উঠেছেন অনেকেই। তাই বাড়ি থেকে কাজের আপাত ‘সুখ’ ছেড়ে এই মুহূর্তে নতুন কোনও সংস্থা বা পরিবেশের সঙ্গে ফের মানিয়ে নেওয়ার ‘ঝুঁকি’ নিতে প্রস্তুত নন তাঁরা! তার জন্য কিছু টাকা কম পেলেও ক্ষতি নেই!
সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, শেষ চার সপ্তাহে কোনও সংস্থার মাঝারি থেকে উচ্চপদস্থ কর্মী, প্রথমে অফার লেটার নিয়েও শেষ মুহূর্তে তা প্রত্যাখান করেছেন।
লোভনীয় চাকরির অফার ফেরানোর কারণ হিসেবে এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি কর্মী বা প্রার্থী জানিয়েছেন, নিজের শহর ছেড়ে অন্য শহরে এই মুহূর্তে যেতে চাইছেন না তাঁরা।
স্টাফিং ফার্ম সিয়েল এইচআর সার্ভিসেস-এর এই সমীক্ষা অনুযায়ী, মোটা বেতনের চাকরির অফার ফেরানো প্রার্থীদের একাংশ জানিয়েছেন, তাঁদের ভিন রাজ্যে যেতে আপত্তি না থাকলেও সেখানে ওয়ার্ক-ফ্রম-হোমের সুবিধা না মেলায়, চাকরি পেয়েও তা ছেড়ে দিয়েছেন তাঁরা।
অনেকেই অফার লেটার হাতে নিয়েও করোনার বাড়বাড়ন্তের ফলে তা প্রত্যাখান করেছেন। এই পরিস্থিতিতে একাধিক সংস্থাকে তাদের নিয়োগ পরিকল্পনা নতুন করে ঢেলে সাজতে হচ্ছে। তবে প্রথমিক ভাবে এই সমস্ত সংস্থাকেই নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।